তাফহিমুল কুরআন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(তাফহীমুল কুরআন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

তাফহিমুল কুরআন হলো কোরআন সম্পর্কে মুসলিম দার্শনিক ও ইসলাম ধর্মের পণ্ডিত সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর ভাষ্য অনুযায়ী ৬ খণ্ডে কোরআনের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ (তাফসীর)। মাওলানা মওদুদী এ তাফসীর লেখার জন্যে ৩০ বছর সময় ব্যয় করেন। তিনি ১৯৪২ সালে উর্দু ভাষায় শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে এটি সম্পন্ন করেন। [১]

নামকরণ[সম্পাদনা]

তাফহীম (تفهيم) আরবী শব্দ ‘ফাহম ( الفهم)’ থেকে এসেছে যার মানে "বোঝা, জানা, অবগত হওয়া, জ্ঞানলাভ করা।"। [২]

বিবরণ[সম্পাদনা]

তাফহীম আধুনিকতাবাদী সংবিধানের সমন্বয় এবং আধুনিক ইসলামী চিন্তাধারাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এটা বিভিন্ন উপায়ে ঐতিহ্যগত তাফসীর থেকে থেকে ভিন্ন। এটি ধর্মগ্রন্থের উপর একটি ঐতিহ্যবাহী ভাষ্যের চেয়ে বেশি কারণ এতে অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং রাজনীতি সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে। তার পাঠ্যাংশে, মওদূদী কুরআনের দৃষ্টিকোণকে তুলে ধরেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে ইসলাম সকল গোলকের মধ্যে যথেষ্ট নির্দেশনা দেয়।

মওদুদী, আয়াতসমূহের পিছনের ঐতিহাসিক কারণ সহ মুহাম্মদের সুন্নাহ থেকে কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদানে আদর্শ কৌশল ব্যবহার করেছেন। তাফহীমে সাধারণভাবে আধুনিক বিশ্বের এবং বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়া সমস্যার কথা ব্যাপকভাবে আলোচনা করে।[৩]

তাফহিমুল কুরআন ১৯টি খণ্ডে বিভক্ত, এটি মূলত সুরার ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে। ১১৪টি সুরাকে ১৯টি খণ্ডে তাফসীর করা হয়েছে।

খন্ডসমূহ[সম্পাদনা]

খন্ড সুরা পারা
১, ফাতিহা, ২, বাকারা ১-৩
২''''' ৩. ইমরান, ৪, নিসা ৩-৬
৫. মায়েদা, ৬. আনআম, ৬-৮
৭. আরাফ, ৮. আনফাল ৮-১০
৫প ৯. তাওবা, ১০. ইউনুস ১০-১১
১১. হুদ ১২. ইউসুফ, ১৩. রাদ, ১৪. ইব্রাহিম ১১-১৩
১৫. হিজর, ১৬. নাহল, ১৭. বনি-ইসরাইল, ১৮. কাহফ ১৪-১৬
১৯. মারিয়াম, ২০. ত্ব-হা, ২১. আম্বিয়া, ২২. হাজ্জ্ব ১৬-১৭
২৩. মুমিনুন, ২৪. নূর ১৭-১৮
১০ ২৫. ফুরক্বান, ২৬. শু-আরা, ২৭. নামল, ২৮. কাসাস ১৮-২০
১১ ২৯. আনকাবুত, ৩০.রূম, ৩১. লুকমান, ৩২. সিজদাহ ২০-২১
১২ ৩৩. আহযাব, ৩৪. সাবা, ৩৫. ফাতির ২১-২২
১৩ ৩৬. ইয়াসিন, ৩৭. সাফকাত, ৩৮. সা-দ, ৩৯. জুমা, ৪০. মুমিন ২২-২৪
১৪ ৪১, হা-মীম, সিজদাহ, ৪২. আশ-শুরা, ৪৩, যুকরফ, ৪৪, দুখান, ৪৫. জাসিয়াহ, ৪৬. আহকাফ ২৪-২৬
১৫ ৪৭. মুহাম্মদ, ৪৮. ফাতহ, ৪৯. হুজুরাত, ৫০. কাফ, ৫১. যারিয়াত, ৫২. তূর ২৬-২৭
১৬ ৫৩. নাজম ৫৪. কামার ৫৫. রাহমান ৫৬. ওয়াক্বিয়াহ্ ৫৭. হাদীদ ৫৮. মুজাদালাহ্ ২৭-২৮
১৭ ৫৯. আল হাশর ৬০. আল মুম্তাহিনাহ্ ৬১. সাফ ৬২. জুমুআহ ৬৩. মুনাফিকূন ৬৪. তাগাবুন ৬৫. তালাক ৬৬.তাহরিম ২৮
১৮ ৬৭. মুলক ৬৮. ক্বলম  ৬৯. হাক্কাহ  ৭০. মাআরিজ  ৭১. নূহ  ৭২. জ্বিন  ৭৩. মুয্যাম্মিল ৭৪. মুদ্দাস্সির  ৭৫. ক্বিয়ামাহ ৭৬. দাহর ৭৭. মুরসালাত ২৯
১৯ ৭৮. নাবা ৭৯. নাযিয়াত ৮০. আবাসা ৮১. তাক্ভীর ৮২. ইন্ফিতার  ৮৩. মুত্বাফ্ফিফীন ৮৪. ইন্শিকাক  ৮৫. বুরুজ  ৮৬. তারিক্ব ৮৭. আ’লা  ৮৮. গাশিয়াহ্ ৮৯. ফাজর ৯০. বালাদ  ৯১. শামস  ৯২. লাইল  ৯৩. দুহা  ৯৪. ইনশিরাহ  ৯৫. ত্বীন  ৯৬. আলাক  ৯৭. ক্বাদর  ৯৮. বাইয়্যিনাহ  ৯৯. যিলযাল ১০০. আদিয়াত  ১০১. ক্বারিয়াহ  ১০২. তাকাসুর  ১০৩. আসর ১০৪. হুমাযাহ ১০৫. ফীল  ১০৬. কুরাইশ ১০৭. মাউন ১০৮. কাওসার ১০৯. কাফিরুন ১১০. নাসর ১১১. লাহাব ১১২. ইখলাস ১১৩. ফালাক  ১১৪. নাস ৩০

অনুবাদ[সম্পাদনা]

মওদুদী উর্দুতে তার রচনা লিখেছেন। এর পরে থেকে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, মারাঠি এবং পশতু সহ একাধিক ভাষায় এটি অনুবাদ করা হয়েছে। প্রথম ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন চৌধুরী আকবর খান।

২০০৬ সালে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুরআনকে বোঝার পক্ষে শিরোনামের অধীনে জাফর ইসহাক আনসারী কর্তৃক একটি সংক্ষিপ্ত আকারের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "অনুবাদকের কথা"www.banglatafheem.com (Bengali ভাষায়)। BanglaTafhim। ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Al Maududi, chapter introductions"। ২২ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯ 
  3. "Tafheem at ইসলাম.net.bd"www.islam.net.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]