মাশরিক
| মাশরিক المشرق | |
|---|---|
| রাষ্ট্রসমূহ | |
মাশরিক (مشرق) দ্বারা মিশর থেকে পূর্ব দিকের আরব দেশসমূহকে বোঝানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে মিশর, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্ডান, ও সিরিয়া।[৫][৬][৭] শাব্দিকভাবে এর অর্থ “সূর্যোদয়ের স্থান”। নামটি শারাকা (شرق “আলোকিত করা”) ক্রিয়া থেকে উদ্ভব হয়েছে যা দ্বারা সূর্যোদয়ের দিক তথা পূর্বদিক নির্দেশ করা হয়।[৮][৯]
ভূমধ্যসাগর ও ইরানের মধ্যবর্তী স্থান মাশরিকের অন্তর্গত। অনুরূপ একটি পরিভাষা হল মাগরেব যা উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাংশ নিয়ে গঠিত। দেশসমূহের মধ্যে মিশর সাংস্কৃতিক, জাতিতাত্ত্বিক ও ভাষাগত দিক থেকে মাশরিক ও মাগরেবের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। একারণে মিশর আরব বিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং আরব লীগের সদরদপ্তর মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত। তবে সাধারণত মিশর মাশরিকের অংশ বিবেচিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে মিশর ও লেভান্ট অনেক সময় একই অঞ্চল হিসেবে শাসিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় রাজ্য, উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমীয় খিলাফত, আইয়ুবী রাজবংশ, মামলুক ও মুহাম্মদ আলি পাশার অধীন কিছু সময়। মিশরীয় ও লেভান্টাইন ভাষার মধ্যে মিল রয়েছে।
একইভাবে লিবিয়ার উপর মাশরিক ও মাগরেবের প্রভাব রয়েছে। এর পূর্ব অংশ মিশরের মাধ্যমে মাশরিকের সাথে সম্পর্কিত।[১০]
এই ভৌগোলিক পরিভাষাটি মুসলিম সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের সময় থেকে ব্যবহার শুরু হয়। এই অঞ্চল বিলাদ আল শাম ও মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ের অনুরূপ। মাশরিকে অনেক ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
২০১৪ সালের হিসাব মতে মাশরিক পৃথিবীর জনসংখ্যার ১.৭%।[১১][১২][১৩][১৪][১৫][১৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "About ANPGR"। Arab Network of Plant Genetic Resources।
- ↑ "Mashreq"। Association of Agricultural Research Institutions in the Near East & North Africa। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Archived copy"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক) - ↑ "لماذا يستثنى الأردن من التقسيم؟ الوضع الداخلي هو العنصر الحاسم*فهد الخيطان" [Why is Jordan exempted from the division? The internal situation is a critical component * Fahd strings]। rasseen.com (আরবি ভাষায়)। Rasseen। ১৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "European Neighbourhood Policy in the Mashreq Countries: Enhancing Prospects for Reform"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Introduction to Migration and the Mashreq"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- ↑ "Migrants from the Maghreb and Mashreq Countries" (পিডিএফ)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- ↑ Alvarez, Lourdes María (২০০৯)। Abu Al-Ḥasan Al-Shushtarī। Paulist Press। পৃ. ১৫৭। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮০৯১-০৫৮২-৩।
- ↑ Peek, Philip M.; Yankah, Kwesi (১২ ডিসেম্বর ২০০৩)। African Folklore: An Encyclopedia। Routledge। পৃ. ৪৪২। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৫-৯৪৮৭৩-৩।
- ↑ Gall, Michel Le; Perkins, Kenneth (২০১০)। The Maghrib in Question: Essays in History and Historiography। University of Texas Press। পৃ. ৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৯২-৭৮৮৩৮-১।
- ↑ "Official estimate of the Population of Egypt"। ২৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- ↑ UN estimate for Lebanon
- ↑ "New Page 1"। ১৭ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Official estimate of the population of Palestine
- ↑ UN estimate for Syria
- ↑ "Iraq"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।