বাংলাদেশে গুম

বাংলাদেশে গুম হওয়া বলতে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে কোন ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়াকে বুঝানো হয়।[১] ঢাকা ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০০৯ হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০২ জন মানুষ গুম হয়েছেন।[২] বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এইসব ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা, যেমন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে নিন্দা জানিয়েছে।[৩][৪] এইসব ঘটনার অধিকাংশের জন্য বাংলাদেশের একটি আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কে দায়ী করা হলেও, র্যাব এইসব অভিযোগ কখনও স্বীকার করেনি।[৫] ভুক্তভোগীরা পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এলেও আওয়ামী লীগ সরকার গুম হবার পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮২ জন গুম হয়।[৪] ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই ছিল বিরোধী দলের নেতাকর্মী। গুম হওয়ার পরে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪৯ জন মারা গেছেন এবং অন্যরা নিখোঁজ রয়েছেন।[৬][৭] বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪'র আগে কমপক্ষে ২০ জন বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীকে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা তুলে নেয়।[৮][৯] ২০১৬ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৯ জন লোক নিখোঁজ হয়েছে।[১০]
২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা সরকারকে তাদের প্রিয়জনের হদিস বের করে দিতে মায়ের ডাক নামে একটি মঞ্চ গঠন করে।[১১][১২]
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে বাংলাদেশে গুমের প্রথম ঘটনাগুলো ঘটে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের অনেক সদস্য, সেনা অফিসার এবং অন্যান্য বিরোধী দলীয় সদস্যদের, শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা গঠিত একটি অভিজাত আধা সামরিক বাহিনী জাতীয় রক্ষীবাহিনী তুলে নিয়ে যায়।[১৩] বর্তমানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গঠনের মাধ্যমে এমন ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ৪০২ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন।[২][৬][১৪][১৫][১৬][১৭][১৮]
২০০৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। বিরোধী দলের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের মাধ্যমে আক্রমনের শিকার হয়। এতে বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় সদস্য নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়।[১৯][২০][২১] সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।[২২] বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রায়শই আক্রমণ করা হত।[২৩] ২০১০ সাল থেকে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের দ্বারা বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের তুলে নেয়ার বিষয়টি দেশে তীব্রতর হতে শুরু করে।
প্রাক-নির্বাচনী সময়কাল, ২০১৩
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের বেশিরভাগ সময়জুড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের জোট, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ও অবরোধ পালন করে। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ ঘোষণা করে যে তারা পর্যবেক্ষক প্রেরণ করবে না।[২৪][২৫][২৬] ২০১৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের আগে, বিরোধী দলটির ২০ জন ব্যক্তিকে নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।[৮][৯][২৭][২৮] ২০১৬ সাল পর্যন্ত, তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে ২০৩ জন এখনও গুম রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে আসেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌন অবলম্বন করেন।[২৯]
উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ
[সম্পাদনা]এম ইলিয়াস আলী
[সম্পাদনা]২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিশিষ্ট নেতা ইলিয়াস আলি মধ্যরাতে ঢাকা হতে তার ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হন।[৩০][৩১][৩২] তার নিজস্ব গাড়িটি ঢাকায় তার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে, নিখোঁজের প্রতিবাদে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করায় তার দলের পাঁচ জন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করে।
আমিনুল ইসলাম
[সম্পাদনা]আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ সেন্টার অফ ওয়ার্কার সলিডারিটির একজন সংগঠক ছিলেন।[৩৩] ৫ এপ্রিল ২০১২ সালে, ঢাকার অদূরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর আগের দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন।[৩৪] তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার গুম ও হত্যা অনেক আন্তর্জাতিক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আমান আজমি, মীর আহমদ ও হুম্মাম চৌধুরী
