বিষয়বস্তুতে চলুন

নিপ পেলিও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিপ পেলিও
১৯২০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে নিপ পেলিও
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ক্লেরেন্স এভারার্ড পেলিও
জন্ম(১৮৯৩-০৯-২১)২১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৩
পোর্ট পিরি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু৯ মে ১৯৮১(1981-05-09) (বয়স ৮৭)
অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামনিপ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কল্যান্স পেলিও (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১০)
১৭ নভেম্বর ১৯২০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৬ নভেম্বর ১৯২১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১৩/১৪ - ১৯২৮/২৯সাউথ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৯১
রানের সংখ্যা ৪৮৪ ৪৫৩৬
ব্যাটিং গড় ৩৭.২৩ ৩৩.৬০
১০০/৫০ ২/১ ৯/২১
সর্বোচ্চ রান ১১৬ ২৭১
বল করেছে ৭৮ ১৬৭৩
উইকেট ১২
বোলিং গড় - ৭০.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ৩/১১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/০ ৪৩/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

ক্লেরেন্স এভারার্ড নিপ পেলিও (ইংরেজি: Nip Pellew; জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ - মৃত্যু: ৯ মে, ১৯৮১) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট পিরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২০ থেকে ১৯২১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘নিপ’ ডাকনামে পরিচিত নিপ পেলিও

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯১৩-১৪ মৌসুম থেকে ১৯২৮-২৯ মৌসুম পর্যন্ত নিপ পেলিও’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঝরঝরে চুলের অধিকারী নিপ পেলিও খুব কম সময়ই টুপি পরিধান করতেন। আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ফলে, ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনদিনের টেস্টে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখতো। খুবই চমৎকার ভঙ্গীমায় সোজা বরাবর বলকে সপাটে মারতেন। এছাড়াও কিছুটা দেরীতে আসা বলকে কভার ও থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে অফ ড্রাইভে মারতেন। পাশাপাশি লেগ সাইডেও দক্ষতা ছিল তার। উইকেটে বেশ দৌড়ুতে পারতেন। ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিভাবান ফিল্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।[]

১৯১৩-১৪ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯১৪-১৫ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ৯৭ রান তুলেন। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চলে যান। যুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে এআইএফের দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯৪৬ সালে ডাডলি ক্যারিও লিখেছিলেন যে, ১৯১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ফোর্সেস দলে শতরান ও হ্যাট্রিকের প্রাচুর্যতায় অবস্থান করলেও পেলিও’র ফিল্ডিংয়ের কথা হাজারো দর্শকের মনে অনেকগুলো বছর ঠাঁই করে নিয়েছিল।[] তার স্মরণে উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, ‘১০.২ সেকেন্ড সময়ে নিয়ে ১০০ গজ দৌড়ুতে পারতেন। ১০০ গজ দূর থেকেও বল উইকেটে পৌঁছে দিতেন। ৪০ গজ দৌড়েও শুধু এক রান নয়; দুই কিংবা তিন রানও অবলীলাক্রমে বাঁচাতে পারতেন। আউটফিল্ডের বিষয়ে কোন আলোচনা করা হলে নিঃসন্দেহে তাকে তালিকায় রাখতেই হবে।’[] সেখানে তিনি প্রকৃত বীর বনে যান। ১৯২০-২১ মৌসুমে দুইটি শতরান ও শেফিল্ড শিল্ডে ৩৯.৫০ গড়ে রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন নিপ পেলিও। ১৭ ডিসেম্বর, ১৯২০ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

প্রথম খেলায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রান তুলেন। এ সফরে চারটি ৩৮ গড়ে ১২৬০ রান তুলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে পৌনে পাঁচ ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থানে করে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এরফলে ৩০ বছরে পূর্বেকার জর্জ গিফেনের রেকর্ডের ভাগীদার হন। ১৯২০-২১ মৌসুমে পাঁচ টেস্টের চারটিতে অংশ নিয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ছিলেন। তবে, অনুমতিজনিত সমস্যার কারণে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ফুটবল লীগে (এসএএনএফএল) নর্থে অ্যাডিলেড ফুটবল ক্লাবের পক্ষে মাত্র একটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ হয়েছিল তার। মধ্যমাঠের খেলোয়াড়ে হিসেবে স্টার্ট ফুটবল ক্লাবের তারকা খেলোয়াড় ও টেস্ট ক্রিকেটার ভিক রিচার্ডসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন।[]

১৯৩০ সাল থেকে সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য দলের পক্ষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন।[] তার অপর ভ্রাতা ল্যান্স পেলিও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

৯ মে, ১৯৮১ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে নিপ পেলিও’র দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন ১৯২১ সালে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বাধীন সেরা অস্ট্রেলীয় দলের সর্বশেষ জীবিত সদস্যের মর্যাদা পেয়েছিলেন। দলটি তৎকালে যে-কোন বিচারে জয়ের দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেছিল। প্রথাগতভাবে দণ্ডায়মান ইংরেজ শৌখিন ক্রিকেটারদের ন্যায় দণ্ডায়মান থাকতেন না।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, p. 413.
  2. Carew, p. 163.
  3. Wisden 1982, p. 1208.
  4. Atkinson, p. 184.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]