বর্গ (বাংলা ব্যাকরণ)
অবয়ব
বাংলা ব্যাকরণ |
---|
ইতিহাস |
ধ্বনিতত্ত্ব |
রূপতত্ত্ব/শব্দতত্ত্ব |
বাক্যতত্ত্ব |
যতিচিহ্ন |
অর্থতত্ত্ব |
ছন্দ ও অলংকার |
বাংলা ব্যাকরণে, বাক্যের বর্গ বা সংক্ষেপে বর্গ বলতে বাক্যের মধ্যে একাধিক শব্দ দিয়ে গঠিত বাক্যাংশকে বোঝায়। বৰ্গকে বাক্যের একক বলা হয়।[১]
উদাহরণ:
- "মালা ও মায়া খুব সকালে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল বাসে উঠে পড়লো।"
এই বাক্যে ‘মালা ও মায়া’, ‘খুব সকালে’, ‘বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা’, ‘স্কুল-বাসে’, ‘উঠে পড়লো’ শব্দগুচ্ছ এক একটি বর্গ।
কোনো একটি বর্গ বাক্যের মধ্যে যে পদের মতো আচরণ করে, সেই পদের নাম অনুযায়ী বর্গের নাম হয়।
বিশেষ্যবর্গ
[সম্পাদনা]বিশেষ্য পদের আগে এক বা একাধিক বিশেষণ বা সম্বন্ধপদ যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বর্গ তৈরি হয়।[১] যেমন –
- অসুস্থ ছেলেটি আজ স্কুলে আসেনি।
- আমার ভাই পড়তে বসেছে।
সংযোজক পদ দ্বারা দুইটি বিশেষ্য যুক্ত হয়েও বিশেষ্যবর্গ তৈরি হয়। যেমন –
- রহিম ও করিম বৃষ্টিতে ভিজছে।
বিশেষণবর্গ
[সম্পাদনা]বিশেষণবর্গ হচ্ছে বিশেষণজাতীয় শব্দের গুচ্ছ।[১] যেমন -
- আমটা দেখতে ভারি সুন্দর।
- ভদ্রলোক সত্যিকারের নির্লোভ।
- পোকায় খাওয়া কাঠ দিয়ে আসবাব বানানো ঠিক নয়।
ক্রিয়াবিশেষণবর্গ
[সম্পাদনা]ক্রিয়াবিশেষণবর্গ হলো সেসব শব্দগুচ্ছ যা বাক্যে একত্রে ক্রিয়াবিশেষণ হিসাবে কাজ করে।[১] যেমন–
- সকাল আটটার সময়ে সে রওনা হলো।
- তারপর আমরা দশ নম্বর প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম।
- আমি সকাল থেকে বসে আছি।
- বেঁচে থাকার মতো সামান্য কয়টা টাকা বেতন পাই।
- সে খেয়ে আর ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে।
ক্রিয়াবৰ্গ
[সম্পাদনা]বাক্যের বিধেয় অংশের ক্রিয়াপদ ক্রিয়াবর্গ তৈরি করে।[১] যেমন–
- অস্ত্রসহ সৈন্যদল এগিয়ে চলেছে।
- সে লিখছে আর হাসছে।
- সে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বসে পড়লো।
- বাচ্চাটা অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করছে।