বিষয়বস্তুতে চলুন

বেভ লিওন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেভ লিওন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
বেভার্লি হ্যামিল্টন লিওন
জন্ম(১৯০২-০১-১৯)১৯ জানুয়ারি ১৯০২
ক্যাটারহাম, সারে, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২২ জুন ১৯৭০(1970-06-22) (বয়স ৬৮)
ব্যালকম্ব, সাসেক্স, ইংল্যান্ড
ডাকনামবেভ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কভ্রাতা: ম্যালকম ডগলাস লিওন
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৬৭
রানের সংখ্যা ১০,৬৯৪
ব্যাটিং গড় ২৪.৯৮
১০০/৫০ ১৬/৪৯
সর্বোচ্চ রান ১৮৯
বল করেছে ৩,৫৪৬
উইকেট ৫২
বোলিং গড় ৪৫.০১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৭২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৬৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জুলাই ২০১৯

বেভার্লি হ্যামিল্টন বেভ লিওন (ইংরেজি: Bev Lyon; জন্ম: ১৯ জানুয়ারি, ১৯০২ - মৃত্যু: ২২ জুন, ১৯৭০) সারের ক্যাটারহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। গ্লুচেস্টারশায়ার দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[] ১৯২১ থেকে ১৯৪৭ সময়কালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ‘বেভ’ ডাকনামে পরিচিত বেভ লিওন। এছাড়াও, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউরোপিয়ান্সের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২১ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বেভ লিওনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তবে, ইংল্যান্ডের পক্ষে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি তিনি। ১৯২১ সালে বেভ লিওনের গ্লুচেস্টারশায়ার ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯২২ ও ১৯২৩ সালে অক্সফোর্ড থেকে ব্লু লাভ করেন।

১৯২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ডগলাস লিওনের প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। টানটনে সমারসেট-গ্লুচেস্টারশায়ারের খেলায় দুইবার টম গডার্ডের হাত থেকে ক্যাচ ফস্কে গেলে ডার ২১০ রান তুলেন। এর জবাবে বেভ সেঞ্চুরি করেন ও দলের আট উইকেটের বিজয়ে প্রভূত ভূমিকা রাখেন।

অধিনায়কত্ব লাভ

[সম্পাদনা]

মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি। উইকেটের কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিং করতেন। ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। ১৯২৯ সাল থেকে পরবর্তী ছয় বছর গ্লুচেস্টারশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৩১ সালে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের পর গ্লুচেস্টারশায়ার দলকে সেরা কাউন্টি দলের মর্যাদা এনে দেন বেভ লিওন। ১৯২৯ ও ১৯৩১ সালে অন্য যে-কোন কাউন্টি দলের তুলনায় সর্বাধিক খেলায় জয় পায় গ্লুচেস্টারশায়ার দল। ১৯৩০ ও ১৯৩১ সালে দলটি পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ঐ সময়ে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান ওয়ালি হ্যামন্ডের সর্বাত্মক সহায়তা পেয়েছিলেন। তিন বছর সাফল্যের পেছনে ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলার চার্লি পার্কার ও পার্কারের যোগ্য উত্তরসূরী অফ ব্রেক বোলার টম গডার্ডের কাছ থেকেও কার্যকর ক্রীড়াশৈলী উপহার পেয়েছেন। তবে, লিওনের অধিনায়কত্বের বিষয়টিই সর্বাগ্রে প্রাধান্য পায়। ১৯৩১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন।[] এ প্রসঙ্গে উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, তিনি হয়তোবা ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব লাভের যোগ্য। কিন্তু, তা আর হয়ে উঠেনি।

১৯৩২ থেকে ১৯৩৪ সালে আরও তিন বছর মাঝারিমানের সফলতা লাভের পর গ্লুচেস্টারশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে চলে আসেন। তবে, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দল খেলতে থাকেন। ১৯২০ সালে উইল্টশায়ারের পক্ষে মাইনর কাউন্টিজে খেলেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

লিওনের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও ‘ডার’ ডাকনামে পরিচিত ম্যালকম ডগলাস লিওন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২২ জুন, ১৯৭০ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে সাসেক্সের ব্যালকম্ব এলাকায় বেভ লিওনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Beverley Lyon | England Cricket | Cricket Players and Officials"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Wisden's Five Cricketers of the Year"ESPNcricinfoESPN। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]