নানছাং
নানছাং 南昌市 | |
---|---|
জেলা-স্তরের নগরী | |
নানছাং | |
ডাকনাম: Hongcheng (洪城 lit. Grand City[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]), Hongdu (洪都 lit. Grand Metropolis[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]), Yuzhang (豫章) | |
চিয়াংশি প্রদেশে নানছাং নগরীর অবস্থান | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Eastern China" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Eastern China" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।পূর্ব চীনে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (Nanchang municipal government): ২৮°৪০′৫৯″ উত্তর ১১৫°৫১′২৯″ পূর্ব / ২৮.৬৮৩° উত্তর ১১৫.৮৫৮° পূর্ব | |
দেশ | চীন |
প্রদেশ | চিয়াংশি |
County-level divisions | ৬টি জেলা, 3 কাউন্টি |
পৌর আসন | হুংকুথান জেলা |
সরকার | |
• ধরন | উপজেলা-স্তরের নগরী |
• শাসক | Nanchang Municipal People's Congress |
• CCP Secretary | Wu Xiaojun |
• Congress Chairman | উ ওয়েইচু |
• নগরপ্রধান | কো কুয়ানমিং |
• CPPCC Chairman | Liu Jiafu |
আয়তন | |
• জেলা-স্তরের নগরী | ৭,১৯৪ বর্গকিমি (২,৭৭৮ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৬৮৬ বর্গকিমি (২৬৫ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৪,৫৮৮ বর্গকিমি (১,৭৭১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩৭ মিটার (১২২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২০-এর জনগণনা)[১] | |
• জেলা-স্তরের নগরী | ৬২,৫৫,০০৭ |
• জনঘনত্ব | ৮৭০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৩৯,২৯,৬৬০ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ৫,৭০০/বর্গকিমি (১৫,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৫৩,৮২,১৬২ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | CST (ইউটিসি+8) |
Postal code | 330000 |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | CN-JX-01 |
Licence plate prefixes | 赣A, 赣M |
নগর পুষ্প | চীনা গোলাপ |
নগর বৃক্ষ | Camphor Laurel |
ওয়েবসাইট | nc |
নানছাং | |||||||||||||||||||||||||||||
চীনা | 南昌 | ||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আক্ষরিক অর্থ | "দক্ষিণী সমৃদ্ধি" | ||||||||||||||||||||||||||||
|
নানছাং দক্ষিণ-পূর্ব চীনের চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নগরী।[২] এটি প্রদেশের উত্তর-মধ্যভাগে, কান নদী ও চিন নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ঠিক ভাটিতে, কান নদীর ডান তীরে ও ফোইয়াং হ্রদে নদীটির মোহনা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। পশ্চিমে চিঔলিং পর্বতমালা ও পূর্বে ফোইয়াং হ্রদ নগরীর সীমানা নির্ধারণ করেছে। এখানে প্রায় ৬২ লক্ষ লোকের বাস। সমৃদ্ধিশালী পূর্ব চীন ও দক্ষিণ চীনের মধ্যবর্তী কৌশলগত অবস্থানের কারণে এটি সাম্প্রতিক দশকগুলিতে দক্ষিণ চীনের একটি প্রধান রেলকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আদিতে এটি একটি প্রাচীরবেষ্টিত নগরী ছিল। ২০১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে এটি দক্ষিণী থাং রাজবংশের রাজধানীতে পরিণত হয়। মঙ্গোল পর্বের শেষে এসে এটি মিং রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় সমরনেতাদের মধ্যকার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। ১৬শ শতকের শুরুতে মিং শাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ জেগে ওঠে। নানছাং থাইফিং বিদ্রোহে ক্ষতির শিকার হয়। ১৯২৭ সালে এটি চীনের সাম্যবাদী দলের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের একটি কেন্দ্র ছিল। নানছাং বিদ্রোহ নামে পরিচিত এই ঘটনাটিকে চীনের শাসক সাম্যবাদী দল "শয়তান জাতীয়তাবাদী খুওমিনথাংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম গুলিচালনা" হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।[৩] চীনা সরকার ১৯৪৯ সাল থেকে এটিকে "বীরদের শহর", "যেখানে গণমুক্তিবাহিনী জন্ম হয়েছিল", এবং "যেখানে গণমুক্তিবাহিনীর প্রথম সামরিক কেতন উত্তোলিত হয়েছিল", ইত্যাদি ডাকনাম দিয়েছে। ১৯৪৯ সালের পরে এটির শিল্পায়ন ঘটে। এখানে বস্ত্র, গুঁড়া চাল ও মোটরযানের যন্ত্রাংশের কারখানা আছে।
১৯৯০-এর দশকে বেইজিং ও হংকংয়ের মধ্যে একটি রেলপথ চালু হলে নানছাং শহরের সাথে চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলের স্থলসংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগরীটি রেলপথে পূর্বে চচিয়াং প্রদেশ ও পশ্চিমে হুনান প্রদেশের সাথে সংযুক্ত। এছাড়া চীনের প্রধান প্রধান নগরীগুলির সাথে বিমানপথে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।
নানছাংকে চীনের একটি জাতীয় পর্যায়ের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নগরীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ, নেচার সূচক অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক গবেষণা উৎপাদন অনুযায়ী বিশ্বের সেরা ২০০ নগরীর তালিকায় এটি স্থান পেয়েছে।[৪] এখানে নানছাং বিশ্ববিদ্যালয়, যা চীনের একটি মর্যাদাবাহী গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "China: Jiāngxī (Prefectures, Cities, Districts and Counties) - Population Statistics, Charts and Map"।
- ↑ "Illuminating China's Provinces, Municipalities and Autonomous Regions"। PRC Central Government Official Website। ২০১৪-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭।
- ↑ Schwartz, Benjamin, Chinese Communism and the Rise of Mao, Harper & Row (New York: 1951), p. 93.
- ↑ "Nature Index 2020 Science Cities | Supplements | Nature Index"। www.natureindex.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬।