বর্গ (বাংলা ব্যাকরণ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা ব্যাকরণে, বাক্যের বর্গ বা সংক্ষেপে বর্গ বলতে বাক্যের মধ্যে একাধিক শব্দ দিয়ে গঠিত বাক্যাংশকে বোঝায়। বৰ্গকে বাক্যের একক বলা হয়।[১]

উদাহরণ:

"মালা ও মায়া খুব সকালে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল বাসে উঠে পড়লো।"

এই বাক্যে ‘মালা ও মায়া’, ‘খুব সকালে’, ‘বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা’, ‘স্কুল-বাসে’, ‘উঠে পড়লো’ শব্দগুচ্ছ এক একটি বর্গ।

কোনো একটি বর্গ বাক্যের মধ্যে যে পদের মতো আচরণ করে, সেই পদের নাম অনুযায়ী বর্গের নাম হয়।

বিশেষ্যবর্গ[সম্পাদনা]

বিশেষ্য পদের আগে এক বা একাধিক বিশেষণ বা সম্বন্ধপদ যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বর্গ তৈরি হয়।[১] যেমন –

অসুস্থ ছেলেটি আজ স্কুলে আসেনি।
আমার ভাই পড়তে বসেছে।

সংযোজক পদ দ্বারা দুইটি বিশেষ্য যুক্ত হয়েও বিশেষ্যবর্গ তৈরি হয়। যেমন –

রহিম ও করিম বৃষ্টিতে ভিজছে।

বিশেষণবর্গ[সম্পাদনা]

বিশেষণবর্গ হচ্ছে বিশেষণজাতীয় শব্দের গুচ্ছ।[১] যেমন -

আমটা দেখতে ভারি সুন্দর
ভদ্রলোক সত্যিকারের নির্লোভ
পোকায় খাওয়া কাঠ দিয়ে আসবাব বানানো ঠিক নয়।

ক্রিয়াবিশেষণবর্গ[সম্পাদনা]

ক্রিয়াবিশেষণবর্গ হলো সেসব শব্দগুচ্ছ যা বাক্যে একত্রে ক্রিয়াবিশেষণ হিসাবে কাজ করে।[১] যেমন–

সকাল আটটার সময়ে সে রওনা হলো।
তারপর আমরা দশ নম্বর প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম।
আমি সকাল থেকে বসে আছি।
বেঁচে থাকার মতো সামান্য কয়টা টাকা বেতন পাই।
সে খেয়ে আর ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে।

ক্রিয়াবৰ্গ[সম্পাদনা]

বাক্যের বিধেয় অংশের ক্রিয়াপদ ক্রিয়াবর্গ তৈরি করে।[১] যেমন–

অস্ত্রসহ সৈন্যদল এগিয়ে চলেছে
সে লিখছে আর হাসছে
সে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বসে পড়লো
বাচ্চাটা অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করছে

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি। নবম-দশম শ্রেণি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ। নভেম্বর ২০২০। পৃষ্ঠা ৮৬-৮৭।