[সম্পাদনা]২০১৬ সালের আগস্ট মাসে, তিন বিরোধীদলীয় নেতার সন্তানদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। তারা ছিলেন গোলাম আযমের পুত্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র, হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং মীর কাসেম আলীর পুত্র, মীর আহমেদ বিন কাসেম।[৩৫] আমান আজমিকে তার বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নেয়া হয়েছিল। তিনটি ক্ষেত্রেই একাধিক সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গুম হবার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।[৩৬] জাতিসংঘ এই তিন ব্যক্তির অপহরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং শেখ হাসিনার সরকারকে দেশে ক্রমবর্ধমান গুমের ঘটনা তদন্ত করার আহ্বান জানায়। হুম্মাম কাদের চৌধুরী ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ঘরে ফিরে আসেন এবং বলেন যে কারা তাকে গ্রেফতার করেছিল তা তিনি "মনে করতে পারছেন না"।[৩৭] শেখ হাসিনার পতন এর পরপর ই তারা মুক্তি পেয়েছেন।
সুখরঞ্জন বলি
[সম্পাদনা]অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, ৫ নভেম্বর ২০১২ সালে সুপ্রীম কোর্টের গেট থেকে সুখরঞ্জন বলিকে সাদা পোষাকের পুলিশ অপহরণ করেছিল। পরবর্তীতে তাকে কলকাতার দমদম কারাগারে পাওয়া যায়।[৩৮]
অন্যান্য ঘটনাসমূহ
[সম্পাদনা]২০০৮
[সম্পাদনা]- তুষার ইসলাম টিপু: ২২ জুলাই ২০০৮ তারিখে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কর্তৃক অপহৃত হন। টিপুর পরিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রার্থনা করে। পরে ২০১২ সালের নভেম্বরে মন্ত্রণালয় তদন্ত পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠায়। তবে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কোনো অগ্রগতি হয়নি।[৩৯]
২০১১
[সম্পাদনা]২০১২
[সম্পাদনা]- ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাস: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ রাত ১টার দিকে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকাহ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল মুকাদ্দাস (২২) এবং দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ (২৩) র্যাব-৪ এবং ডিবি পুলিশের পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের দ্বারা সাভার থেকে গ্রেপ্তার ও গুম হন বলে অভিযোগ রয়েছে।[৪১][৪২] উভয়েই ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-এর সদস্য ছিলেন।[৪৩] এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।
- দিনার: সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। মার্চ ২০১২ মাসে অপহরণ হন।[৪৪]
- জুনেদ: দিনারের বন্ধু ও ছাত্রদল কর্মী। তাকেও একইসঙ্গে অপহরণ করা হয়।[৪৫]
- মোহাম্মদ ইমাম হাসান: এক ফেরিওয়ালার পুত্র। ২০১২ সালে অপহৃত হন। পরদিন র্যাব তাঁকে উদ্ধার করলেও এখনও তাঁকে মুক্ত করা হয়নি।[৬]
২০১৩
[সম্পাদনা]- নিজাম উদ্দিন মুন্না: ২০১৩ সালে নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন। তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে।[৪৬]
- খালিদ হাসান সোহেল: বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের ঢাকা ওয়ার্ড ৮৯-এর সভাপতি। ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।[৪৬]
- মোফিজুল ইসলাম রাশেদ: বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতা। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর মাজার রোডে ডায়মন্ড গার্মেন্টসের সামনে থেকে অপহৃত হন। তাঁর পরিবার জানায়, অপহরণকারীরা ডিবি পুলিশের পোশাকে ছিলেন।[৪৪]
- জাকির হোসেন: র্যাব-২ এর সদস্যরা ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর আদাবর থানাধীন বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য এবং আদাবর থানার শাখা সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ঢাকার একটি ডেন্টাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন।[৪৭]
- মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম: ৫ এপ্রিল ২০১৩ রাত ২:২৫ মিনিটে র্যাব-৫ এর সদস্যরা তাঁকে এবং মোসাম্মৎ নুরজাহান বেগমকে রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানাধীন বিল-শিমলা মহল্লার একটি বাড়ি থেকে আটক করে। তবে র্যাব-৫ পরে অস্বীকার করে যে আনোয়ারুলকে তাঁরা আটক করেনি। আনোয়ারুল রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র এবং রাজশাহী জেলা ছাত্রশিবিরের অফিস সেক্রেটারি ছিলেন।[৪৮]
- জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া পারভেজ: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। ৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে গুলশান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যদের দ্বারা তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।[৪৯]
- খালেদ হাসান সোহেল: বিএনপির ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় নেতা। ২৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।[৫০]
- আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুম: ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে অপহৃত হন। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থায় যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।[৫১]
- সাজেদুল ইসলাম সুমন ও আরও ৭ জন: ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে রাত ৮টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থানরত অবস্থায় র্যাব সদস্যরা তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সুমন ছিলেন বিএনপির ওয়ার্ড-৩৮ এর সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে অপহৃত হন জাহিদুল করিম তানভীর, মজহারুল ইসলাম রাসেল, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুম, আসাদুজ্জামান রানা, আল আমিন, আদনান চৌধুরী ও কাওসার আহমেদ।[৫২]
