শস্য (ফসল): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


== প্রকারভেদ ==
== প্রকারভেদ ==
[[File:Green field in Bangladesh.jpg|thumb|[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি ধানক্ষেত। ধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল]]
বিশ্বের প্রধান প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে - আখ, কুমড়া, ভুট্টা, গম, চাউল, [[কাসাভা]], সয়াবিন, [[খড়]], আলু, তুলা প্রভৃতি।<ref name=FAOstats>{{cite web|title=Maize, rice and wheat : area harvested, production quantity, yield|url=http://faostat.fao.org/site/567/DesktopDefault.aspx?PageID=567|author=[[Food and Agriculture Organization|Food and Agriculture Organization of the United Nations]], Statistics Division|year=2009}}</ref> সাধারণতঃ শস্য [[পরিভাষা|পরিভাষাটি]] উদ্ভিদকূলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এছাড়াও, [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] অন্যান্য [[রাজ্য (প্রাণীজগৎ)|রাজ্যের]] প্রজাতির ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে ''শিটেক'' [[ছত্রাক|ছত্রাকজাতীয়]] রাজ্যের [[মাশরুম]] শস্য হিসেবে বিবেচিত। কিছু [[শৈবাল|শৈবালজাতীয়]] প্রজাতির উদ্ভিদও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে, যদিও এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। [[মানুষ|মানুষের]] তত্ত্বাবধানে প্রাণীজগতের জন্য উৎপাদিত খাবার গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। রোগ-জীবানু বিস্তারকারী প্রজাতির অণুজীব হিসেবে [[ব্যাক্টেরিয়া]] কিংবা [[ভাইরাস]] পুণরায় উৎপাদনের জন্য [[গবেষণাগার]] ব্যবহার করা হয়। এধরনের [[অণুজীব|অণুজীবগুলো]] খাবার উপযোগী না হলেও খাদ্য তৈরীতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। যেমন : ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে [[দুধ|দুধকে]] [[দই|দইয়ে]] রূপান্তরের কাজে ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বের প্রধান প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে - আখ, কুমড়া, ভুট্টা, গম, চাউল, [[কাসাভা]], সয়াবিন, [[খড়]], আলু, তুলা প্রভৃতি।<ref name=FAOstats>{{cite web|title=Maize, rice and wheat : area harvested, production quantity, yield|url=http://faostat.fao.org/site/567/DesktopDefault.aspx?PageID=567|author=[[Food and Agriculture Organization|Food and Agriculture Organization of the United Nations]], Statistics Division|year=2009}}</ref> সাধারণতঃ শস্য [[পরিভাষা|পরিভাষাটি]] উদ্ভিদকূলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এছাড়াও, [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] অন্যান্য [[রাজ্য (প্রাণীজগৎ)|রাজ্যের]] প্রজাতির ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে ''শিটেক'' [[ছত্রাক|ছত্রাকজাতীয়]] রাজ্যের [[মাশরুম]] শস্য হিসেবে বিবেচিত। কিছু [[শৈবাল|শৈবালজাতীয়]] প্রজাতির উদ্ভিদও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে, যদিও এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। [[মানুষ|মানুষের]] তত্ত্বাবধানে প্রাণীজগতের জন্য উৎপাদিত খাবার গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। রোগ-জীবানু বিস্তারকারী প্রজাতির অণুজীব হিসেবে [[ব্যাক্টেরিয়া]] কিংবা [[ভাইরাস]] পুণরায় উৎপাদনের জন্য [[গবেষণাগার]] ব্যবহার করা হয়। এধরনের [[অণুজীব|অণুজীবগুলো]] খাবার উপযোগী না হলেও খাদ্য তৈরীতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। যেমন : ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে [[দুধ|দুধকে]] [[দই|দইয়ে]] রূপান্তরের কাজে ব্যবহার করা হয়।



১২:৩২, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৃষকের উৎপাদিত শস্য চিত্র

শস্য (ইংরেজি: Crop) বলতে চাষাবাদযোগ্য উদ্ভিদ অথবা কৃষিজাত উৎপাদিত পণ্যকে বুঝায়। বীজ, শাকসব্জি কিংবা ফলমূল - এগুলো সবই শস্যরূপে বিবেচিত। কৃষির সাথে সম্পৃক্ত কৃষক শস্য উৎপাদন করে থাকেন। উৎপাদিত শস্য কৃষিজাত পণ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একই ধরনের উৎপাদিত বৃহৎ পরিমাণের খাদ্যসম্ভার, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি তৈরীতে সহায়ক উদ্ভিদকূলকে শস্য নামে অভিহিত করা হয়। শস্য মূলতঃ অ-প্রাণীজাত প্রজাতি কিংবা বিভিন্ন উদ্ভিদজাত ফসল যা খাদ্য, গবাদিপশুর শুকনো খাদ্য, জ্বালানী কিংবা অন্য কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যে উৎপাদন করা হয়।

প্রকারভেদ

বাংলাদেশের একটি ধানক্ষেত। ধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল

বিশ্বের প্রধান প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে - আখ, কুমড়া, ভুট্টা, গম, চাউল, কাসাভা, সয়াবিন, খড়, আলু, তুলা প্রভৃতি।[১] সাধারণতঃ শস্য পরিভাষাটি উদ্ভিদকূলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এছাড়াও, জীববিজ্ঞানের অন্যান্য রাজ্যের প্রজাতির ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে শিটেক ছত্রাকজাতীয় রাজ্যের মাশরুম শস্য হিসেবে বিবেচিত। কিছু শৈবালজাতীয় প্রজাতির উদ্ভিদও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে, যদিও এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। মানুষের তত্ত্বাবধানে প্রাণীজগতের জন্য উৎপাদিত খাবার গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। রোগ-জীবানু বিস্তারকারী প্রজাতির অণুজীব হিসেবে ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ভাইরাস পুণরায় উৎপাদনের জন্য গবেষণাগার ব্যবহার করা হয়। এধরনের অণুজীবগুলো খাবার উপযোগী না হলেও খাদ্য তৈরীতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। যেমন : ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে দুধকে দইয়ে রূপান্তরের কাজে ব্যবহার করা হয়।

ভারতবর্ষে উৎপাদনের ভিত্তিতে শস্যকে খারিফ বা হৈমন্তিক ফসল এবং রবি শস্য নামে বিভাজিত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (২০০৯)। "Maize, rice and wheat : area harvested, production quantity, yield"