রওনক সাহিত্য সংস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রওনক সাহিত্য সংস্থা[১] বা রওণক সাহিত্য গোষ্ঠী হলো ১৯৫৮ বা মতান্তরে ১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বা পূর্ব বাংলায় প্রতিষ্ঠিত একটি বাংলা সাহিত্য সংগঠন।[২][৩] বাংলা ভাষায় ইসলামী ভাবধারা ও মূল্যবোধ সম্বলিত রচনার বিকাশ ও সংস্কৃত শব্দের পরিবর্তে আরবি, ফারসি, উর্দু শব্দের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম সাহিত্য ও ভাষাগত সংস্কৃতির আবহের বিকাশ চর্চা করা ছিল এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।[৪][৫] উক্ত সংগঠনের সদস্যগণ এ ভাষারীতিকে পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলার পাকিস্তানি ইসলামী আবহ সম্বলিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির আদর্শ অনুসৃত বাংলা ভাষা হিসেবে পাক-বাংলা ভাষা নামে নামকরণ করেন।[৬][৭]

সদস্যগণ[সম্পাদনা]

এতে মোট ২১ জন সদস্য ছিলেনঃ[৬]

  1. আবুল কালাম শামসুদ্দীন
  2. ইব্রাহিম খাঁ
  3. মোহম্মদ বরকতউল্লাহ
  4. মতীনউদ্দীন আহমদ,
  5. মুজীবুর রহমান খাঁ,
  6. আকবর উদ্দীন
  7. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন
  8. খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন
  9. এম নাসির আলী
  10. মওলানা মোস্তাফিজুর রহমান
  11. আজিজুর রহমান
  12. গোলাম মোস্তফা
  13. বেনজির আহমদ
  14. আশরাফউজ্জামান খান
  15. তালিম হোসেন
  16. মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ্
  17. আবদুর রহমান
  18. আবদুল মান্নান
  19. শামসুল হুদা চৌধুরী
  20. মোহাম্মদ হোসেন
  21. ...

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

১৯৫১ সালের শেষ দিকে ৫নং স্যামসন রোডে 'রওনক পাবলিকেশন্স' প্রতিষ্ঠিত হয়। তা থেকে প্রকাশিত হয়ঃ[৬]

  • 'নজরুল সাহিত্য' (১৯৬০) - মীর আবুল হোসেন সম্পাদিত কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সঙ্গীতসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখার সংকলন। এতে ২৩ জন লেখকের রচনা সংকলিত হয়। যথাঃ মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, আবদুল কাদির, আবদুল মওদুদ, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, অজিতকুমার গুহ, আবুল ফজল, সৈয়দ আলী আশরাফ, মুহম্মদ আবদুল হাই, আহমদ শরীফ, আহসান হাবীব, হাসান হাফিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মুজীবুর রহমান খাঁ, আনিসুজ্জামান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আতোয়ার রহমান, কাজী মোতাহার হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ। এটি পূর্ব বাংলায় নজরুল বিষয়ক প্রথম সমালোচনা গ্রন্থ।
  • 'জুলেখার মন' (কাব্যগ্রন্থ) - মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ
  • 'বৃষ্টিমুখর' - আবদুস সাত্তার
  • 'কুলসুম' - আবদুল হাই মাশরেকী

বিলুপ্তি[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালে সংস্থাটি বিলুপ্ত হয়।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rahamāna, Sāīda-ura (১৯৮৩)। Pūrba Bāṃlāra sāṃskr̥tika āndolana। Ḍānā Prakāśanī। পৃষ্ঠা 39। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  2. Mahfuzullah, Md (১৯৮১)। Sahityera rupakara : articles on the contribution of Muslim writers to Bengali language and literature। Isalamika Phaundesana Bamladesa-era pakshe Isalami Samskrtika Kendra, Dhaka। পৃষ্ঠা ১৩৬, ১৩৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  3. Ālhelāla, Baśīra (১৯৮৫)। Bhāshā āndolanera itihāsa। Bāṃlā Ekāḍemī। পৃষ্ঠা ১৫০। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  4. Jībanī granthamālā। Bāṃlā Ekāḍemī। ১৯৯০। পৃষ্ঠা ৪৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  5. Śāmasuddīna, Ābula Kālāma (১৯৬৮)। Atīta dinera smr̥ti। Naoroja Kitābistāna। পৃষ্ঠা ৩৬৮, ৪৫৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  6. Siddikī, Rejoẏāna (১৯৯৬)। Pūrba Bāṃlāra saṃskr̥tika saṃgaṭhana o saṃskr̥tika āndolana, 1947-1971। Bāṃlā Ekāḍemī। পৃষ্ঠা ১০৩–১১১। আইএসবিএন 978-984-07-3343-9। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  7. Maolānā Mustāphījura Rahamāna, jībana o sāhitya। Mohāmmada Mākachudura Rahamāna। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৯৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২