বক দিবেচা
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রমেশ বিথলদাস বক দিবেচা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম, অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | পিতা: ভি.জে. দিবেচা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬) | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ নভেম্বর ১৯৫২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জুন ২০১৯ |
রমেশ বিথলদাস বক দিবেচা (মারাঠি: बक दिवेचा; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩) মহারাষ্ট্রের কাডাকবাড়ি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ, মুম্বই ও সৌরাষ্ট্র এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম কিংবা অফ-ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপহার দিতেন বক দিবেচা।
শৈশবকাল
[সম্পাদনা]১৯৪২ সালে মুম্বইয়ের উইলসন কলেজে অধ্যয়নকালীন ভারত ছাড় আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন ও পরবর্তীতে গ্রেফতারবরণ করেন। তবে, তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি ও এরপর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন না।[১] তার পিতা ভি.জে. দিবেচা ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন এবং বোম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিত্ব করাসহ বিসিসিআইয়ের সহঃ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
অক্সফোর্ডের ওরচেস্টার কলেজে পড়াশোনা করেছেন বক দিবেচা। চার মৌসুম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে ব্লুধারী হন। ১৯৪৮ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের সদস্যরূপে সফররত অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে অক্সফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬২/৬৩ মৌসুম পর্যন্ত বক দিবেচা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সর্বমোট এগারোটি ভিন্ন দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, অক্সফোর্ডেই তার স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত হয়। ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় স্মরণীয় অবদান রাখেন। ১৯৫১ সালে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৬২ নিয়ে ২১ রানের নাটকীয় জয় এনে দেন। এক সপ্তাহ পর লর্ডসে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে ৫/৮১ পান। তন্মধ্যে, ডেনিস কম্পটন ও লেন হাটন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের তুলনায় ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে কম অংশ নিয়েছেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে বোম্বের পক্ষে রঞ্জি ট্রফির একটি খেলায় অংশ নেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে মধ্যপ্রদেশের পক্ষে একটি ও ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে সৌরাষ্ট্রের পক্ষে চারটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ছয়টি খেলায় অংশ নিয়ে ২৭.৫০ গড়ে ২২ উইকেট পান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছেন বক দিবেচা। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৫১ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ নভেম্বর, ১৯৫২ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অংশ নেন। প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলার তেরো মাসের ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্টে অংশ নিলেও কম সফলতা পান। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন ও ৫০ উইকেট পান। তন্মধ্যে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন সারের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করে বিস্ময়করভাবে দলকে জয় এনে দেন। এছাড়াও, পরের খেলায় গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৮/৭৪ পান।
এছাড়াও, ১৯৫২-৫৩ মৌসুমের শীতকালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললেও খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৮ বছর বয়সী হানিফ মোহাম্মদ তার এলবিডব্লিউতে আউট হন।
খেলার ধরন
[সম্পাদনা]বলকে তিনি উভয় দিক দিয়ে সুইং করাতে পারতেন। মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন অত্যন্ত নিখুঁত ভঙ্গীমায়। আল্ফ গোভারের ছত্রচ্ছায়ায় খেলোয়াড়ী জীবন গড়ে তুলেন। মাঝারিসারিতে ব্যাট হাতে দলে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতেন। শেষদিকে বোলিংয়ে অফ ব্রেক যুক্ত করেন।
অবসর
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অল্প বয়সেই অবসর নেন। এরপর তিনি প্রথিতযশা গল্ফার হিসেবে আবির্ভূত হন। অক্সফোর্ড থেকে স্নানতোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর বার্মা শেল ও মাহিন্দ্র এন্ড মাহিন্দ্রে নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন। তৈল প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীর দায়িত্বে থাকায় রঞ্জি ট্রফির খেলায় অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে আসে।
দীর্ঘকাল অসুস্থ থাকার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে বক দিবেচা’র দেহাবসান ঘটে। তিনি আলৎসহাইমারের রোগে ভুগছিলেন।[২] তাঁর প্রসঙ্গে অক্সফোর্ডের সমসাময়িক ডোনাল্ড কার মন্তব্য করেন যে, তিনি বেশ আমুদে ছিলেন ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হিসেবে বোলিং করতে বেশ পছন্দ করতেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ^ Richard Cashman, Patrons, Players and the Crowd (1980), p. 87
- ^ Obituary in Wisden Cricketer's Almanack 2004
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বক দিবেচা (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে বক দিবেচা (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Obituary in Indian Cricket 2004
- Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers’
- ১৯২৭-এ জন্ম
- ২০০৩-এ মৃত্যু
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার
- অক্সফোর্ডশায়ারের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার
- নর্দাম্পটনশায়ারের ক্রিকেটার
- ভারতীয় ক্রিকেটার
- ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার
- মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটার
- মুম্বইয়ের ক্রিকেটার
- মাইনর কাউন্টিজের ক্রিকেটার
- সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটার
- ওরচেস্টার কলেজ, অক্সফোর্ডের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মহারাষ্ট্র থেকে আগত ক্রিকেটার