বিষয়বস্তুতে চলুন

তাপীয় পদার্থবিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন - তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

তাপীয় পদার্থবিজ্ঞান (Thermal physics) একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় বিজ্ঞান, যেখানে তাপগতিবিজ্ঞান, পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞান ও গ্যাসের গতিবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব একত্রে অধ্যয়ন করা হয়। এই ছত্র-শাস্ত্রটি (umbrella discipline) সাধারণত পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য নকশা করা হয়ে থাকে এবং তাপ-বিষয়ক তিনটি কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষায়তনিক বিষয়ের উপর একটি সাধারণ ভূমিকা প্রদানের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয়। কোনও কোনও লেখক অবশ্য তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানকে শিথিলভাবে কেবলমাত্র তাপগতিবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞানের সমবায় হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।[] তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানকে বৃহৎসংখ্যক অণুবিশিষ্ট ব্যবস্থাগুলির গবেষণা হিসেবে ধরা যায়, যেখানে তাপগতিবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির একীভবন ঘটে।

সামগ্রিক দৃশ্য

[সম্পাদনা]

সাধারণভাবে বললে তাপীয় পদার্থবিজ্ঞান হল শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ভৌত ব্যবস্থা বা তন্ত্রগুলির পরিসংখ্যানিক প্রকৃতির গবেষণা। তাপ ও তাপমাত্রা বা উষ্ণতাকে ভিত্তি হিসেবে ধরে শুরু করে তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানে পরিসংখ্যানিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি প্রদত্ত বৃহৎ মাপনীর অবস্থার সাথে সম্পর্কিত অতিক্ষুদ্র মাপনীর অবস্থাগুলির সাপেক্ষে তাপগতিবিজ্ঞানের প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্রগুলি বিশ্লেষণ করা হয়। উপরন্তু, এনট্রপি বা বিশৃঙ্খলা-মাত্রার ধারণাতি কোয়ান্টাম তত্ত্বের মাধ্যমে অধ্যয়ন করা হয়।

তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় হল কানুনি সম্ভাবনা বিন্যাস (canonical probability distribution)। ফোটন ও ফোনন কণাগুলির তড়িৎ-চুম্বকীয় প্রকৃতিগুলি অধ্যয়ন করা হয়, যাতে দেখা যায় যে তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রগুলির দোলন এবং কেলাস জাফরির দোলনের মধ্যে অনেক মিল আছে। তরঙ্গগুলি উভয়ের ভিত্তি প্রদান করতে পারে, যদি বিজ্ঞানিরা কোয়ান্টাম তত্ত্বকে অঙ্গীভূত করে নেন।

তাপীয় পদার্থবিজ্ঞানে অধীত অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে আছে: রাসায়নিক বিভব, আদর্শ গ্যাসগুলির কোয়ান্টাম প্রকৃতি, বিশেষ করে ফার্মিয়ন ও বোসনের সাপেক্ষে, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, গিবসের মুক্ত শক্তি, হেল্মহোলৎসের মুক্ত শক্তি, রাসায়নিক ভারসাম্য, দশা ভারসাম্য, সমবিভাজন উপপাদ্য, পরম শূন্য তাপমাত্রাঊ বিশৃঙ্খলা-মাত্রা (এনট্রপি), গড় মুক্ত পথ হিসেবে পরিবহন প্রক্রিয়াসমূহ, সান্দ্রতা, এবং পরিচলন.[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Chang Lee, Joon (২০০১)। Thermal Physics – Entropy and Free Energies। World Scientific। আইএসবিএন 981-02-4874-1 
  2. Ralph, R. (1999). Thermal Physics. Cambridge: Cambridge University Press. আইএসবিএন ০-৫২১-৬৫৮৩৮-১

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]