মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী
তাতমাদাও တပ်မတော် Tapmătau রয়্যাল আর্মড ফোর্সেস | |
---|---|
Flag of the Armed Forces (Tatmadaw) of Myanmar.svg|border পতাকা | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৭ মার্চ ১৯৪৫[১] |
সার্ভিস শাখা | |
প্রধান কার্যালয় | নেপিদো, মিয়ানমার |
নেতৃত্ব | |
প্রধান সেনাপতি | ![]() |
방রক্ষা মন্ত্রী | ![]() |
লোকবল | |
সেনাবাহিনীর বয়স | ১৮ বছর বয়স |
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ | * পুরুষ: ১৮–৪৫ বছর
|
সামরিক বাহিনীতে সেবাদানে সক্ষম |
১,৪৭৪৭,৮৪৫ পুরুষ, বয়স 15–49 (২০১০ অনুমান), ১,৪৭১০,৮৭১ মহিলা, বয়স ১৫-৪৯ (২০১০ অনুমান) |
সেনাবাহিনীতে যোগদানের উপযুক্ত |
১,০৪৫১,৫১৫ পুরুষ, বয়স 15–49 (২০১০ অনুমান), ১,১১৮১,৫৩৭ মহিলা, বয়স ১৫-৪৯ (২০১০ অনুমান) |
বছরে সামরিক বয়সে পৌছায় |
৫২২,৪৭৮ পুরুষ (২০১০ অনুমান), ৫০৬,৩৮৮ মহিলা(২০১০ অনুমান) |
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ | বিভিন্ন অনুমান অনুযায়ী ১,০০,০০০[৩] থেকে ৩৫৬,০০০ জন সক্রিয় সদস্য[৪] |
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ | ১৮,৯৯৮
|
ব্যয় | |
বাজেট | $২.৭ বিলিয়ন[৭] (২০২৩) |
শতকরা জিডিপি | ৪% (২০১৪) |
উদ্যোগ | |
স্থানীয় সরবরাহকারী | *মিয়ানমার প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তর
|
বৈদেশিক সরবরাহকারী | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | |
মর্যাদাক্রম | মিয়ানমারের সামরিক পদ |
|
সংসদীয় আসন တပ်မတော်သား လွှတ်တော်ကိုယ်စားလှယ်များ (বর্মী) | |
---|---|
Amyotha Hluttaw-এ আসন | ৫৬ / ২২৪ |
Pyithu Hluttaw-এ আসন | ১১০ / ৪৪০ |
State Administration Council-এ আসন | ৯ / ১৮ |
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বা মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এটি স্থানীয় বর্মী ভাষায় তাতমাডো (বর্মী: တပ်မတော်; এমএলসিটিএস: tatma.taw, আইপিএ: [taʔmədɔ̀], আক্ষ. অনু. মহাসেনাবাহিনী) বা সিত-তাত[১২][১৩][১৪] নামে পরিচিত। মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি পরিচালনা করে। এটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী, মিয়ানমার নৌবাহিনী ও মিয়ানমার বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত। সহকারী বাহিনীগুলির মধ্যে আছে মিয়ানমার পুলিশ বাহিনী, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী, মিয়ানমার উপকূল রক্ষীবাহিনী (কোস্ট গার্ড) এবং গণযোদ্ধা বাহিনীর বিভিন্ন দল।[১৫] ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অনেকগুলি তাৎপর্যপূর্ণ নৃগোষ্ঠীগত বিদ্রোহের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে চিন, কাছিন, কায়িন, কায়া ও শান অঙ্গরাজ্যগুলিতে। ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে জেনারেল নে উইন দেশের ক্ষমতা দখল করেন ও বর্মী পন্থায় সমাজতন্ত্র নামের একটি নিরঙ্কুশ স্বৈরতান্ত্রিক সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা করেন। ১৯৮৮ সালে দেশব্যাপী প্রতিবাদের সহিংস নিপীড়নের পরে সামরিক বাহিনী ১৯৯০ সালে মুক্ত নির্বাচনের জন্য সম্মত হয়, কিন্তু সেই নির্বাচনে জাতীয় গণতন্ত্র লীগের বিজয় প্রত্যাখ্যান করে সেটির নেত্রী অং সান সু কি-কে কারাবন্দী করে।[১৬] ১৯৯০-এর দশকে রাখাইন রাজ্যে বর্মী বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পায়, এর কারণ ছিল মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর উপরে রোহিঙ্গা সংহতি সংস্থার আক্রমণ। এর সূত্র ধরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর দমন-নিপীড়ন এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জাতিগত গণহত্যা বা জাতিগত নিধন শুরু হয়।
২০০৮ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আবারও মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধন করে এবং ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সামরিক জান্তাপন্থী ঐক্য, সংহতি ও উন্নয়ন দল নামক দলটিকে ক্ষমতায় বসায়। ঐ নির্বাচনটি প্রায় সমস্ত বিরোধী দল বর্জন করেছিল। পরবর্তী অর্ধ-দশকে মিয়ানমারে অনেকগুলি রাজনৈতিক সংস্কার ঘটে যার সূত্র ধরে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় গণতন্ত্র লীগ আবার বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে।[১৭] ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনেও ঐক্য, সংহতি ও উন্নয়ন দলটি পরাজয় বরণ করলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নির্বাচন বাতিল করে দেয় এবং ২০২১ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতিগত নিধন।[১৮][১৯][২০] রাজনৈতিক নিপীড়ন, শারীরিক নিগ্রহ, যৌন আক্রমণ, যুদ্ধাপরাধ, বিচার-বহির্ভূত শাস্তি (যার মধ্যে অবিলম্ব মৃত্যুদণ্ড ও শান্তিপূর্ণ মিছিলকারী বেসামরিক ব্যক্তিদের গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত)।[১৮][২১][২২] মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বহুকাল ধরে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে চলেছে।[২৩][২৪]
মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বদান করবেন প্রতিরক্ষা পরিষেবার প্রধান সমরনায়ক। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কিছু কিছু কাজের জন্য ১১ জন সদদ্য নিয়ে গঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, তবে তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের সাথে একত্রে কাজ করে সামরিক কাজ অনুমোদন করতে পারবেন। [২৫]
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ এটি প্রধান স্টাফদের অফিসের formation patch হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Armed Forces Day (Myanmar)
- ↑ "Protégé of Myanmar Junta Boss Tipped to be His Successor as Military Chief"। The Irrawaddy। ১৭ মার্চ ২০২২। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "PANDEMONIUM: The Conscription Law and Five Negative Potential Consequences | ISP-Myanmar"। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ১৬ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৪।
- ↑ International Institute for Strategic Studies (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। The Military Balance 2023। London: Routledge। পৃষ্ঠা 275। আইএসবিএন 9781032508955। ১ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ ক খ "Border Guard Force Scheme"। Myanmar Peace Monitor। ১৮ মার্চ ২০২০। ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০। অজানা প্যারামিটার
|orig-date=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Maung Zaw (১৮ মার্চ ২০১৬)। "Taint of 1988 still lingers for rebooted student militia"। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Myanmar Junta Increases Military Budget to US$2.7 Billion"। The Irrawaddy। ৭ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "Myanmar shipyard building 4th frigate"। ৩০ মার্চ ২০২১। ১ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ...
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;aa7
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "CINCDS Myanmar"। Cincds.gov.mm। ১৪ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;hein
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Myanmar's Military is a Regional Destabilizer"। Wilson Center (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৯।
- ↑ "Please don't call the Myanmar military 'Tatmadaw'" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৯।
- ↑ Buchanan, John (জুলাই ২০১৬)। "Militias in Myanmar" (পিডিএফ)। The Asia Foundation। ৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Wudunn, Sheryl (১১ ডিসেম্বর ১৯৯০)। "New 'Burmese Way' Relies On Slogans From the Military (Published 1990)"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Myanmar's 2015 landmark elections explained"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ডিসেম্বর ২০১৫। ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ ক খ "OHCHR | Myanmar: Tatmadaw leaders must be investigated for genocide, crimes against humanity, war crimes – UN report"। ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Myanmar's military accused of genocide in damning UN report"। TheGuardian.com। ২৭ আগস্ট ২০১৮। ১০ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "U.N. Investigators Renew Call for Genocide Probe in Myanmar"। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "The World Isn't Prepared to Deal with Possible Genocide in Myanmar"। The Atlantic। ২৮ আগস্ট ২০১৮। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Tatmadaw Claims Killed Karen Community Leader Was a Plainclothes Fighter"। ১১ এপ্রিল ২০১৮। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Smith, Martin (১ ডিসেম্বর ২০০৩)। "The Enigma of Burma's Tatmadaw: A "State Within a State""। Critical Asian Studies। 35 (4): 621–632। এসটুসিআইডি 145060842। ডিওআই:10.1080/1467271032000147069।
- ↑ Ebbighausen, Rodion (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Myanmar's military: A state within a state"। Deutsche Welle। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Constitution of the Republic of the Union of Myanmar" (পিডিএফ)। Ministry of Information। সেপ্টেম্বর ২০০৮। ১৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।