মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন
যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৫ মার্চ ১৯৯১ – জুন ১৯৯৬
পূর্বসূরীআব্দুল কাদের
উত্তরসূরীআবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৫৩/১৯৫৪ (৬৯–৭০ বছর)[১]
মৃত্যু১১ ডিসেম্বর' ২০২১
ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন যিনি মওলানা শাখাওয়াত নামে সুপরিচিত।[২] একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি যথাক্রমে ৫মষষ্ঠ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হিসাবে যশোর-৬ আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[৩][৪] পরে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]

২০১৬ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন।[৬] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় দু'জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ ও দু'জনকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।[৭]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন ১৯৫৪ সালে যশোরের কেশবপুরের হিজলডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১২ বছর বয়সে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে আলিম এবং ১৯৬৯ সালে ফাজিল পাস করেন। তিনি ১৯৭১ সালে খুলনার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পরীক্ষা দিলেও ওই বছর পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ১৯৭২ সালে আবারো কামিল পরীক্ষা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ১৯৭২ সালেই মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ থেকে এমএ পাস করেন। ১৯৮১ সালে শিক্ষকতা বাদ দিয়ে তিনি অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল (এজি) অফিসে চাকরি নেন। ১৯৮৬ সালে হন জামায়াতে ইসলামীর রুকন।

যুদ্ধাপরাধের দণ্ড[সম্পাদনা]

হোসেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় চিংড়া বাজারে শিবির তথা জামায়াতে ইসলামী দলের ছাত্র সংগঠন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়ক রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন, ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। [৬][৮] আল-বদর নামে একটি আধাসামরিক বাহিনী যখন গঠিত হয়েছিল তিনি সেটায় যোগদেন। [৫]

হোসেনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহায়তাকারী একটি গোষ্ঠীর স্থানীয় কমান্ডার হিসাবে কাজ করার অভিযোগ ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত সংস্থা ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত শুরু করে। হোসেনের ঢাকার উত্তরখানের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২৯ নভেম্বর ২০১৪ সালে।[৯] ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য হোসেনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করে প্রসিকিউশন। [৮] পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু'জনকে হত্যা করা, একজনকে ধর্ষণ করা এবং দু'জনকে নির্যাতন করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। [৬] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালত এই অভিযোগ গ্রহণ করেছিলেন। [৯] আগস্ট ২০১৬ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। [৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ICT-1 seeks formal charge against ex-MP Sakhawat July 26"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৬-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  2. "Tribunal indicts former JP MP Shakhawat Hossain, eight others for 1971 war crimes"bdnews24.com। ২০১৫-১২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  3. "List of 5th Parliament Members"www.parliament.gov.bd। ২০২৩-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  4. "List of 6th Parliament Members"www.parliament.gov.bd। ২০২০-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  5. "Former MP Sakhawat gets death penalty for war atrocities in Jessore, seven others get prison until death"bdnews24.com। ২০১৬-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  6. "Bangladesh sentences ex-MP to death for war crimes in 1971"AP NEWS। ২০১৬-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  7. "Death penalty for Shakhawat"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  8. "Ex-MP Shakhawat, 11 others charged"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫ 
  9. "War trial: Charges against 9 including ex-MP Shakhawat accepted"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