মন্টেজ: লাইফ, পলিটিক্স, সিনেমা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মন্টেজ: লাইফ, পলিটিক্স, সিনেমা
Montage: Life, Politics, Cinema
লেখকমৃণাল সেন
দেশভারত
ভাষাইংরেজি
ধরনআত্মজীবনী ও সমসাময়িক সময়ের অজানা ইতিহাস
প্রকাশকসীগাল বুক্‌স
প্রকাশনার তারিখ
১ জানুয়ারী ২০০২
মিডিয়া ধরনপেপার বাঁধাই, হার্ড কভার
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩৬০
আইএসবিএন৯৭৮-০৮৫৭৪২৪৯৮৩

মন্টেজ: লাইফ, পলিটিক্স, সিনেমা[ক] (ইংরেজি: Montage: Life, Politics, Cinema) বৈশ্বিক সিনেমা জগতে বাঙালিরবাংলার প্রতিনিধিত্বকারী বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক মৃণাল সেনের ইংরেজি ভাষায় লিখিত একটি বই। তিনি বরাবরই তার জীবন ও সিনেমাকে আমাদের চারপাশে ঘটে চলা সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করতেন এবং সেটাই তার এই বইটির উপজীব্য।[১] বইটি সীগাল বুক্‌স থেকে ১ জানুয়ারী ২০০২ সালে প্রকাশ পায়।[২]

বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের মৃণাল সেন সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবন কাহিনী সিনেমার মধ্যদিয়ে প্রকাশ করে সিনেমার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তার সূক্ষ এবং অতন্দ্র সুচিন্তিত চলচ্চিত্র ভাবনার মধ্যদিয়ে বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তর দশকের নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর নানা সামাজিক চিন্তা ও তাদের নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, বাম মনোভাবাপন্ন রাজনীতি এবং কলকাতা শহরের নানা ঘটনা সুচারুভাবে প্রকাশিত হয়েছে। মৃণাল সেন এই সব কিছুকেই তার চলচ্চিত্র ভাবনার স্বর্ণভূমি বলে ব্যক্ত করেছেন। সেই সকল ঘটনাই তার এই বইতে লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করেছেন।[১][৩]

লেখক পরিচিতি[সম্পাদনা]

১৯২৩ সালের ১৪ মে মৃণাল সেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত পূর্ব বঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদপুরে থাকাকালীন সময়ে তিনি সেখানেই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার পর তিনি একজন সাংবাদিক, একজন ওষুধ বিপননকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দ কলাকুশলী হিসাবে কাজ করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় ৯৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত সমস্যার তার মৃত্যু হয়।[৪]

বিষয় সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

মন্টেজ বইটি বিংশ শতাব্দির শেষ পঞ্চাশ বছরের বাংলা সিনেমা তথা বিশ্ব সিনেমার একটা সারসংক্ষেপ হিসাবে লেখা হয়েছে। বইটির প্রথম ভাগ নানা ঘটনার মৌলিক নিবন্ধের সংকলন, বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ, চিঠিপত্র, থিয়েটার, চলচ্চিত্র এবং সমালোচনা ইত্যাদি নানা বিষয়কে আলোকিত করেছে। এছাড়াও বাংলার সমসাময়িক চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ঋত্বিক ঘটকের নানা সমালোচনা, চার্লি চ্যাপলিনের অনুপ্রেরণা, বিদেশি চিত্রপরিচালকদের নানা বক্তব্য বা লাতিন আমেরিকার নানা শহরে বিভিন্ন বিদ্বজনের সাথে তার সাক্ষাৎকার সুশৃঙ্খলভাবে লেখা হয়েছে। সবমিলিয়ে তার এই বইটা ব্যক্তি ও চলচ্চিত্রকার উভয় মননের মৃণাল সেনের অদ্বিতীয় সৃষ্টিশীল মননের বহিঃপ্রকাশ করেছে এবং তার বহু প্রশংসিত সিনেমাগুলোর অপ্রকাশিত নানা ঘটনাকে তুলে ধরেছে।[১][৫]

পরিচ্ছেদসমূহ[সম্পাদনা]

বইটির পরিচ্ছেদ গুলি যথাক্রমেঃ[৬]

  • একটি অনিশ্চিত যাত্রা (An Uncertain Journey)
  • অপরিচিত ফরিদপুর (Unfamiliar Faridpur)
  • সাক্ষাৎকার, ১৯৮১ (Interview, 1981)
  • প্যারাডাইস ক্যাফে (Paradise Café)
  • স্বপ্ন ও স্বপ্নদর্শীর এক নিদারুণ পরিণতি (A Terrible Dearth of Dreams and Dreamers)
  • নতুন কিছু বলা কথা (To Say Something New)
  • একটি পুরনো চিঠি (An Old Letter)
  • সাক্ষাৎকার ১৯৮১ (Interview, 1981)
  • আমার পুত্র ও আমি (My Son and I)
  • সাক্ষাৎকার ১৯৮২ (Interview, 1982)
  • সাক্ষাৎকার ১৯৮৩ (Interview, 1983)
  • A World Built or Gained Is but the World Lost
  • অপু, চিরন্তন অপু (Apu, Eternal Apu)
  • চ্যাপলিনের দুঃসাহসিক অভিযান (Chaplin’s Odyssey)
  • Cinema Par Excellence: Films from Latin American
  • এক মজাদার অপ্রস্তুত প্রশংসা : লিন্ডসে আন্ডার্সন (A Funny, Bitter Allegory: Lindsay Anderson)
  • নিরবতাময় স্থান : আন্দ্রে টারকস্কি (This Space of Silence: Andrei Tarkovsky)
  • চলচ্চিত্র ও সাহিত্য (Cinema and Literature)
  • ‘The Time of the Prologue Is Eternity’
  • Filmography

লেখকের অন্যান্য বই সমূহ[সম্পাদনা]

  • জনৈকের জীবনচরিত (১৯৪৬, নিউ এজ) - অনুবাদক
  • চার্লি চ্যাপলিন (১৯৫৩, নিউ এজ)
  • ভিউস অন সিনেমা (১৯৭৭, ইংরেজি)
  • সিনেমা, আধুনিকতা (১৯৯২, প্রতিক্ষণ প্রকাশনী)
  • অলোয়েজ বিইঙ্গ বর্ন (২০০৪, ইংরেজি, স্টেলার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড)

অরো দেখুন[সম্পাদনা]

লেখকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

পাদটিকা[সম্পাদনা]

  1. Montage (/mɒnˈtɑːʒ/) কথাটিরর আক্ষরিক অর্থ হলো চলচ্চিত্রের ছোট ছোট অংশকে পর পর সাজিয়ে সিনেমা তৈরির কৌশল।

সূত্র তালিকা[সম্পাদনা]

  1. "Montage: Life, Politics, Cinema - Google Search"www.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৫ 
  2. "Understanding My Times: An Interview with Mrinal Sen"Cineaste Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৫ 
  3. "Mrinal Sen's death marks the end of Golden Age of Indian cinema's stalwart filmmakers"https://www.hindustantimes.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. "Mrinal Sen passes away: Books by the auteur which shed light on his life and films"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৫ 
  5. Quandt, James (২০১৮-০৫-২৪)। "Filmmaker by Accident" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0028-7504। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৫ 
  6. Montage