তোফায়েল আহমেদ
তোফায়েল আহমেদ | |
|---|---|
২০১৮ সালে তোফায়েল আহমেদ | |
| বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী | |
| কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ৬ জানুয়ারি ২০১৯ | |
| প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
| পূর্বসূরী | জি. এম. কাদের |
| উত্তরসূরী | টিপু মুনশি |
| বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী | |
| কাজের মেয়াদ ১৪ জুলাই ১৯৯৬ – ১৩ জুলাই ২০০১ | |
| প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
| পূর্বসূরী | শামসুল ইসলাম খান |
| উত্তরসূরী | রেজাউল করিম মান্নান |
| ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ৫ মার্চ ১৯৯১ – ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | |
| পূর্বসূরী | নাজিউর রহমান মঞ্জুর |
| উত্তরসূরী | মোশারেফ হোসেন শাহজাহান |
| নির্বাচনী এলাকা | ভোলা-১ |
| কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
| পূর্বসূরী | আন্দালিব রহমান পার্থ |
| ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ১০ জুলাই ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | |
| উত্তরসূরী | সিদ্দিকুর রহমান |
| নির্বাচনী এলাকা | ভোলা-২ |
| কাজের মেয়াদ ১৪ জুলাই ১৯৯৬ – ১৩ জুলাই ২০০১ | |
| পূর্বসূরী | নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ |
| উত্তরসূরী | হাফিজ ইব্রাহিম |
| কাজের মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ – ২০ নভেম্বর ২০১৪ | |
| পূর্বসূরী | হাফিজ ইব্রাহিম |
| উত্তরসূরী | আলী আজম |
| বাকেরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ৭ এপ্রিল ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ | |
| উত্তরসূরী | একে এম আখতারুজ্জামান আলমগীর |
| নির্বাচনী এলাকা | বাকেরগঞ্জ-১ (বর্তমানে বিলুপ্ত)[১] |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ২২ অক্টোবর ১৯৪৩ বাকেরগঞ্জ জেলা, বঙ্গ প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভোলা জেলা, বাংলাদেশ) |
| নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
| দাম্পত্য সঙ্গী | আনোয়ারা বেগম |
| সন্তান | তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী (একমাত্র সন্তান) |
| পিতামাতা | আজহার আলী (পিতা) ফাতেমা খানম (মাতা) |
তোফায়েল আহমেদ (জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৪৩) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি নয় বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদের একজন সদস্য এবং তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২][৩][৪]
জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]
তোফায়েল আহমেদের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের বাকেরগঞ্জ জেলার কোড়ালিয়া গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশের ভোলা জেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে)।[৫] পিতা মৌলভী আজহার আলী, মা ফাতেমা বেগম। ১৯৬০ সালে ভোলা সরকারি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে এমএসসি।[২][৬]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯-এ গণজাগরণ ও ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন তিনি ডাকসুর ভিপি হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামীকে মুক্তি প্রদান করে পাকিস্তান সরকার। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐ বছরেরই ২৩শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবের সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভার আয়োজন করে। লাখো জনতার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করা হয়। উপাধি প্রদানের ঘোষণা দেন তোফায়েল আহমেদ।[৭][৮]
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন ছিলেন।[৩][৯][১০][১১] ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে ১৪ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর, সামরিক প্রশাসন তোফায়েল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আটক রাখে। তাঁর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মিন্টুকে হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করে।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে, তোফায়েল আহমেদকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর, তোফায়েল আহমেদ সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাবিত আওয়ামী লীগের সংস্কার পরিকল্পনার পক্ষে মত দেন, যেখানে দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে অপসারণ করার প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তবে প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী সদস্যদের একজন হওয়া সত্ত্বেও তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ যান।
তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও একজন সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০৮ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৯][১২] ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১৩]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৪ সালে দনিয়াস্থ আলহাজ্ব মফিজুল হক তালুকদারের জ্যেষ্ঠ কন্যা আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তিনি পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সংসারজীবনে এক কন্যাসন্তানের জনক। কন্যা তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী একজন চিকিৎসক। জামাতা তৌহিদুজ্জামান তুহিন বর্তমানে স্কয়ার হসপিটালে কর্মরত কার্ডিওলজিস্ট।[২]
তা ছাড়া তিনি তাঁর বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে মাইনুল হোসেন বিপ্লবকে দত্তক নেন এবং কথিত আছে যে, নিজ কন্যা মুন্নী'র চেয়েও বিপ্লব তার নিকট বেশি স্নেহ বৎসল এবং তাকে তার পুত্র বলেই সব স্থানে পরিচয় করিয়ে দেন। এর কারণ রূপে তার অরাজনৈতিক বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তিনি নিজের রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে দোষ দিয়ে থাকেন।
মাইনুল হোসেন বিপ্লবের বড় ভাই ভোলা-২ আসনের ৩ বারের সাবেক সাংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্যবৃন্দ" (পিডিএফ)। parliament.gov.bd।
- 1 2 3 "আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন"। যুগান্তর। ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- 1 2 "তোফায়েল আহমেদ"। প্রিয়.কম। ২৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "শুভ জন্মদিন জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ"। আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "৫৩ বছর ধরে নৌকার প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ"। প্রথম আলো।
- ↑ "ভোলা জেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ রহিম, এনায়েতুর; রহিম, জয়েস এল, সম্পাদকগণ (২০১৩)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স: ইউকে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস, ডি-ক্ল্যাসিফায়েড ডকুমেন্টস, ১৯৬২-১৯৭১। হাক্কানী পাবলিশার্স।
- ↑ আহসান, সৈয়দ বদরুল (১৮ জুন ২০০৮)। "Agartala Conspiracy Case forty years on" [আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার চল্লিশ বছর]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)।
- 1 2 তোফায়েল আহমেদ (২০১৭)। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু। ঢাকা, বাংলাদেশ: আগামী প্রকাশনী। পৃ. ৭৮।
- ↑ "'৬৯ না এলে আমি তোফায়েল আহমেদ হতে পারতাম না'"। বাংলা ট্রিবিউন। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "'বঙ্গবন্ধু' উপাধির ৫০ বছর পূর্তিতে যা বললেন তোফায়েল আহমেদ"। Sarabangla.net। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস | তোফায়েল আহমেদ"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪।
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৪৩-এ জন্ম
- প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য
- তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- সপ্তম জাতীয় সংসদ সদস্য
- নবম জাতীয় সংসদ সদস্য
- দশম জাতীয় সংসদ সদস্য
- একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
- বাংলাদেশের মন্ত্রী
- বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- ভোলা জেলার রাজনীতিবিদ
- শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ভোলা সদর উপজেলার ব্যক্তি
- ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ডাকসু ভিপি