ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। (October 2011) |
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল | |
---|---|
![]() | |
ঠিকানা | |
১, লয়াল স্ট্রিট সদরঘাট ঢাকা, ১১০০ বাংলাদেশ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪২′২৮″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮″ পূর্ব / ২৩.৭০৭৭৩৫° উত্তর ৯০.৪১০৫৭৬° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′২৮″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮″ পূর্ব / ২৩.৭০৭৭৩৫° উত্তর ৯০.৪১০৫৭৬° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারী বিদ্যালয়, বালক উচ্চ বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | জুলাই ১৮৩৫ |
শ্রেণী | ৩য়-১০ম |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২৫০০+ |
ক্যাম্পাস | পুরান ঢাকা |
রঙ | সাদা এবং গাঢ় নীল |
মাস্কট | একটি খোলা বইয়ের মধ্যে একটি চোখ, যার মধ্যে জ্ঞানের একটি অনন্ত শিখা জ্বলছে |
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়টি পুরান ঢাকার সদরঘাট এ অবস্থিত। [১]
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৫ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ১৮৩৬ সালে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং পাটনা কলেজিয়েট স্কুলের গোড়াপত্তন করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে ঢাকা জেলার কালেক্টর মিঃ স্কিনার স্কুল গভনিং বডির সভাপতি ও জেলা সার্জন ডাঃ জেমস টেইলর স্কুল সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মিঃ রিজ নামক একজন দক্ষ ইংরেজ শিক্ষককে স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা
প্রথমে এর নাম দেয়া হয়েছিল ঢাকা ইংলিশ সেমিনারী। ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে এ সেমিনারী থেকে ঢাকা কলেজ-এর জন্ম হয়। তখন স্কুল শাখাটির নাম রাখা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল এবং কলেজের অধ্যক্ষের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি ১৯০৮ সালের জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়। ১৯০৮ সনের জুলাই মাসে এই বিদ্যালয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শকের তত্ত্বাবধানে নেয়া হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়টি জিলা স্কুলের মর্যাদা পেয়ে আসছে। কিন্তু বিদ্যালয়টির নাম "ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল" রয়ে যায়।
১৮৭২ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয়দের দ্বারাই এই স্কুলটি পরিচালিত হয়। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম প্রধান শিক্ষকের পদ অর্জনের গৌরব লাভ করেন বাবু কৈলাস চন্দ্র ঘোষ। পরে বাবু রায়সাহেব রত্ন মণি গুপ্তের (১৮৮৮-১৮৯৬) পরিচালনাধীনে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ পরপর আট বছর বাংলা, বিহার ও আসাম প্রদেশের মধ্যে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম স্থান অধিকার করার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সাবেক ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন[সম্পাদনা]
- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী
- মেঘনাদ সাহা, পদার্থবিজ্ঞানে থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা।
- দীনেশ গুপ্ত, বিপ্লবী
- জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সাবেক সভাপতি(বাংলা একাডেমী)
- সৈয়দ শামসুল হক, সব্যসাচী লেখক
- শিবলী সাদিক, চলচিত্র পরিচালক
- মতিউর রহমান (বীর শ্রেষ্ঠ), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যাংলার
- মুনীর চৌধুরী, ভাষাবিদ, ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- আলমগীর কবির,
- রামপ্রসাদ চন্দ,
- নাজির আহাম্মেদ,
- কাজী আব্দুল ওয়াদুদ,
- খাজা আব্দুল গনি, ঢাকার জমিদার।
- ব্রজসুন্দর মিত্র
- খান আতাউর রহমান চলচিত্র পরিচালক
- সতীশ চন্দ্র রায়
- বুদ্ধদেব বসু, সাহিত্যিক
- আব্দুল হালিম
- মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশের বিচারপতি)
- শাহ মোয়াজ্জেম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
- সাঈদ আহমদ, বাংলাদেশী নাট্যব্যক্তিত্ব।
- বুলবুল আহমেদ, অভিনেতা।
- মুস্তফা মনোয়ার,চিত্রশিল্পী
- রমেশ চন্দ্র মজুমদার, সাবেক উপাচার্য (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
ছাত্র সংগঠন সমুহ[সম্পাদনা]
- এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন
- বিতর্ক ক্লাব
- স্কাউটস
- সাহিত্য সংসদ
- বিজ্ঞান ক্লাব
- দাবা ক্লাব
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বি এন সি সি)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "List of Secondary Schools" (XLS)। Ministry of Education। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
বিদ্যার বাতিঘর ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯ মে ২০১৮।