ডগ প্যাজেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডগ প্যাজেট
সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডগ প্যাজেট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডগলাস আর্নেস্ট ভার্নন প্যাজেট
জন্ম (1934-07-20) ২০ জুলাই ১৯৩৪ (বয়স ৮৯)
ব্রাডফোর্ড, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০১)
২১ জুলাই ১৯৬০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১৮ আগস্ট ১৯৬০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫০৬ ৫৭
রানের সংখ্যা ৫১ ২১,১২৪ ১০৬৯
ব্যাটিং গড় ১২.৭৫ ২৮.৫৮ ২০.৯৬
১০০/৫০ –/– ৩২/৯৮ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৩১ ১৬১* ৬৮
বল করেছে ১২ ৫৮৬ ২৪
উইকেট
বোলিং গড় ৩৬.০০ ২৫.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২ ১/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ২৬১/– ১৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ নভেম্বর ২০২০

ডগলাস আর্নেস্ট ভার্নন প্যাজেট (ইংরেজি: Doug Padgett; জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯৩৪) ব্রাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডগ প্যাজেট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫১ সালে আইডল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। একই বৎসরে মাত্র ১৬ বছর ৩২০ দিন বয়সে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। এরফলে সর্বকনিষ্ঠ প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন। পরবর্তীতে, ১৯৮১ সালে পল জার্ভিস এ রেকর্ডটি নিজের করে নেন।[১]

ন্যাশনাল সার্ভিসের দায়িত্ব পালন শেষে নতুন প্রজন্মের ইয়র্কশায়ারীয় ব্যাটসম্যানদের অন্যতম হিসেব প্রথম একাদশে নিজের স্থান নিশ্চিত করেন। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ডগ প্যাজেটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ইয়র্কশায়ারের দীর্ঘদিনের চালিকাশক্তি ছিলেন ডগ প্যাজেট। অত্যন্ত নিখুঁতমানের ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।

১৯৫৬ সাল সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। ১৯৫৯ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ বছর দুই হাজারের অধিক রান সংগ্রহের কৃতিত্ব দেখান। সচরাচর তিনি তিন নম্বরে ব্যাটিং নামতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ইনিংস উদ্বোধনেও নামতেন তিনি।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডগ প্যাজেট। সবগুলো টেস্টই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২১ জুলাই, ১৯৬০ তারিখে ম্যানচেস্টারে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ আগস্ট, ১৯৬০ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দূর্বলতর দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড গমন করে। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ড টেস্ট দল নির্বাচকমণ্ডলী পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ব্যাটসম্যানদেরকে খেলার সুযোগ দেয়। তন্মধ্যে, ডগ প্যাজেটকে সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম খেলায় দলে রাখা হয়। তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। তন্মধ্যে, ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ধীরগতিতে ব্যাটিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত কয়েকজনের অন্যতম ছিলেন তিনি ও বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হন।[৩]

অবসর[সম্পাদনা]

পরবর্তী শীতকালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) দীর্ঘদিনের সফরের অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। তবে, তাকে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলানো হয়নি। এ সফরের কোন ইনিংসেই বড় ধরনের ইনিংস উপহার দিতে পারেননি তিনি। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে বত্রিশবার শতরানের ইনিংস খেলা সত্ত্বেও ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলী আর তাকে আন্তর্জাতিক খেলার জন্যে মনোনীত করেনি।[১]

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপেক্ষিত হলেও ইয়র্কশায়ার দলের মূল্যবান খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে ছয়টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। মৌসুমে বারোবার সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।[৪][৫] ১৯৭১ সালে নতুন অধিনায়ক জিওফ্রে বয়কটের হতাশগ্রস্ত আচরণ ও পরিচর্যার অভাবে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।[৬] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ইয়র্কশায়ারের দ্বিতীয় একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর, সহকারী কোচ ও পরবর্তীতে প্রধান কোচ ছিলেন।[৭]

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব

ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, চটপটে দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী ডগ প্যাজেট যে-কোন অবস্থানেই ব্যাটিং করে সুখী হতেন। তিনি তার সময়কালে ব্যাটিং অনুপযোগী পিচে বেশ সুচারুরূপে সেরা ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে দক্ষতা দেখিয়েছেন।[১]

ডগ প্যাজেটের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা গ্রানভিল পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 100, 128আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Doug Padgett"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. Wisden Cricketers' Almanack 1961। পৃষ্ঠা 303। 
  4. "Cricket: Yorkshire hero reveals how he rejected chance to move"York Press। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  5. "Many happy returns Bryan Stott & Doug Padgett"Yorkshire County Cricket Club। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  6. Leo McKinstry, Boycs: The True Story, Partridge Press (4 May 2000); আইএসবিএন ১৮৫২২৫২৭৯০/আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৫২২৫২৭৯৩
  7. Martin-Jenkins, Christopher (১৯৮০)। "England"। The Complete Who's Who of Test Cricketers (1st সংস্করণ)। London, UK: Orbis Publishing। পৃষ্ঠা 98আইএসবিএন 0-85613-283-7 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]