রবার্ট ভ্যান্স
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট হাওয়ার্ড ভ্যান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ৩১ মার্চ ১৯৫৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | বব ভ্যান্স (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৬) | ৩০ মার্চ ১৯৮৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ নভেম্বর ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৩) | ১৬ মার্চ ১৯৮৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ মার্চ ১৯৮৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ অক্টোবর ২০২০ |
রবার্ট হাওয়ার্ড বার্ট ভ্যান্স (ইংরেজি: Robert Vance; জন্ম: ৩১ মার্চ, ১৯৫৫) ওয়েলিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন বার্ট ভ্যান্স নামে পরিচিত রবার্ট ভ্যান্স।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত রবার্ট ভ্যান্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কার্যকর খেলোয়াড় ছিলেন রবার্ট ভ্যান্স। শুরুতে তিনি উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও পরবর্তীতে সম্মানীয় অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেন।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলতে নামেন। পরবর্তী পাঁচ মৌসুমের চারটিতেই উইকেট-রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ঘটাতে শুরু করেন। নিজেকে ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পর ১৯৮০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত করে তুলেন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ওয়েলিংটনের পক্ষে তিনটি শতরানের ইনিংস সহযোগে ৭৯.৭৫ গড়ে ৬৩৮ রান তুলেন। পরের মৌসুমে চারটি শতরানসহ ৮০.৭২ গড়ে ৮৮৮ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে পুনরায় তাকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এক দশকেরও অধিক সময় ধরে ওয়েলিংটন দলের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত করেন নিজেকে। ঐ দলের পক্ষে ১৯৯টি খেলায় অংশ নিয়ে ৩৪.৪৩ গড়ে ৬৪৪০ রান সংগ্রহ করেন। তবে, বেশ দেরীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার সুযোগ পান। ১৯৯০ সালে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এক ওভারে ৭৭ রান দিয়ে অগৌরবজনক রেকর্ডের সাথে নিজ নামকে যুক্ত করে রেখেছেন। পরিসংখ্যানগতভাবে রবার্ট ভ্যান্স নিঃসন্দেহে রান প্রদানের কারণে সুনাম কুড়িয়েছেন। তার অধিনায়কের পরামর্শক্রমে ১৯৯০ সালে এক ওভারে রেকর্ডসংখ্যক রান খরচ করেন।[১][২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও আটটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রবার্ট ভ্যান্স। ৩ মার্চ, ১৯৮৮ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ নভেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বারো মৌসুম খেলার পর বত্রিশ বছর বয়সে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে তাকে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত নিজস্ব প্রথম টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। পরবর্তী গ্রীষ্মে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নেন। অকল্যান্ডে করেন ৬৮ রান। ঐ গ্রীষ্মের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি টেস্ট খেলেন। আটটি ওডিআইয়ে খেলেন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের শারজাহ কাপে ব্যক্তিগত সেরা ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন রবার্ট ভ্যান্স। ৪৬.৫০ গড়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করেন। সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৯৬ রান তুলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
এক ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারের সন্তান ছিলেন রবার্ট ভ্যান্স। তার পিতা আর. এ. ভ্যান্স অনেকগুলো বছর ওয়েলিংটন দলের পক্ষে খেলেছেন ও দীর্ঘদিন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Brightly fades The Don"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "The 77-run over"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- পল বার্টন
- ওয়েলিংটন ক্রিকেট দল
- ড্যানি মরিসন (ক্রিকেটার)
- নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
- নিউজিল্যান্ডীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রবার্ট ভ্যান্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রবার্ট ভ্যান্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)