দেওবন্দি জিহাদবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেওবন্দি জিহাদবাদ
الجهادية الديوبندية
নেতাImdadullah Muhajir Makki, Muhammad Qasim Nanautavi, Rashid Ahmad Gangohi, Mahmud Hasan Deobandi, Sami-ul-Haq, Mullah Omar, Masood Azhar, Ilyas Kashmiri
উদ্দেশ্যIslamic state, Caliphate[১][২]
সক্রিয়তার অঞ্চলAfghanistan, Pakistan, Kashmir, Bangladesh, India
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধBattle of Shamli, Silk Letter Movement, Soviet–Afghan War, Insurgency in Jammu and Kashmir, Afghan Civil War (1992–1996), Internal conflict in Bangladesh, War in Afghanistan (2001–2021)
সংগঠনTaliban, Sipah-e-Sahaba Pakistan, Aid Organization of the Ulema, Lashkar-e-Jhangvi, Jaish-e-Mohammed, Harkat-ul-Jihad al-Islami, Haqqani network, Pakistani Taliban, Harkat-ul-Mujahideen, Lashkar-e-Islam, Jamiat Ulema-e-Islam (S), Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh, Allah'r Dal

দেওবন্দি জিহাদবাদ হলো ইসলামের একটি জিহাদী ব্যাখ্যা , যা উনবিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত দেওবন্দ আন্দোলনের শিক্ষার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল। দেওবন্দি আন্দোলন সশস্ত্র জিহাদের তিনটি ঢেউ বয়ে নিয়েছিল। প্রথম তরঙ্গে দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর আগের ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় আন্দোলনের প্রবীণরা থানা ভবনকে কেন্দ্র করে একটি ইসলামি অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার কাজে জড়িত ছিলেন এবং ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী ছিলেন সে ইসলামী ভূখণ্ডের আমিরুল মুমিনিন[৩] এরপর শামলীর যুদ্ধে ব্রিটিশরা দেওবন্দী বাহিনীকে পরাজিত করলে এ অঞ্চলটির পতন হয়। দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পর মাহমুদ হাসান দেওবন্দী দ্বিতীয় তরঙ্গের দীক্ষায় নেতৃত্ব দেন। তিনি সম্রাতুত তরবিয়াত গঠনসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ব্রিটিশরা যখন রেশমি রুমাল আন্দোলন উন্মোচন করতে সক্ষম, তারা তাকে গ্রেফতার করে এবং মাল্টায় বন্দী করে রাখে। মুক্তির পরে তিনি এবং তার শিষ্যরা মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[৩]

১৯৭৯ সালের শেষ-দিকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত দেওবন্দি জিহাদি আন্দোলনের তৃতীয় তরঙ্গের কেন্দ্রে পরিণত হয়, যা সোভিয়েত এবং আফগান যুদ্ধের ইন্ধন ছিল। পাক রাষ্ট্রপতি জিয়া-উল-হকের পৃষ্ঠপোষকতায় দারুল উলূম হাক্কানিয়াজামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন মাদ্রাসার বিস্তার ঘটে। জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (স) এই আন্দোলনে জন্য রাজনৈতিক সমর্থন দেয়। পাক-আফগান সীমান্ত থেকে প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা আফগান জিহাদে অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে তারাই তালেবানসহ বিভিন্ন সংগঠন গঠন করে। দেওবন্দি জিহাদবাদের সবচেয়ে সংগঠিত ও সফল উদাহরণ হল তালেবান, যারা আফগানিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের (স) প্রধান সামিউল হককে "তালেবানের পিতা" বলা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ingram, Brannon D. (২০১৮)। Revival from Below: The Deoband Movement and Global IslamOakland: University of California Pressআইএসবিএন 978-0520298002এলসিসিএন 2018014045 
  2. Syed, Jawad; Pio, Edwina; Kamran, Tahir; Zaidi, Abbas, সম্পাদকগণ (২০১৬)। Faith-Based Violence and Deobandi Militancy in Afghanistan, Indian subcontinentBasingstoke: Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 139। আইএসবিএন 978-1-349-94965-6এলসিসিএন 2016951736ডিওআই:10.1057/978-1-349-94966-3Some prominent founders of the Darul Uloom Deoband, such as Muhammad Qasim Nanautavi and Rashid Ahmad Gangohi, drew further inspiration from the religiopoliticial concept of Shah Waliullah and they set up an Islamic seminary at Deoband in UP on 30 May 1866 
  3. আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া: দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান