ভার্ডান স্কট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভার্ডান স্কট
১৯৫৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ভার্ডান স্কট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামভার্ডান জন স্কট
জন্ম৩১ জুলাই, ১৯১৬
ডেভেনপোর্ট, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২ আগস্ট ১৯৮০(1980-08-02) (বয়স ৬৪)
ডেভেনপোর্ট, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামস্কটি, দ্য স্কটসম্যান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কআলফ্রেড স্কট (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯)
২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৮০
রানের সংখ্যা ৪৫৮ ৫,৬২০
ব্যাটিং গড় ২৮.৬২ ৪৯.৭৩
১০০/৫০ ০/৩ ১৬/২৩
সর্বোচ্চ রান ৮৪ ২০৪
বল করেছে ১৮ ৭৩৮
উইকেট ১০
বোলিং গড় ২৭.১০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/- ৪২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ এপ্রিল ২০২০
ভার্ডান স্কট
Playing information
Positionইউটিলিটি ব্যাক
Club
Years Team Pld T G FG P
নর্থ শোর
Representative
Years Team Pld T G FG P
অকল্যান্ড
১৯৩৯ নিউজিল্যান্ড

ভার্ডান জন স্কট (ইংরেজি: Verdun Scott; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯১৬ - মৃত্যু: ২ আগস্ট, ১৯৮০) ডেভেনপোর্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রাগবি লীগের খেলোয়াড় ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিং করতেন ‘স্কটি’ ডাকনামে পরিচিত ভার্ডান স্কট

রাগবি লীগে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রাগবি লীগ খেলতে শুরু করেন। অকল্যান্ড বি দলের পক্ষে খেলেন। এরপর, ফুটবলের তুলনায় লীগ খেলাকেই প্রাধান্য দেন তিনি।[১] লীগে স্কট দ্রুত অকল্যান্ড দলের সদস্যরূপে নিজেকে মেলে ধরেন। ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে নিউজিল্যান্ড রাগবি দলের সদস্যরূপে খেলার জন্যে মনোনীত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে এ সফর তড়িঘড়ি করে শেষ করতে হয়। এ সফর বাতিলের পূর্বে পাঁচজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে কিউইদের পক্ষে দুইটি ক্লাবের খেলায় অংশ নিতে পারেননি।[২] নর্থ শোরের সদস্যরূপে কার্ল পার্কে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণের পর ইডেন পার্কে চলে যান। সেখানে মৌসুমে শেষ খেলায় ২২ রান তুলেছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ভার্ডান স্কট মিশর ও ইতালিতে নিযুক্ত ছিলেন।[২] যুদ্ধ শেষ হবার পর নর্থ শোর অ্যাবিয়ন্স দলের সদস্যরূপে ছিলেন। ১৯৪৫ সালে অকল্যান্ড রাগবি লীগে রুপ রুস্টার ও স্টরমন্ট শীল্ডের শিরোপা জয় করে তার দল।[৩] ২০১৭ সাল পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেট ও রাগবি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[২]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৭-৩৮ মৌসুম থেকে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম পর্যন্ত ভার্ডান স্কটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বলিষ্ঠ ও লম্বাটে গড়নের অধিকারী ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভার্ডান স্কট খুবই কম কিংবা পিছনের পায়ে ভর রেখে খেলতেন না।

১৯৩৭-৩৮ মৌসুমে অকল্যান্ডের সদস্যরূপে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে অভিষেক খেলাকে স্মরণীয় করে রাখেন। বেশ লম্বাটে গড়নের অধিকারী ভার্ডান স্কট পিছনের পায়ে ভর রেখে খেলতেন না ও তার ব্যাটিংয়ের ধরন দর্শনীয় ছিল না। তবে, হাতে প্রচণ্ড জোর ছিল ও স্ট্রোকগুলো দ্রুততার সাথে বহমান ছিল। বার্ট সাটক্লিফের সাথে আদর্শ উদ্বোধনী জুটি হিসেবে খেলতে নামতেন।

১৯৩৭-৩৮ মৌসুম থেকে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন ভার্ডান স্কট। প্লাঙ্কেট শীল্ড ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তিনি নিয়মিত রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। ৫০-এর অল্প কম গড়ে রান পেয়েছেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ওতাগোর বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৪ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ভার্ডান স্কট। ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্চ, ১৯৪৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সংগৃহীত মাত্র ৪২ রানের মধ্যে ১৪ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। উভয় ইনিংস মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড দল মাত্র ৯৬ রান তুলতে সমর্থ হয়েছিল।

ইংল্যান্ড গমন[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ড দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। চার টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। তবে, খেলাগুলোয় তার সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ৬০। তিনি ও বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বার্ট সাটক্লিফ তিনটি খেলাতে সুন্দর সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ১২২, ৮৯ ও ১২১। বার্ট সাটক্লিফমার্টিন ডনেলি’র কারণে তার কৃতিত্ব ম্লান হয়ে গেলেও দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেছেন। ৪০.৩০ গড়ে চার শতক সহযোগে ১,৫৭২ রান তুলেন।

এরপর তিনি নিজ দেশে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন। শেষ খেলায় তিনি নিজস্বে সেরা খেলা উপহার দেন। নিউজিল্যান্ডের সংগৃহীত ১৬০ রানের মধ্যে তার অবদান ছিল ৮৪ রান। চার ঘন্টাব্যাপী এ ইনিংসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৫৪৬/৬ তুলে। কিন্তু, মন্দালোক ও বৃষ্টির কারণে পরাজয়বরণ করা থেকে তার দল রক্ষা পায়।

২ আগস্ট, ১৯৮০ তারিখে ৬৪ বছর বয়সে ডেভেনপোর্ট এলাকায় ভার্ডান স্কটের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Outstanding in three sports ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে North Shore Times Advertiser, 19 July 1979
  2. Coffey and Wood The Kiwis: 100 Years of International Rugby League আইএসবিএন ১-৮৬৯৭১-০৯০-৮
  3. Coffey, John and Bernie Wood Auckland, 100 years of rugby league, 1909–2009, 2009. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৬৯৬৯-৩৬৬-৪, p.130.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]