- আদনান চৌধুরী: ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে শাহীনবাগ এলাকার নিজ বাসা থেকে কাওসারসহ অপহৃত হন। পরিবার জানায়, ৭-৮ জন ব্যক্তি বাসায় ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদনানকে নিয়ে যায়। বাইরে অপেক্ষমাণ দুটি গাড়ির একটি ছিল র্যাবের লোগোযুক্ত।[৫২]
- কাওসার হোসেন: ব্যক্তিগত গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করতেন। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে রাত্রিতে র্যাব সদস্যরা তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।[৫০]
- পারভেজ হোসেন: বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতা। ডিসেম্বর ২০১৩ সালে অপহৃত হন এবং তারপর থেকে নিখোঁজ।[৫৩]
- সেলিম রেজা মিন্টু: ব্যবসায়ী এবং ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিবার জানায়, ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ১:৩০ মিনিটে ৭-৮ জন ব্যক্তি প্রশাসনিক পরিচয়ে তাঁকে অপহরণ করে।[৫৪]
২০১৪
[সম্পাদনা]- কাজী রকিবুল হাসান শাওন: তিনি কাজী আব্দুল মতিনের পুত্র, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী ছিলেন। শাওন ২৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে নিখোঁজ হন, তবে সঠিক দিনটি নিশ্চিত নয়। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।[৪৬]
- নজরুল ইসলাম: তিনি জয়পুরহাট তালিমুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ১১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে অপহৃত হন।[৪৪]
- শাহনূর আলম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ব্যবসায়ী। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে র্যাব-১৪ তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে কারাবন্দি অবস্থায় কুমিল্লা জেলা কারাগারে নির্যাতনের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। শাহনূরের ছোট ভাই মেহেদী ১ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালতে মামলা করেন। তবে পরদিনই ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করে নেওয়া হয়।[৫৫]
২০১৫
[সম্পাদনা]- আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন: তিনি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে আদাবর এলাকার নিজ বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, তিনি ফরিদপুরে পুলিশের হেফাজতে আছেন।[৫৬]
- মোজাহার হোসেন কান্তু: তিনি সাতক্ষীরা জেলার আওয়ামী লীগের নেতা এবং সাবেক সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (Assistant Public Prosecutor)। মার্চ ২০১৫ মাসে নিজ বাসা থেকে অপহৃত হন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করায় তাঁকে অপহরণ করা হয়।[৫৭]
২০১৬
[সম্পাদনা]- তানভীর হাসান জোহা: বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিং বিষয়ে মার্চ ২০১৬ সালে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তানভীর আহমেদ জোহা—a আইটি বিশেষজ্ঞ—জানান, ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচারে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কারও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এরপর দিন, ১৬ মার্চ ২০১৬, তিনি এবং তাঁর এক বন্ধু সিএনজিতে বাড়ি ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাসে করে কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক তাঁদের তুলে নিয়ে যায়।[৫৮] ছয় দিন পর তিনি ফিরে আসেন।[৫৯]
- মিজানুর রহমান সোহাগ: সোহাগ ছিলেন নিহত সোহাগি জাহান তনুর ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু। ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন, যারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয়, তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।[৬০] ১৬ দিন পর তাঁর চাচা তাঁকে বাসার কাছে খুঁজে পান।[৬১]
- তিন ভাইয়ের অপহরণ: ১১ মে ২০১৬ তারিখে পাবনা জেলার এক বাড়িতে র্যাব পরিচয়ধারী ১০-১২ জন সশস্ত্র ব্যক্তি প্রবেশ করে তিন ভাই—টিক্কা সরদার, এরশাদ মিয়া এবং সাদ্দাম হোসেন—কে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের বাবা আব্দুল করিম এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।[৬২]
২০১৭
[সম্পাদনা]- ইশরাক আহমেদ ফাহিম: ২৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে ১৯ বছর বয়সী ইশরাক আহমেদ ফাহিম, যিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, ধানমণ্ডি এলাকার স্টার কাবাব থেকে বাসায় ফেরার পথে ঢাকায় নিখোঁজ হন।[৬৫][৬৬]
- এম মারুফ জামান: ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান বিমানবন্দরের পথে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন। দীর্ঘ ৪৬৭ দিন পর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।[৬৭]
২০১৮
[সম্পাদনা]- মোমিন মেহেদী: ১৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে, নতুন ধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান মেহেদীকে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়। নয় দিন পর তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল, তার মাথা ন্যাড়া করা হয়েছিল, এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে সে কোন বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কাজ করে কিনা।[৬৮]
