মসজিদ আল কিবলাতাইন (সোমালিয়া)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মসজিদ আল কিবলাতাইন (আরবি: مَـسْـجِـد الْـقِـبْـلَـتَـيْـن)
"দুই কিবলার মসজিদ"
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অঞ্চলপূর্ব আফ্রিকা
অবস্থান
অবস্থানসোমালিয়া জেলিয়া, সোমালিয়া
স্থানাঙ্ক১১°২১′১৪″ উত্তর ৪৩°২৮′২৬″ পূর্ব / ১১.৩৫৩৮৯° উত্তর ৪৩.৪৭৩৮৯° পূর্ব / 11.35389; 43.47389
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়৭ম শতাব্দী
মিনার১ টি

মসজিদ আল কিবলাতাইন (আরবি: مَـسْـجِـد الْـقِـبْـلَـتَـيْـن) হচ্ছে সোমালিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আওদাল অঞ্চলের জেইলা শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এই মসজিদটি লাবো-কিবলা মসজিদ নামেও পরিচিত।[১][২]

বিবরণ[সম্পাদনা]

এই মসজিদটির নামের অনুবাদ হচ্ছে (আরবি: مَـسْـجِـد الْـقِـبْـلَـتَـيْـن; "দুই কিবলার মসজিদ")। মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় হিজরতের (আরবি: هِـجْـرَة) কিছু কাল পরে সপ্তম শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।[৩] এটি আফ্রিকার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। মসজিদটিতে শেখ বাবু দেনার সমাধি রয়েছে। বর্তমানে মসজিদটির বেশিরভাগই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এই মসজিদে দুটি মিহরাব রয়েছে: একটি মক্কার দিকে উত্তরমুখী এবং অন্যটি উত্তর-পশ্চিম দিকে জেরুজালেমের দিকে মুখ করা।[৪] মক্কার কাবা ঘর মুসলিমদের বর্তমান কিবলা হওয়ায় কিবলা পরিবর্তনের পর থেকে ইমাম শুধুমাত্র উত্তরমুখী মিরহাবেই নামাজ পড়াতেন।

সোমালিয়াতে এর প্রভাব[সম্পাদনা]

এই মসজিদটি সোমালিয়ায় ইসলামের ইতিহাসের সাথে আবদ্ধ। দির জনগোষ্ঠীর শহর জেইলা-তে মসজিদ আল কিবলাতাইন এমন এক স্থান হিসেবে পরিচিত যেখানে ইসলামের নবী মুহাম্মদের প্রথম সাহাবী এবং স্থানীয় সোমালীয়রা আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরতের পরপরই একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বপ্রথম দির জনগোষ্ঠী ইসলাম গ্রহণ শুরু করলেও এই মসজিদটি নির্মাণের পর অন্যান্য জাতির মধ্যেও দ্রুত ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। সপ্তম শতাব্দীর মধ্যেই সোমালিয়ার জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Qiblatayn Saylac Kuma-Yaalo-ee-waa Madiinatariikhda ha-la Saxo wq Khadar Aar[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] markanews.net
  2. "Districts of Somaliland"। Statoids.com। 
  3. Briggs, Phillip (২০১২)। Somaliland। Bradt Travel Guides। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 1841623717 
  4. Fauvelle-Aymar, François-Xavier। "Le port de Zeyla et son arrière-pays au Moyen Âge: Investigations archéologiques et retour aux sources écrites"। Livre Islam। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৪