রায়গড় জেলা, ছত্তিশগড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রায়গড় জেলা
ছত্তীশগঢ়ের জেলা
কেলো নদী
কেলো নদী
ছত্তিশগড় রাজ্যের মধ্যে রায়গড় জেলার অবস্থান
ছত্তিশগড় রাজ্যের মধ্যে রায়গড় জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যছত্তীশগড়
Headquartersরায়গড়
তালুক09
আয়তন
 • মোট৭,০৮৬ বর্গকিমি (২,৭৩৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৪,৯৩,৯৮৪ (২,০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুযায়ী)
 • পৌর এলাকা২,৪৬,২৮১
জনমিতি
 • সাক্ষরতা৭৩.৭%(৯৫৯,৮৬৬)
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+05:30)
ভারতের জাতীয় সড়কজাতীয় সড়ক-৪৯, জাতীয় সড়ক-১৫৩
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১৫৮৪ মিমি
ওয়েবসাইটraigarh.nic.in

রায়গড় জেলা ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যর একটি জেলা। রায়গড় শহর জেলার সদর শহর। জেলার কথ্য ভাষা ছত্তিশগড়ি , ওড়িয়া এবং হিন্দি । রেলপথ এবং শিল্প বিকাশের কারণে এখানে সমগ্র ভারত থেকে বিভিন্ন মানুষজন বসতি স্থাপন করেছেন। তফসিলি উপজাতি, ওড়িয়া, মারোয়ারি, বাঙালি, তেলুগু, মারাঠি, খ্রিস্টান, মুসলিম, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, বিহারী এবং আরও অনেক সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্ঠী এখানে বাস করছে। এককথায় রায়গড় শহরটির প্রকৃতি বহুজাতিক।

রায়গড়, শক্তি, সারণগড়, উদয়পুর এবং জশপুর দেশীয় রাজ্যগুলি একত্রিত করে জেলাটি গঠিত হয়েছিল। [১] জশপুর এখন একটি পৃথক জেলা। শক্তি এখন রায়গড় জেলার অংশ নয়।

এটি ছত্তিসগড়ের একটি শিল্প জেলা হিসাবে দ্রুত বর্ধমান। ভারতের প্রাচীনতম পাটকলগুলির মধ্যে একটি এখানে অবস্থিত, মোহন পাট কল; এটিই ছিল ছত্তিশগড় এবং তদানীন্তন অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশের একমাত্র পাটকল। রায়গড় দেশের ইস্পাত ও বিদ্যুতের অন্যতম প্রধান উত্পাদনকারী। এখানে অনেকগুলি ইস্পাত এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেমন জেএসপিএল, এমএসপি, মনেট স্টিল এবং অন্যান্য অনেক ছোট এবং মাঝারি উত্পাদনকারী রয়েছে। এখানে শিল্পের বিস্তৃতি বোঝাতে একটি তথ্য্যই বোধহয় উপযুক্ত - যে রায়গড় জেলার প্রতিদিনের কয়লার প্রয়োজন প্রায় ২০,০০০ টন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

রায়গড় জেলাটি ৯টি তালুক বা তহশিলে বিভক্ত।

১ রায়গড়

২ সারণগড়

৩ উদয়পুর (ধরমজাইগড়)

৪ বড়মকেলা

৫ খারসিয়া

৬ পুসুর

৭ লাইলঙ্গা

৮।তমনার

৯। ঘড়ঘোদা

জনমিতি[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুসারে রায়গড় জেলার জনসংখ্যা ১,৪৯৩,৯৮৪ জন [২] যা মোটামুটি গ্যাবন রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান [৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের জনসংখ্যার সমান। [৪] জনসংখ্যার বিচারে এটি ভারতের জেলাগুলির মধ্যে ৩৩৬ তম স্থান অধিকার করে। জেলাটির প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২১১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৫৫০ জন/বর্গমাইল) । ২০০১ থেকে ২০১১-এর দশকে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৮.০২%। রায়গড়ের প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু ৯৯৩ জন মহিলা রয়েছে, , যা জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশ খানিকটা ওপরে। এবং সাক্ষরতার হার ৭৩.৭%।

ভাষা[সম্পাদনা]

ভারতের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, জেলার ৮৪.৪০% জনগণ হিন্দি, ৯.৫২% ওড়িয়া, ৪.০৪% কুরুখ এবং ০.৮১% বাংলা তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে নিবন্ধন করেছিলেন। [৫]

এখানে কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে আসুরি অন্তর্ভুক্ত, যা একটি অস্ট্রো- এশীয় ভাষা এবং মাত্র ১৭০০০ লোক এই ভাষায় কথা বলেন। [৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

 

  1. Publication by Gokhale Institute of Politics and Economics - 1973- Issue 61 - Page 346
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  3. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Gabon 1,576,665 
  4. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Hawaii 1,360,301 
  5. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  6. Ethnologue: Languages of the World 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]