- কর্নেল 'হাসিনুর রহমান:' ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে, হাসিনুর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং প্রাক্তন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, মিরপুর ডিওএইচএস এর বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। জঙ্গিদের সাথে তার যোগসূত্রের অভিযোগে তাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে পাওয়া যায়, সে অসংলগ্নভাবে কথা বলছিল।[৬৯]
- মশিউর রহমান রনি: ১৫ সেপ্টেম্বর, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের সভাপতি রনি ঢাকা থেকে গোয়েন্দা শাখার কথিত সদস্যদের দ্বারা জোরপূর্বক গুমের শিকার হন, তার পরিবারের মতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব এ এক সংবাদ সম্মেলনে।[৭০] সংবাদ সম্মেলনের পর, রনিকে আদালতে হাজির করা হয়। ফতুল্লা পুলিশ কর্তৃক রনি অভিযোগ করেছেন যে তাকে গোয়েন্দা শাখা নির্যাতন করেছে।[৭১]
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা
[সম্পাদনা]২৭ নভেম্বর ২০১৩ সালে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ লাকসাম থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সময় অপহরণের শিকার হন। নারায়ণগঞ্জ সাত খুন মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, র্যাব-১১'র প্রাক্তন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাইদ এই মামলার প্রধান আসামি। র্যাব-১১ এর বিরুদ্ধে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবুর সামনে দুইটি গাড়ি জ্বালিয়ে ইকবাল মাহমুদ জুয়েলকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। র্যাব-১১ এর বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা ফয়েজ আহমেদকে ২ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। র্যাব-১১ এর বিরুদ্ধে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে হাই-এস মাইক্রোবাসে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে অপহরণ করার অভিযোগও রয়েছে। অপহরণের ১৩ দিন পর, তাজুলের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। র্যাব-১১ এবং তারেক সাইদকে ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত আসামি করা হয়েছে।[৭২][৭৩][৭৪]
সংশ্লিষ্ট বিষয়
[সম্পাদনা]সরকারী প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করেন যে, অন্যান্য দেশেও মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।[৭৫] বাংলাদেশ র্যাবের মিডিয়া ও আইন উইংয়ের পরিচালক মাহমুদ খান আল জাজিরাকে র্যাবের বিরুদ্ধে এসব জোরপূর্বক নিখোঁজের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন যে, এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং "র্যাব অপরাধ দমনে কাজ করছে এবং এটি শুধু তার কাজ করছে।"[৭৬] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অভিযোগ করেন যে, নিখোঁজের দাবি গুলো ছিল বিরোধী দলের একটি চক্রান্ত, যা সরকারকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল।[৭৭] শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ একটি নিবন্ধে লেখেন যে, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি।[৭৮]
সমালোচনা
[সম্পাদনা]জোরপূর্বক অপহরণের ঘটনাগুলোর নিন্দা জানিয়েছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরকারকে এই জোরপূর্বক নিখোঁজের জন্য দায়ী করেছে,[৭৯][৮০] এবং এমন ঘটনাগুলোর তদন্তের জন্য একটি জাতিসংঘের অধীনে অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে।[৮১] ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধীদের জোরপূর্বক নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশে তার সফরের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ইলিয়াস আলী এবং আমিনুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।[৮২] সরকারী উদ্যোগে এমন নিখোঁজের তদন্তের দাবির পরও, এসব ঘটনার তদন্তের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।[৮৩][৮৪]
২০১৭ সালের জুলাইয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি ৮২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে, বিরোধীদের জোরপূর্বক অপহরণ ও বিচার-বহির্ভূত হত্যার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করা হয়।[৮৫] এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের গুমের পেছনে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি হাত রয়েছে।
২০১৮ সালের মে নাগাদ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়সহ ৫৬ টি সংগঠন বাংলাদেশে জোরপূর্বক অপহরণ ও বিচার-বহির্ভূত হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।[৮৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Enforced disappearance"। New Age | The Outspoken Daily (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- 1 2 Safi, Michael (২৫ নভেম্বর ২০১৭)। "Bangladesh PM claims 'forced disappearances take place in UK and US'"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Rowlatt, Justin (১৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Fears over Bangladesh's 'disappeared'"। BBC News (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- 1 2 "ASK DOCUMENTATION: Forced Disappearances" (পিডিএফ)। Incidents of Enforced Disappearances Between January and 30 September 2014। Ain o Salish Kendra। ১৩ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Khan, Aina। "Without a trace: Enforced disappearances in Bangladesh"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- 1 2 3 Maaz Hussain (১ নভেম্বর ২০১৬)। "Enforced Disappearances Rise in Bangladesh"। Voice of America। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ Anbarasan, Ethirajan (২১ এপ্রিল ২০১২)। "'Enforced disappearances' haunt Bangladesh"। BBC News।
