রয় পার্ক
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮ |
রয় পার্ক | |||
---|---|---|---|
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী | |||
পূর্ণ না | রয় লিন্ডসে পার্ক | ||
Nickname(s) | লিটল ডক | ||
জন্ম তারিখ | ৩০ জুলাই ১৮৯২ | ||
Place of birth | চার্লটন, ভিক্টোরিয়া | ||
Date of death | ২৩ জানুয়ারি ১৯৪৭ | (বয়স ৫৪)||
Place of death | মিডল পার্ক, ভিক্টোরিয়া | ||
মূল দল | ওয়েসলি কলেজ, মেলবোর্ন | ||
উচ্চতা | ১৬৫ সে.মি. | ||
ওজন | ৫৬ কেজি | ||
অবস্থান | ফরোয়ার্ড | ||
খেলোয়াড়ী জীবন১ | |||
বছর | ক্লাব | খেলা (গোল) | |
১৯১২–১৯১৪ | ইউনিভার্সিটি | ৪৪ (১১১) | |
১৯২১ | মেলবোর্ন | ১৩ | (৩৫)|
১৯২০–১৯২১ | ফুটসক্রে (ভিএফএ) | ২৮ | (৭২)|
মোট | ৮৫ (২১৮) | ||
১ 1921 শেষে খেলোয়াড়ী পরিসংখ্যান সঠিক | |||
খেলোয়াড়ী জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক | |||
| |||
উৎস: এএফএল ছক, অস্ট্রেলিয়ানফুটবল.কম |
রয় লিন্ডসে পার্ক (ইংরেজি: Roy Park; জন্ম: ৩০ জুলাই, ১৮৯২ - মৃত্যু: ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪৭) ভিক্টোরিয়ার চার্লটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় ক্রীড়াবিদ ও চিকিৎসক ছিলেন। মেথডিস্ট মন্ত্রীর পুত্র হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ক্রিকেট ও ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লীগের অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও অফ স্পিন বোলিং করতেন ‘লিটল ডক’ নামে পরিচিত রয় পার্ক।
শৈশবকাল
[সম্পাদনা]মেলবোর্নের ওয়েসলি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। এছাড়াও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। ১৯১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে বড়োদের ভিএফএলে অভিষেক ঘটে তার। ২২ গোল করে ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় গোল কিকারের মর্যাদা পান। ১৯১৩ সালে ৫৩ গোল করে ফিটজরয়ের জিমি ফ্রিকের ৫৬ গোলের পর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। ১৯১৪ সালে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নের কারণে কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হয়। তাসত্ত্বেও ভিএফএল প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ অংশগ্রহণে ঐ মৌসুমে ৩৬ গোল করতে সমর্থ হন।
১৯১৫ সালে মেলবোর্নের পক্ষে ভিএফএল ক্লাবভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১৩ খেলায় ৩৫ গোল করেন তিনি। তবে সেন্ট কিল্ডার জেরি বামকে আঘাত করায় পরবর্তী চার খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন রয় পার্ক। তবে, তিনজন প্রত্যক্ষ্যদর্শীর অভিমত, তিনি আসলে আঘাতই করেননি।[১] এ ঘটনার পর তিনি আর ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। ৫৭ খেলায় ১৪৬ গোল করেছিলেন তিনি।[২]
বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]নিবন্ধিত চিকিৎসক হিসেবে ১২ জুলাই, ১৯১৭ তারিখে অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সের অধীনে অস্ট্রেলিয়ান আর্মি মেডিক্যাল কোরে যোগ দেন।[৩] এ সময় তাকে ক্যাপ্টেন পদবী প্রদান করা হয়েছিল। ৪ আগস্ট, ১৯১৭ তারিখে এইচএমএটি থেমিস্টোকলসে আরোহণের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেন। ৫ম ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ইউনিটে নিযুক্ত হন। ১১ জুলাই, ১৯১৯ তারিখে লন্ডন গ্যাজেট ও ৩০ অক্টোবর, ১৯১৯ তারিখে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির কথা উল্লেখ করা হয়।[৪] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ২ জুন, ১৯১৯ তারিখে নিরাপদে অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন রয় পার্ক।[৩]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]ওয়েসলি কলেজে থাকাকালীন ক্রিকেটের প্রতি নিবিড় ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে রয় পার্কের। তার বিদ্যালয় সঙ্গী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী রবার্ট মেনজিস। মেনজিস যখন শেক্সপিয়রের বিষয়ে পড়াশোনা করতেন তখন রয় পার্ক ব্যাট হাতে অনুশীলনে ব্যস্ত থাকতেন।[৫]
ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (ভিসিএ) সাউথ মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে রয় পার্ক খেলেন। ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন তিনি। এ সময়ে ভবিষ্যতের অধিনায়ক বিল উডফুলের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৩১৫ রান তুলেন। তাদের সংগৃহীত এ রান দীর্ঘকাল যাবৎ ক্লাব রেকর্ড হিসেবে টিকে রয়েছে স্বমহিমায়।[৬] মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন। ফলশ্রুতিতে ১৯১৪-১৫ মৌসুমে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে মৃৎপ্রায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।
টেস্ট ক্রিকেট
[সম্পাদনা]ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে কিছু দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান। এরফলে ১৯২০-২১ মৌসুমে পুনরায় টেস্ট খেলার জন্য অন্তর্ভুক্ত হন। তবে, এমসিজিতে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে নিজস্ব অভিষেক টেস্টে বেশ অসফল ছিলেন তিনি।
অংশগ্রহণকৃত একমাত্র ইনিংসটিতে প্রথম বলেই শূন্য রানে বিদায় নিতে বাধ্য হন। এরপর এক ওভার অফ স্পিন বোলিং করে নয় রান দিলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন তিনি। পরে জানা যায় যে, গভীর রাত্রে চিকিৎসা কার্যে ব্যস্ত থাকায় তিনি নির্ঘুম ছিলেন। এরপর তাকে আর কখনো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। বলা হয়ে থাকে যে, দর্শক আসনে উপবিষ্ট তদ্বীয় পত্নী তখন সেলাই কর্মে ব্যস্ত ছিলেন ও সরঞ্জাম পড়ে যাওয়ায় উপুড় হন। তখন, রয় পার্ক প্রথম বল মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ফলে প্রথম বল মোকাবেলা করার মুহূর্ত দেখা থেকে বঞ্চিত হন ও পুরো টেস্ট জীবনেরই সমাপ্তি ঘটে তার।
সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৪০-এর অল্প কম গড়ে ২৫১৪ রান তুলেছেন। সর্বমোট নয়টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ২২৮।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তন্মধ্যে, ভিসিএতে দক্ষিণ মেলবোর্নের প্রতিনিধি ও ভিক্টোরীয় দল নির্বাচক ছিলেন।[৬] ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ মেলবোর্নের মেয়রের উপস্থিতিতে সম্মানসূচক নামফলক তার সম্মানার্থে উন্মোচন করা হয়।[৬]
রয় পার্কের জামাতা, অপরাজেয় দলের সঙ্গী ও অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান জনসন তার কন্যা ল্যালের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
২৩ জানুয়ারি, ১৯৪৭ তারিখে ৫৫ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার মিডল পার্ক এলাকায় রয় পার্কের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ross, John (১৯৯৬)। 100 Years of Australian Football। Ringwood, Australia: Viking Books। পৃষ্ঠা 382। আইএসবিএন 1854714341।
- ↑ Hobbs, Greg (১৯৮৪)। 125 yrs of the Melbourne Demons। Progress Press Group। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 0-9590694-0-2।
- ↑ ক খ "Roy Lindsay PARK"। The AIF Project। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ "Honours and Awards – Roy Lindsay Park"। Australian War Memorial। ১৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ Haigh.
- ↑ ক খ গ The Argus, "Club honours Dr Roy Park", 9 March 1953, p. 12.
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Atkinson, G. (1982) Everything you ever wanted to know about Australian rules football but couldn't be bothered asking, The Five Mile Press: Melbourne. আইএসবিএন ০ ৮৬৭৮৮ ০০৯ ০.
- Haigh, G. (2003) The Big Ship: Warwick Armstrong and the Making of Modern Cricket, Aurum Press. আইএসবিএন ১৮৫৪১০৮৯২১.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রয় পার্ক (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রয় পার্ক (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- এএফএল টেবিল পরিসংখ্যানে রয় পার্ক (ইংরেজি)
- Death: Park, The Argus, (Friday, 24 January 1947), p.4.
- Death of Famous Sportsman: Dr Roy L. Park, The Argus, (Saturday, 25 January 1947), p.8.
- Dr. Roy Park's Death Causes Sorrow Throughout District, The (Emerald Hill) Record, (Saturday, 1 February 1947), pp.1,2.
- World War I Service Record: Captain Roy Lindsay Park, National Archives of Australia.
- Brydon Coverdale, "Australia's Winter Allrounders: XI Test Cricketers who played Australian Rules football at the highest level", Cricinfo, 28 May 2007