গর্ডন রো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গর্ডন রো
১৯৫৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে গর্ডন রো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামচার্লস গর্ডন রো
জন্ম(১৯১৫-০৬-৩০)৩০ জুন ১৯১৫
গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড
মৃত্যু৯ জুন ১৯৯৫(1995-06-09) (বয়স ৭৯)
পালমারস্টোন, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৮)
২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১
রানের সংখ্যা ৩৮০
ব্যাটিং গড় ০.০০ ২০.০০
১০০/৫০ ০/০ -/২
সর্বোচ্চ রান ৭২
বল করেছে - ২৪৯
উইকেট -
বোলিং গড় - ২৯.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ২/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ১০/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চার্লস গর্ডন রো (ইংরেজি: Gordon Rowe; জন্ম: ৩০ জুন, ১৯১৫ - মৃত্যু: ৯ জুন, ১৯৯৫) গ্লাসগো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন গর্ডন রো। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৪৪-৪৫ মৌসুম থেকে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম পর্যন্ত গর্ডন রো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন গর্ডন রো। ১৯৪৪-৪৫ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ওয়েলিংটনের পক্ষে ছয়টিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পরপরই জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমের শুরুতে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে ওতাগো’র বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান তুলেন। ঐ মৌসুমে ২৭.০০ গড়ে ৩২৪ রান তুলেছিলেন। এরপূর্বে, ১৯৪৪-৪৫ মৌসুমে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটবিহীন খেলায় ১০২ ও ৭৯ রান তুলেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গর্ডন রো। ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

ওয়েলিংটন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন। উভয় ইনিংসেই অস্ট্রেলীয় তারকা খেলোয়াড় বিল ও’রিলি’র বলে শূন্য রানে সাজঘরে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। এরফলে, দশজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে তাদেরই একমাত্র টেস্টে জোড়া শূন্য রান লাভের দুঃসহনীয় অভিজ্ঞতা লাভের অধিকারী হন। অপর নিউজিল্যান্ডীয় লেন বাটারফিল্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।[১] বাটারফিল্ড সাত নম্বরে ও তিনি ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন।

পরবর্তী ছয় মৌসুমে কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি গর্ডন রো। তবে, ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের অধিনায়কেরূপে খেলার জগতে ফিরে আসেন। তবে, ব্যাট হাতে নিয়ে তিনি খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। কিন্তু, নিজস্ব শেষ খেলায় ওতাগোর বিপক্ষে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলকে ইনিংস বিজয়ে সুন্দর নেতৃত্ব দেন ও প্লাঙ্কেট শীল্ডের পয়েন্ট তালিকায় দলকে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যান।[২]

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় তিনটি খেলায় আম্পায়ারিত্ব করেন।[৩]

৯ জুন, ১৯৯৫ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে মানাওয়াতু’র পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় গর্ডন রো’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]