ত্রিলোচন প্রধান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত্রিলোচন প্রধান
জন্ম(১৯২৯-০১-০৩)৩ জানুয়ারি ১৯২৯
মৃত্যু৪ ডিসেম্বর ২০২১(2021-12-04) (বয়স ৯২)
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষা পিএইচডি (শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়)
মাতৃশিক্ষায়তনরাভেনশ কলেজ, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারপদ্মভূষণ (১৯৯০)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহসাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স কলকাতা
ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স ভুবনেশ্বর
উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টামারভিন লিওনার্ড গোল্ডবার্গার

ড.অধ্যাপক ত্রিলোচন প্রধান (৩ জানুয়ারি ১৯২৯ - ৪ ডিসেম্বর ২০২১) ছিলেন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী।[১][২] ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে সম্মানিত হন।[৩]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ত্রিলোচন প্রধান ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের অধুনা ওড়িশার নয়াগড় জেলার ঘনসালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নয়াগড় হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশে পর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভর্তি হন কটকের রাভেনশ কলেজে। পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক হন এবং ময়ৃরভঞ্জ স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি বারাণসীর কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম হন। এমএসসি পাশের পর তিনি রাভেনশ কলেজের অনুষদ পদে যোগ দেন। কিন্তু ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফের্মি প্রমুখের কাছ থেকে পারমানবিক পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়ে ডিগ্রির কোর্সের শিক্ষা নেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মারভিন লিওনার্ড গোল্ডবার্গারের অধীনে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিয়ের ছিল— ইলেকট্রন ক্যাপচার বাই প্রোটনস্ পাসিং থ্রু হাইড্রোজেন[৪] ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের পর এক বৎসর তিনি শিকাগোতে নোবেলজয়ী জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখরের সঙ্গে কাজ করেন। পরবর্তী এক বৎসরের (১৯৫৭-৫৮) পোস্ট-ডক্টরাল অ্যাসাইনমেন্টে কোপেনহেগেনের নিলস বোর ইনস্টিটিউটে কাজ করেন তিনি। [৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ড. ত্রিলোচন প্রধান ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন এবং রাভেনশ কলেজে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লেকচারার ছিলেন। তারপর তিনি কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে তাত্ত্বিক পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ হতে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অধ্যাপক ত্রিলোচন প্রধান উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন ছিলেন।[৬]

বই[সম্পাদনা]

  • দ্য ফোটন, (নোভা সায়েন্স পাবলিশার্স, নিউ ইয়র্ক),(২০০১) [৭]
  • কোয়ান্টাম মেকানিক্স (হায়দ্রাবাদের ইউনিভার্সিটি প্রেস) [৮]
  • ইলেকট্রন ক্যাপচার বাই প্রোটনস্ পাসিং থ্রু হাইড্রোজেন[৯]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Noted physicist Trilochan Pradhan passes away at 93"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৫ 
  2. "Former Utkal University VC Dr. Trilochan Pradhan Passes Away"Pragativadi (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ ডিসেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২১ 
  3. "Padma Awards - Interactive Dashboard"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৫ 
  4. >...pdf "Trilichan Pradhan (1929-2021)" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৪ 
  5. "Trilochan Pradhan :A Worthy Heir To Pathani Samanta"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৩ 
  6. Jagannath Mohanty; Sudhansu Mohanty (১ জানুয়ারি ২০০৬)। In Quest of Quality Education and Literature: An Autobiography। Deep & Deep Publications। পৃষ্ঠা 190–। আইএসবিএন 978-81-7629-764-6 
  7. Trilochan Pradhan (১ জানুয়ারি ২০০১)। The Photon। Nova Publishers। আইএসবিএন 978-1-56072-928-0 
  8. Trilochan Pradhan (২০০৯)। Quantum Mechanics। Anshan। আইএসবিএন 978-1-84829-038-9 
  9. Trilochan Pradhan (১৯৫৬)। Electron Capture by Protons Passing Through Hydrogen। University of Chicago, Department of Physics.। 
  10. Mallick, Sharmili। "Eminent Scientist From Odisha, Trilochan Pradhan, No More"Odisha TV। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৫ 
  11. "Physicist Trilochan Pradhan gets Kalinga Samman"Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  12. "Padma Bhushan Awardees - Padma Awards - My India, My Pride - Know India: National Portal of India"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫  ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে