ক্রিয়াবিশেষণ
বাংলা ব্যাকরণ |
---|
ইতিহাস |
ধ্বনিতত্ত্ব |
রূপতত্ত্ব/শব্দতত্ত্ব |
বাক্যতত্ত্ব |
অর্থতত্ত্ব |
ছন্দ ও অলংকার |
ক্রিয়াবিশেষণ বলতে সেসব পদ বা শব্দকে বোঝায়, যা ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে।[১] সাধারণত এই ধরনের পদ ক্রিয়া বা কাজের স্থান, সময়, অবস্থা নির্দেশ করে।
প্রকারভেদ[সম্পাদনা]
সাধারণ শ্রেণীকরণ[১][সম্পাদনা]
- ধরণবাচক
- কালবাচক
- স্থানবাচক
- নেতিবাচক
- পদাণু
গঠন বিবেচনায়[১][সম্পাদনা]
- একপদী
- বহুপদী
বিভিন্ন ক্রিয়াবিশেষণ[সম্পাদনা]
- ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে।[১] উদাহরণ:
টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না। - কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ কাজ সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।[১] উদাহরণ:
আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি।
যথাসময়ে সে হাজির হয়। - স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কাজের স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ।[১] উদাহরণ:
মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।
তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। - নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ‘না’, ‘নি’ ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়াপদের নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়াপদের পরে বসে।[১] উদাহরণ:
সে এখন যাবে না।
তিনি বেড়াতে যাননি।
এমন কথা আমার জানা নেই। - পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলে ‘কি’, ‘যে’, ‘বা’, ‘না’, ‘তো’ প্রভৃতি পদাণু বা শব্দাংশ ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে।[১] এগুলোর অধিকাংশই সংযোজক পদ ও অনুসর্গ পদ। উদাহরণ:
আমি কি যাব?
খুব যে বলেছিলেন আসবেন!
কখনো বা দেখা হবে।
একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে।
মরি তো মরবো। - একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: একটি পদ বা শব্দ নিয়ে গঠিত ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ক্রিয়াবিশেষণ বলে।[১] যেমন- আছে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালোভাবে।
- বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ: একের অধিক পদ বা শব্দ নিয়ে গঠিত ক্রিয়াবিশেষণকে বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ বলে।[১] যেমন- ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি।