তড়িৎ বিশ্লেষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
কর্ম পদ্ধতি, তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:Electrolysis Apparatus.png|thumb|ল্যাবরটরিতে তড়িৎ বিশ্লেষনের জন্যে ব্যবহার করা যন্ত্র। ]] |
[[চিত্র:Electrolysis Apparatus.png|thumb|ল্যাবরটরিতে তড়িৎ বিশ্লেষনের জন্যে ব্যবহার করা যন্ত্র। |275x275px]] |
||
[[রসায়ন]] বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবকে দ্রবীভূত কিংবা বিগলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে [[তড়িৎ প্রবাহ]] চালনা করা হয় তখন ঐ তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে '''তড়িৎবিশ্লেষণ''' (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে।<ref>Vanýsek, Petr (2007). [http://www.hbcpnetbase.com/articles/08_08_88.pdf "Electrochemical Series"], in [http://www.hbcpnetbase.com/ ''Handbook of Chemistry and Physics: 88th Edition'']</ref> তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.rsc.org/chemistryworld/Issues/2003/August/electrolysis.asp|title=Enterprise and electrolysis...|website=www.rsc.org|access-date=2016-08-09}}</ref> তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। |
[[রসায়ন]] বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবকে দ্রবীভূত কিংবা বিগলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে [[তড়িৎ প্রবাহ]] চালনা করা হয় তখন ঐ তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে '''তড়িৎবিশ্লেষণ''' (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে।<ref>Vanýsek, Petr (2007). [http://www.hbcpnetbase.com/articles/08_08_88.pdf "Electrochemical Series"], in [http://www.hbcpnetbase.com/ ''Handbook of Chemistry and Physics: 88th Edition'']</ref> তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.rsc.org/chemistryworld/Issues/2003/August/electrolysis.asp|title=Enterprise and electrolysis...|website=www.rsc.org|access-date=2016-08-09}}</ref> তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। |
||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
== কর্ম পদ্ধতি == |
== কর্ম পদ্ধতি == |
||
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোন আয়নিক পদার্থের (তড়িৎ-বিশ্লেষ্য) দ্রবন বা তার গলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে [[সমক্ষ তড়িৎ]] [[তড়িৎ প্রবাহ|প্রবাহ]] (Direct Currecnt) পাঠালে [[তড়িৎদ্বার|তড়িৎদ্বারে]] রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় এবং ঐ পদার্থের বিয়োজন হয়ে নতুন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন হয়। তড়িৎ-বিশ্লেষণের জন্যে প্রয়োজনীয় হলঃ |
|||
(১) তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ, (২) [[সমক্ষ তড়িৎ]] [[তড়িৎ প্রবাহ|প্রবাহের]] উৎস এবং (৩) দুইটি [[তড়িৎদ্বার]] |
|||
[[চিত্র:Chloralkali membrane.svg|thumb|487x487px|ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণ। অ্যানোডে ('''A''') ক্লোরাইড (Cl<sup>−</sup>) জারিত হয়ে ক্লোরিন উৎপন্ন করে। ক্যাথোডে ('''C''') জল বিজারিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে]] |
|||
উদাহরন স্বরূপ, [[ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণ|ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণে]] [[সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড]] উৎপাদনের জন্য [[সোডিয়াম ক্লোরাইড|সোডিয়াম ক্লোরাইডের]] জলীয় দ্রবনকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয়। [[ব্রাইন|ব্রাইনের]] সম্পৃক্ত দ্রবণকে একটি প্রকোষ্ঠে প্রেরণ করা হয় যেখানে ক্লোরাইড আয়ন অ্যানোডে জারিত হয়, ইলেকট্রন হারিয়ে ক্লোরিন গ্যাস তৈরী করেঃ |
|||
: 2Cl<sup>−</sup> → Cl2 + 2[[Electron|e<sup>−</sup>]] |
|||
ক্যাথোডে জল থেকে উৎপন্ন ধনাত্বক হাইড্রোজেন আয়ন হাইড্রোজেন গ্যাস এবং হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করেঃ |
|||
: 2H2O + 2e<sup>−</sup> → H<sub>2</sub> + 2OH<sup>−</sup> |
|||
মেমব্রেন সেলের মেমব্রেনটি আয়ন ভেদী এজন্য একে আয়ন-এক্সচেঞ্জ মেমব্রেন বলে। এই মেমব্রেন সোডিয়াম আয়নকে (Na<sup>+</sup>) অপরপার্শ্বে যেতে দেয় যেখানে হাইড্রোক্সাইড আয়নের সাথে বিক্রিয়া করে [[কস্টিক সোডা]] (NaOH) প্রস্তুত করে। ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণের সামগ্রিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ |
|||
: 2NaCl + 2H2O → Cl2 + H2 + 2NaOH |
|||
== তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী == |
== তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী == |
||
=== ফ্যারাডের প্রথম সূত্র === |
|||
[[মাইকেল ফ্যারাডে]] ১৮৩২ সালে তার পরীক্ষা দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গলিত বা দ্রবীভূত কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ করলে ঐ পদার্থের বিয়োজনের ফলে তড়িৎদ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর প্রবাহিত বিদ্যুৎ আধান বা বিদ্যুৎ শক্তির পরিমানের সঙ্গে সমানুপাতিক। |
|||
অর্থাৎ, |
|||
=== ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্র === |
|||
== ব্যবহার == |
== ব্যবহার == |
১৭:১১, ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রসায়ন বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবকে দ্রবীভূত কিংবা বিগলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয় তখন ঐ তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে তড়িৎবিশ্লেষণ (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে।[১] তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।[২] তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
ইতিহাস
- ১৭৮৫ঃ মার্টিনাস ভন মারুম ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক জেনারেটর ব্যবহার করে টিন, দস্তা এবং অ্যান্টিমনি প্রস্তুত করেন।[৩]
- ১৮০০ঃ উইলিয়াম নিকোলসন ও অ্যান্থনি চার্লিসলে জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরী করেন।[২]
- ১৮০৮ঃ স্যর হামফ্রে ডেভি পটাশিয়াম (১৮০৭), সোডিয়াম, বেরিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আবিষ্কার করেন।
- ১৮২১ঃ উইলিয়ামস থমাস ব্র্যান্ডে আবিষ্কার করেন লিথিয়াম।
- ১৮৩৩ঃ মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ বিশ্লেষণের দুইটি সূত্র প্রণয়ন করেন।
- ১৮৭৫ঃ গ্যালিয়াম আবিষ্কৃত হয়।[৪]
- ১৮৮৬ঃ ফ্লুরিন আবিষ্কৃত হয়।
- ১৮৮৬ঃ অ্যালুমিনা থেকে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের হল-হেরোল্ট পদ্ধতি আবিষ্কার হয়।
- ১৮৯০ঃ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড প্রস্তুতির কাস্টনার ক্যালনার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়।
কর্ম পদ্ধতি
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোন আয়নিক পদার্থের (তড়িৎ-বিশ্লেষ্য) দ্রবন বা তার গলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে সমক্ষ তড়িৎ প্রবাহ (Direct Currecnt) পাঠালে তড়িৎদ্বারে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় এবং ঐ পদার্থের বিয়োজন হয়ে নতুন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন হয়। তড়িৎ-বিশ্লেষণের জন্যে প্রয়োজনীয় হলঃ
(১) তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ, (২) সমক্ষ তড়িৎ প্রবাহের উৎস এবং (৩) দুইটি তড়িৎদ্বার
উদাহরন স্বরূপ, ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপাদনের জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবনকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয়। ব্রাইনের সম্পৃক্ত দ্রবণকে একটি প্রকোষ্ঠে প্রেরণ করা হয় যেখানে ক্লোরাইড আয়ন অ্যানোডে জারিত হয়, ইলেকট্রন হারিয়ে ক্লোরিন গ্যাস তৈরী করেঃ
- 2Cl− → Cl2 + 2e−
ক্যাথোডে জল থেকে উৎপন্ন ধনাত্বক হাইড্রোজেন আয়ন হাইড্রোজেন গ্যাস এবং হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করেঃ
- 2H2O + 2e− → H2 + 2OH−
মেমব্রেন সেলের মেমব্রেনটি আয়ন ভেদী এজন্য একে আয়ন-এক্সচেঞ্জ মেমব্রেন বলে। এই মেমব্রেন সোডিয়াম আয়নকে (Na+) অপরপার্শ্বে যেতে দেয় যেখানে হাইড্রোক্সাইড আয়নের সাথে বিক্রিয়া করে কস্টিক সোডা (NaOH) প্রস্তুত করে। ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণের সামগ্রিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ
- 2NaCl + 2H2O → Cl2 + H2 + 2NaOH
তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী
ফ্যারাডের প্রথম সূত্র
মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩২ সালে তার পরীক্ষা দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গলিত বা দ্রবীভূত কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ করলে ঐ পদার্থের বিয়োজনের ফলে তড়িৎদ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর প্রবাহিত বিদ্যুৎ আধান বা বিদ্যুৎ শক্তির পরিমানের সঙ্গে সমানুপাতিক।
অর্থাৎ,
ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্র
ব্যবহার
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ Vanýsek, Petr (2007). "Electrochemical Series", in Handbook of Chemistry and Physics: 88th Edition
- ↑ ক খ "Enterprise and electrolysis..."। www.rsc.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০৯।
- ↑ The Supplement (1803 edition) to Encyclopedia Britannica 3rd edition (1797), volume 1, page 225, "Mister Van Marum, by means of his great electrical machine, decomposed the calces of tin, zinc, and antimony, and resolved them into their respective metals and oxygen" and gives as a reference Journal de Physiques, 1785
- ↑ William Crookes (1875). The Chemical news and journal of industrial science; with which is incorporated the "Chemical gazette.": A journal of practical chemistry in all its applications to pharmacy, arts and manufactures. Chemical news office. pp. 294