পল টেরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পল টেরি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামভিভিয়ান পল টেরি
জন্ম (1959-01-14) ১৪ জানুয়ারি ১৯৫৯ (বয়স ৬৫)
ওসনাব্রুক, লোয়ার স্যাক্সনি, পশ্চিম জার্মানি
উচ্চতা৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
সম্পর্কশন টেরি (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫০৭)
১২ জুলাই ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৩১ জুলাই ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯০মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)
১৯৭৮–১৯৯৬হ্যাম্পশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৯২ ৩১০
রানের সংখ্যা ১৬ ১৬,৪২৭ ৮,৭৯১
ব্যাটিং গড় ৫.৩৩ ৩৬.৬৬ ৩৪.২০
১০০/৫০ –/– ৩৮/৮২ ১২/৫০
সর্বোচ্চ রান ১৯০ ১৬৫*
বল করেছে ৯৫
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৩৩২/– ১৪৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ নভেম্বর ২০১৯

ভিভিয়ান পল টেরি (ইংরেজি: Paul Terry; জন্ম: ১৪ জানুয়ারি, ১৯৫৯) পশ্চিম জার্মানির ওসনাব্রুক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পল টেরি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত পল টেরি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮৪ সালে মিশ্র অনুভূতিতে পল টেরির বছরটি অতিবাহিত হয়। নিয়মিত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রীনিজের অনুপস্থিতিতে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে পল টেরিকে ইনিংস উদ্বোধনে নামতে হয়। জুলাইয়ের মধ্যেই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তন্মধ্যে, পাঁচটি শতরানের ইনিংস ছিল তার।

ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের দিকে টেরি’র দূর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদেহী ছিলেন ও মাঠে বেশ দৌঁড়ুতে পারতেন। এছাড়াও, ২০০৪ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দলকে প্রথম বিভাগে উপনীত করতে সহায়তা করেন। কিন্তু, ২০০৮ সালে দূর্বল ফলাফলের কারণে তাকে এ দায়িত্ব ত্যাগ করতে হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পল টেরি। ১২ জুলাই, ১৯৮৪ তারিখে লিডসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৬ জুলাই, ১৯৮৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টের শেষেরটিতে উইনস্টন ডেভিসের কাছ থেকে উঁচু হয়ে আসা বলে হাতের আলনা ভেঙ্গে যায়। খেলার শেষদিকে পুনরায় ক্রিজে নামেন। তখন তার হাত প্লাস্টার করা ছিল ও ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করেন। এ পর্যায়ে শতরান থেকে দূরে থাকা অ্যালান ল্যাম্বকে প্রয়োজনীয় দুই রান যুক্ত করতে সহায়তা করেন। অন্যদিকে, এটিই ইংল্যান্ডের পক্ষে তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ ছিল।

হেডিংলিতে ৮ ও ১ রান তুলেন। এরপর ওল্ড ট্রাফোর্ডের পরবর্তী টেস্টের প্রথম ইনিংসে আঘাতের শিকার হন। অ্যালান ল্যাম্বকে শতরান করাতে সহায়তা করলেও দলকে ফলো-অনের কবল থেকে উদ্ধার করতে পারেননি। এরপর তিনি ঐ মৌসুমের বাদ-বাকী সময় বাইরে থাকেন।

অবসর[সম্পাদনা]

হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে সফলতা লাভ করলেও ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে আর সাড়া পাননি। তুলনামূলকভাবে তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অনেকাংশেই নিখুঁত ছিল। ৩৬.৬৬ গড়ে ১৬,৪২৭ রান তুলেছিলেন তিনি। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০২ সালের শেষদিকে হ্যাম্পশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব ছিলেন। এ পর্যায়ে তার পরিচালনায় হ্যাম্পশায়ার দল সিএন্ডজি ট্রফির শিরোপা জয় করে। এছাড়াও, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান পেনান্ট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় মেলভিল ক্রিকেট ক্লাবকে সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ ক্রিকেট ক্লাবেরও কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান শন টেরি ২০১২ সালে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে নামে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 172আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Paul Terry delighted as son Sean joins Hampshire"BBC Sport। ১৬ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১২ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]