- 1 2 "Cases of 'enforced Disappearances': Families want loved ones returned"। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- 1 2 "ENFORCED DISAPPEARANCE: Families call for return of 19 youths"। New Age। ৫ ডিসেম্বর ২০১৫। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Human Rights Day"। দ্য ডেইলি স্টার। ১১ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Sentenced to torment"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ""Mayer Daak" formed a human chain - Back Page"। The Daily Observer। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Mascarenhas, Anthony (১৯৮৬)। BANGLADESH - A Legacy of Blood। Hodder & Stoughton। পৃ. ১১৩। আইএসবিএন ০-৩৪০-৩৯৪২০-X।
- ↑ Editorial (৩০ আগস্ট ২০১৭)। "Enforced disappearances"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ "Bangladesh: End Disappearances and Secret Detentions"। Human Rights Watch। ৬ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "300 victims of enforced disappearance in Bangladesh since 2009: AHRC"। New Age। ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "International Week of the Disappeared" (পিডিএফ)। Statement on the International Week of the Disappeared। Odhikar। ২৫ মে ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ David Bergman (২০ অক্টোবর ২০১৪)। "'Forced disappearances' surge in Bangladesh"। Al Jazeera।
- ↑ "Reluctance of law enforcers leads to increase in crimes"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ জানুয়ারি ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Killing spate scales up sense of insecurity"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ জুন ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Editorial: Regrettable post-election incidents"। ৪ জানুয়ারি ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Editorial: Once again, it is the BCL"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৩ মার্চ ২০১০। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "2009 Human Rights Report: Bangladesh"। US Department of State। ১১ মার্চ ২০১০।
- ↑ "Election monitors to boycott Bangladesh polls"। Al Jazeera।
- ↑ Alam, Julhas (৫ জানুয়ারি ২০১৪)। "Violence, low turnout mar elections in Bangladesh"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৪।
- ↑ Barry, Ellen (৬ জানুয়ারি ২০১৪)। "Low Turnout in Bangladesh Elections Amid Boycott and Violence"। The New York Times।
- ↑ "Democracy in the Crossfire: Opposition Violence and Government Abuses in the 2014 Pre- and Post-Election Period in Bangladesh" (পিডিএফ)। Human Rights Watch। এপ্রিল ২০১৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬২৩১৩-১২৭২।
- ↑ "Abduction and disappearance: Making the State accountable"। দ্য ডেইলি স্টার। ৭ মে ২০১৪।
- ↑ "Missing RAB officer returns after 1.5 years"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০।
- ↑ "Ilias Ali, driver go missing"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৯ এপ্রিল ২০১২। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Ilyas Ali, Bangladesh Politician, Kidnapping Sparks Bangladesh Crisis"। HuffPost। ৯ মে ২০১২।
- ↑ "Strike turns violent in Bangladeshi town of Sylhet"। BBC News। BBC। ২৩ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Vikas Bajaj, Julfikar Ali Manik (৯ এপ্রিল ২০১২)। "Killing of Bangladeshi Labor Organizer Signals an Escalation in Violence"। The New York Times। New York।
- ↑ Yardley, Jim (৯ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Fighting for Bangladesh Labor, and Ending Up in Pauper's Grave"। The New York Times।
- ↑ David Bergman (২৯ আগস্ট ২০১৬)। "Concern over missing sons of Bangladeshi politicians"। Al Jazeera।
- ↑ David Bergman (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "UN demands Dhaka action on enforced disappearances"। Al Jazeera।
- ↑ "Hummam Quader cannot remember anything about abduction"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "HC gives 2 weeks to submit Bali's whereabouts | Dhaka Tribune"। archive.dhakatribune.com। ৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "WHY?"। The Daily Star।
- 1 2 "Even 'crossfire' not this worse"। The Daily Star। ১১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Odhikar - Two persons were disappeared after being arrested at Savar allegedly by RAB and DB Police"।
