মো. মজিবুর রহমান মিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মো. মজিবুর রহমান মিয়া
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1965-07-04) ৪ জুলাই ১৯৬৫ (বয়স ৫৮)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

মো. মজিবুর রহমান মিয়া (জন্ম: ৪ জুলাই ১৯৬৫) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।[১] তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২, যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারক ছিলেন।[২]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

মিয়ার জন্ম ৪ জুলাই ১৯৬৫ সালে।[৩] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মিয়া ১৯৯২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হয়।[৩] তিনি ১৯৯২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে অনুশীলন শুরু করেন।[৩]

২০০৯ সালে ৯ ফেব্রুয়ারী তারিখে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়।[৩] মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রেনিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৩]

মিয়া ২০ অক্টোবর ২০১১ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হয়।[৩] ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ সালে মিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-2-এ নিয়োগ দেওয়া হয়।[৩] মিয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আব্দুল কাদের মোল্লাকে[৪] মিঞা ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার মিরসারায় ফতোয়া চাপানোর চেষ্টার বিষয়ে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।[৫]

মিয়াকে ৭ অক্টোবর ২০১৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।[৩]

২০২১ সালে মে মাসে মিয়া দ্য ডেইলি স্টার এ আইনি বহুবিবাহ রক্ষার জন্য একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন।[৬] মিয়া ও বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন চট্টগ্রাম জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয়।[৭] মিয়া ও বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন মোল্লা ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।[৮] মিয়া ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লা পদোন্নতির দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানোর পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এক কর্মচারীকে পুনর্বহাল না করায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রায় দেন।[৯] মিঞা ও বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন মোল্লা সরকারকে অনিবন্ধিত বাংলাদেশী সংবাদ ওয়েবসাইটে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন।[১০]

মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত চাঁদপুর জেলার মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন।[১১] মিয়া ২০২২ সালের আগস্টে ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দো সরকারী সার্ভিস এসির একটি বিধান স্থগিত করেছিলেন যার জন্য সরকারী কর্মচারীদের গ্রেফতার করার আগে পুলিশকে সরকারী অনুমতি নিতে হবে।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bangladesh High Court questions legal provisions that legalise 'marital rape'"South Asia Monitor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  2. "Mueen Uddin, Ashraf 'abducted Prof Gias'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  4. "Summary of verdict in Quader Mollah case"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  5. "HC wants probe into fatwa incident in Mirsarai"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  6. Miah, Justice Md Mozibur Rahman (২০২১-০৫-১৮)। "Polygamy: Enabling Law and its analysis in Bangladesh Perspective"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  7. "'Shut down illegal brick kilns in Ctg'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  8. "HC stays BFUJ polls for two months"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  9. "HC issues contempt of court rule against Mayor Atiqul, four other DNCC officials"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১০-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  10. "Ban illegal news sites"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  11. "HC bars local AL leader from extracting sand in Meghna"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৫-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭ 
  12. Sarkar, Ashutosh (২০২২-০৯-০৬)। "Permission for arrest: It's to protect some corrupt govt officials"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৭