ফুকুওকা মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৩°৩৭′১২″ উত্তর ১৩০°২৫′৩৭″ পূর্ব / ৩৩.৬২০০০° উত্তর ১৩০.৪২৬৯৪° পূর্ব / 33.62000; 130.42694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফুকুওকা মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থান৩-২-১৮ হাকোজাকি, হিগাশি-কু, ফুকুওকা-শি, পোস্টাল কোড: ৮১২-০০৫৩
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়২০০৯
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
মিনার
ওয়েবসাইট
www.fukuokamasjid.org

ফুকুওকা মসজিদ ও আল নূর ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (জাপানি: アン ヌール イスラム文化センター 福岡マスジド) হলো জাপানের কিউশু দ্বীপের সর্বপ্রথম মসজিদ। মসজিদটি ২০০৯ সালে নির্মাণ করা হয়। মূলত, ফুকুওকা অঞ্চলের প্রায় এক হাজার মুসলমানের পাশাপাশি জাপানের ইসলামে আগ্রহী মানুষদের জন্য সে অঞ্চলে একটি ইসলামী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, যা পূরণ করতেই এ মসজিদটি নির্মিত হয়। এতে নিয়মিত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সাপ্তাহিক জুমার নামাজ এবং ঈদের নামাজের জামাতের আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ, বিবাহ ও জানাজার নামাজেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালে কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কেইউএমএসএ) একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করে এবং সে লক্ষ্যে অনুদান সংগ্রহ করা শুরু করে। ২০০৬ সালে জমি ক্রয় সম্পন্ন হয় এবং মসজিদ নির্মাণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা শুরু হয়। স্থানীয়দের সাথে একাধিক দফা আলোচনার পর ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হতে প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। অবশেষে, ২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।[১]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

মসজিদটির সংস্কৃতি বিভাগ নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য সপ্তাহান্তে আরবি ভাষার পাঠ দান করে। আর, প্রতি তিন মাস পর পর একবার রান্না শেখার ক্লাস হয়। এছাড়াও, তারা মাঝে মাঝে সেমিনার এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

ফুকুওকা মসজিদ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্যও উন্মুক্ত। অমুসলিমরা সেখানে গিয়ে মুসলমানদের নামাজ দেখতে পারে, ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং ইসলামের পরিচিতিমূলক বিভিন্ন পুস্তিকা সংগ্রহ করতে পারে। এমনকি, তারা চাইলে মুসলমানদের সাথে নামাজে অংশগ্রহণও করতে পারে।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

ফুকুওকা মসজিদ

তিন তলা বিশিষ্ট এই মসজিদটিতে একটি গম্বুজ ও একটি মিনার রয়েছে। মসজিদের নিচ তলা পুরুষদের আর দ্বিতীয় তলা মহিলাদের প্রার্থনা ঘর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বেসমেন্টে একটি বহুমুখী হল, একটি গ্রন্থাগার এবং একটি রান্নাঘর রয়েছে। আর, তৃতীয় তলায় রয়েছে শ্রেণিকক্ষ এবং একটি রান্নাঘর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 福岡マスジド アンヌールイスラム文化センターの歴史 福岡マスジド公式サイト、2012年11月11日閲覧。

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]