- ↑ "Two 'missing' IU students still untraced"। The Daily Star। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Students still missing after one and a half years since arrest"। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
- 1 2 3 "Rise in 'forced disappearance'"। Dhaka Tribune।
- ↑ ৭ বছরেও ফেরেননি সিলেটের ছাত্রদল নেতা দিনার-জুনেদ।
- 1 2 3 "Help us"। The Daily Star। ২৭ জুন ২০১৬।
- ↑ শিবির সভাপতি হাফেজ জাকির হোসেনের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান | TimeNewsBD.com। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "Arrest and enforced disappearance of Mohammad Anwarul Islam by Rapid Action Battalion (RAB) members"। Odhikar।
- ↑ "A never-ending probe"। ৬ মার্চ ২০১৯।
- 1 2 "Many victims, one story, one demand"। Dhaka Tribune।
- ↑ "Picked up, they never return"। ৩০ আগস্ট ২০১৪।
- 1 2 "Families numbed by state's silence"। ৪ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Take steps to bring them back"। The Daily Star।
- ↑ Khan, Mohammad Jamil (১০ ডিসেম্বর ২০১৪)। "The unending woes of uncertainty"। Dhaka Tribune।
- ↑ "They want justice"। The Daily Star।
- ↑ "Missing JCD leader reportedly found in police custody"। Dhaka Tribune।
- ↑ "AL leader 'missing' after complain on party mate"। Dhaka Tribune।
- ↑ "IT expert Zoha goes missing"। Dhaka Tribune।
- ↑ "Zoha found six days after disappearance"। Dhaka Tribune।
- ↑ "Friend of Tonu's brother missing for 7 days"। Prothom Alo। ৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Sohag shows up after 16 days"। Dhaka Tribune।
- ↑ "Disappearance panic spreads in Pabna villages"। The Daily Star। ২৬ মে ২০১৬।
- ↑ "Doctor abduction: HC issues rule | Dhaka Tribune"। ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Missing for 38 days!"। The Daily Star। ২২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Canadian university student goes missing from Dhaka"। The Daily Star। ২৯ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০।
- ↑ "A wretched mother's appeal to the Prime Minister - National"। The Daily Observer। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০।
- ↑ "Missing former envoy Maroof Zaman returns home after 467 days"। Dhaka Tribune। ১৬ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০।
- ↑ "Missing NDB chairman Mehedi returns home"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "Missing RAB officer returns after 1.5 years"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
- ↑ Correspondent, Our; N'ganj (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Narayanganj JCD president goes missing"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য) - ↑ "N'ganj JCD leader produced before court after two days of missing"। www.newagebd.net (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে গুমের বহু অভিযোগ"। প্রথম আলো। ২৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ jugantor.com। "তারেক সাঈদের নেতৃত্বে আরও ১১ গুম | জাতীয় | Jugantor"। jugantor.com। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "The Daily eSamakal"। esamakal.net। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Safi, Michael (২৫ নভেম্বর ২০১৭)। "Bangladesh PM claims 'forced disappearances take place in UK and US'"। The Guardian (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ Khan, Aina। "Without a trace: Enforced disappearances in Bangladesh"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Fears over Bangladesh's 'disappeared'"। BBC News (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ১২ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ Wajeed, Sajib। "Bangladesh: 'Disappeared' Reappear All the Time"। Ther Diplomat (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh opposition leader 'undeterred' by arrests"। BBC News (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Same group kidnapped Ilias Ali"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "House of Commons - Hansard - UK Parliament"। UK Parliament (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "HuffPost - Breaking News, U.S. and World News"। HuffPost (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Editorial: The disappearance of Chowdhury Alam"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Bangladesh: Investigate Case of Enforced Disappearance | Human Rights Watch" (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh: End Disappearances and Secret Detentions | Human Rights Watch" (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Rights Groups Criticize Bangladesh Government for 'Silence' on Enforced Disappearances"। The Diplomat (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪।