সিডনি স্মিথ (ক্রিকেটার, জন্ম ১৮৮১)
![]() | |||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি গর্ডন স্মিথ | ||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্যান ফার্নান্দো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ১৫ জানুয়ারি ১৮৮১||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর ১৯৬৩ অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৮২)||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | ||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৯/১৯০০-১৯০৫/০৬ | ত্রিনিদাদ | ||||||||||||||||||||||||||
১৯০৭-১৯১৪ | নর্দাম্পটনশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||
১৯১৭/১৮-১৯২৫/২৬ | অকল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
সিডনি গর্ডন স্মিথ (ইংরেজি: Sydney Smith; জন্ম: ১৫ জানুয়ারি, ১৮৮১ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ১৯৬৩) ত্রিনিদাদের স্যান ফার্নান্দো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ত্রিনিদাদ, নর্দাম্পটনশায়ার ও অকল্যান্ড দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন সিডনি স্মিথ।
খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]
বামহাতি মাঝারীসারির বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি স্পিন বোলার হিসেবে খেলতেন। তার বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবন তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকাকালীন ত্রিনিদাদের, ইংল্যান্ডে থাকাকালীন নর্দাম্পটনশায়ারের এবং নিউজিল্যান্ডে থাকাকালীন অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১৯১০-১১ ও ১৯১২-১৩ মৌসুমে এমসিসি’র সদস্য হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যান। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে এমসিসি ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে[সম্পাদনা]
১৮৯৯-১৯০০ মৌসুমে আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় ত্রিনিদাদের পক্ষে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী কয়েক মৌসুম মূলতঃ বোলার হিসেবে প্রভূতঃ সফলতা পান। ১৯০১-০২ মৌসুমে রিচার্ড বেনেটের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড় বার্নার্ড বোসানকুয়েত, ফ্রেডরিক ফেন ও রকলি উইলসন সমৃদ্ধ ত্রিনিদাদে সফরকারী দলের বিপক্ষে সম্মিলিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৯/৩৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৫১ পান। তিন বছর পর লর্ড ব্রাকলি’র দলের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে পুনরায় সম্মিলিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে অংশ নেন।
১৯০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় একাদশের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। সফরের পূর্বে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা শৌখিন বোলাররূপে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।[১] বামহাতে ধীরগতিতে বোলিং করার পাশাপাশি ব্যাটহাতেও তার বেশ দক্ষতা ছিল। স্লিপ অঞ্চলে দারুণ ফিল্ডিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন।[২] সফরে তার ভূমিকা ছিল দারুণ। বিশেষ করে দূর্বল দলের বিপক্ষে। ৪টি প্রথম-শ্রেণীর ও ৪টি ক্ষুদ্রতর দলের বিপক্ষে সাত শতাধিক রান ও ৫০-এর বেশি উইকেট পান। এরপর থেকেই তার ব্যাটিং দূর্বলতর হতে থাকলেও বল হাতে ঠিকই সফলতা পেয়েছেন। তন্মধ্যে, চূড়ান্ত খেলায় নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডে[সম্পাদনা]
১৯০৬ সালের সফরের পর তিনি ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন ও কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে খেলার যোগ্যতা লাভ করেন। দুই বছর অবস্থানকালীন সময়ে তিনি কেবলমাত্র সফরকারী দলের বিপক্ষে খেলার অনুমতি পান। ১৯০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ উইকেট এবং ফিলাডেলফিয়ান দলের বিপক্ষে ২৩ ও অপরাজিত ৭৬-সহ ৯ উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডে[সম্পাদনা]
পুনরায় স্থান পরিবর্তন করে নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। ১৯১৭-১৮ মৌসুম থেকে ১৯২৫-২৬ মৌসুমে অবসর নেয়ার পূর্ব-পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯১৯-২০ মৌসুমে অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেন ও ক্যান্টারবারির বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৫৬ রান তুলেন। পরের খেলায় ওয়েলিংটনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮/৫৫ পান ও খেলায় ১৩ উইকেট দখল করেন। ১৯২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য হন। ১৯২২-২৩ মৌসুমে এমসিসি ও ১৯২৩-২৪ মৌসুমে সফরকারী নিউ সাউথ ওয়েলস দলের বিপক্ষে খেলেন। তিনি তার উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে লেগ-ব্রেক বল করতেন ও ব্যাট হাতে কিছু দর্শনীয় খেলা উপহার দিতেন। তখন তার বয়স ত্রিশের মাঝামাঝি ছিল।[৩] সর্বমোট পাঁচবার নিউজিল্যান্ড ও ২৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
তার কাকা ফ্রেডরিক ও অগাস্টাস স্মিথ আন্তঃঔপনিবেশিক ক্রিকেটের শুরুর দিকে বার্বাডোসের পক্ষে খেলেছেন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৬৩ তারিখে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে তার দেহাবসান ঘটে।
১৯১৪ সালে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন সিডনি স্মিথ। ২০১৪ সালে বিল ফ্রান্সিস কর্তৃক ‘ক্রিকেটস মিস্ট্রি ম্যান: দ্য স্টোরি অব সিডনি গর্ডন স্মিথ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এমসিসি, নিউজিল্যান্ড’ অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সিডনি স্মিথ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সিডনি স্মিথ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৮৮১-এ জন্ম
- ১৯৬৩-এ মৃত্যু
- প্রাক-১৯২৮ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার
- অকল্যান্ডের ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- এস. এইচ. কোচর্যান একাদশের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যান অব ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্রিকেটার
- নর্দাম্পটনশায়ারের ক্রিকেটার
- নর্দাম্পটনশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
- নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার