বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যারিওনিক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ব্যারিওনিক্স
সময়গত পরিসীমা: অন্ত জুরাসিক-পারম্ভিক ক্রিটেসিয়াস, ১৫.৫–১৩কোটি
ব্যারিওনিক্সের ফসিল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী
পর্ব: কর্ডাটা
বর্গ: সরিস্কিয়া
পরিবার: স্পিনোসরিডে
উপপরিবার: ব্যারিওনিচিনে
আদর্শ প্রজাতি
ব্যা.ওয়ালকারী

ব্যারিওনিক্স বা Baryonyx ( /ˌbæriˈɒnɪks/ ) হল থেরোপড ডাইনোসরের একটি প্রজাতি যা প্রায় ১৫.৫-১৩ কোটি বছর আগে অন্ত জুরাসিক থেকে প্রারম্ভিক ক্রিটেসিয়াস যুগে বসবাস করত। প্রথম কঙ্কালটি ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের সারে -এর স্মোকজ্যাক ক্লে পিটে , ওয়েল্ড ক্লে ফর্মেশনের পলিতে আবিষ্কৃত হয় এবং ১৯৮৬ সালে প্যালিওন্টোলজিস্ট অ্যালান জে চ্যারিগ এবং অ্যাঞ্জেলা সি মিলনার দ্বারা নামকরণ করা ব্যারিওনিক্স ওয়ালকারী হলোটাইপ নমুনা হয়ে ওঠে। জেনেরিক নাম, ব্যারিওনিক্স, মানে "ভারী নখর" এবং প্রথম আঙুলে প্রাণীর খুব বড় নখরকে নির্দেশ করে; নির্দিষ্ট নাম, ওয়াকারি, এর আবিষ্কারক, অপেশাদার জীবাশ্ম সংগ্রাহক উইলিয়াম জে ওয়াকারকে বোঝায়। হলোটাইপ নমুনাটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সম্পূর্ণ থেরোপড কঙ্কালগুলির মধ্যে একটি (এবং এটি সবচেয়ে সম্পূর্ণ স্পিনোসরড রয়ে গেছে), এবং এটির আবিষ্কার মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য এবং আইবেরিয়ার অন্যান্য অংশে আবিষ্কৃত নমুনাগুলিও বংশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যদিও অনেকগুলি নতুন জেনারায় স্থানান্তরিত হয়েছে।

হলোটাইপ নমুনা, যা সম্পূর্ণরূপে বেড়ে উঠতে পারেনি, অনুমান করা হয়েছিল যে এটি ৮ থেকে ৯ মিটার দীর্ঘ এবং এর ওজন ছিল ১.৫-১.৭ টন।

জীবনকাল

[সম্পাদনা]

ব্যারিওনিক্সের প্রাপ্তবয়স্ক জীবাশ্ম এখনও পাওয়া যায় নি। তাই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যারিওনিক্স কতটা লম্বা তা বলা অনেকটাই মুশকিল। ব্যারিওনিক্স ৪০ বছর বাচেঁ। যখন ব্যারিওনিক্স কেবল ডিম থেকে বের হয় তখন তারা মাত্র ৩০ সে.মি. হয়। যখন তারা ০-৩ বছর, তখন তারা ৭০ সে.মি. থেকে এক মিটার হয়। যখন তারা ৩-৭ বছর তখন তারা ১-৩.২ মিটার হয়। যখন তারা ৭-১৪ বছর তখন তারা ৩.২-৫.৩ মিটার হয়। যখন তারা ২০ বছর বয়সী হয় তারা আধা-প্রাপ্তবয়স্ক হয়। তখন তারা ৯ মিটার পর্যন্ত হয়। যখন তারা ২৬ বছর বয়সী তখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়,কিন্তু এখনও প্রাপ্তবয়স্ক কনকাল পাওয়া যায়নি। কিন্তু অনুমান যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যারিওনিক্স ১০.৫ অথবা কমবেশি হতে পারে। যখন তারা ৩৩-৪০ বছর বয়সী হয় তখন তারা বৃদ্ধ হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]