ডগলাস কার
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডগলাস ওয়ার্ড কার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রানব্রুক, কেন্ট | ১৭ মার্চ ১৮৭২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৩ মার্চ ১৯৫০ স্যালকম্ব হিল, সিডমাউথ, ডেভন | (বয়স ৭৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৬২) | ৯ আগস্ট ১৯০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯০৯–১৯১৪ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনকক্রিকইনফো.কম, ৬ মে ২০১৯ |
ডগলাস ওয়ার্ড কার (ইংরেজি: Douglas Carr; জন্ম: ১৭ মার্চ, ১৮৭২ - মৃত্যু: ২৩ মার্চ, ১৯৫০) কেন্টের ক্রানব্রুক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত শৌখিন ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ডগলাস কার।
১৯০৯ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ঐ একই বছরে ৩৭ বছর বয়সে কেন্টের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। একেবারেই নতুন ধরনের গুগলি বল ব্যবহারকারীদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ১৯০৯ সালে খ্যাতির তুঙ্গে আরোহণ করেন। স্বল্পকালীন খেলোয়াড়ী জীবন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত চলমান ছিল তার। ১৯১০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
শৈশবকাল
[সম্পাদনা]অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ব্রাসনোজ কলেজে পড়াশোনা করেছেন ডগলাস কার। এ সময়ে ফুটবল ও ক্রিকেট - উভয় ধরনের ক্রীড়ায় দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। ফুটবল খেলাকালে হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।
অক্সফোর্ড থেকে চলে আসার পর কয়েক বছর মেইডস্টোন এলাকায় ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। ঐ সময়ে অর্থাৎ ১৯০৮ সালে নব আবিষ্কৃত গুগলি বোলিং শিখতে শুরু করেন তিনি। পরবর্তী মে মাসে কেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যাচাইবাছাইয়ের খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]মে মাসে কেন্টের সদস্যরূপে প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় ডগলাস কারের। খেলায় তিনি সাত উইকেট পান। তন্মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৫/৬৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। পরবর্তী খেলার সুযোগ আসে জুলাই মাসে। জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে দুই খেলায় অংশগ্রহণ করেন। আবারও তিনি সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। চার ইনিংস মিলিয়ে পনেরো উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ডগলাস কার খুব দ্রুত নিজেকে কেন্টের স্থায়ী সদস্যে পরিণত করতে সক্ষম হন। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম ছয় খেলায় ৪২ উইকেট পান। এরফলে ইংল্যান্ড দলে খেলার দাবীদার হন তিনি। প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে খেলায় আট উইকেট লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, ওভালের চূড়ান্ত টেস্টে খেলার জন্য আমন্ত্রণবার্তা পান।
১৯০৯ সালটি ডগলাস কারের পুরো প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বাপেক্ষা সেরা সময় ছিল। ৯৫ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তন্মধ্যে সমারসেটের বিপক্ষে ২৮.১ ওভার বোলিং করে ৮/৩৬ পান। এটিই তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল। তিন বছর বাদে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে একই পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। ১৯১০ সালে ৬০ উইকেট নিয়ে কেন্টের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ফলশ্রুতিতে, উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। ১৯১২ সালে মাত্র ১২.০১ গড়ে ৬১ উইকেট পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ড দল ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল। দল নির্বাচকমণ্ডলী তার অন্তর্ভূক্তিকরণের প্রশ্নে ঐকমত পোষণ করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ড্র হওয়া টেস্টে তিনি দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের চূড়ান্ত ও পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেন। এরফলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের প্রথম বছরেই টেস্ট খেলার অধিকারী হন ডগলাস কার।
ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নিয়ে ২৮২ রান খরচায় সাত উইকেট পান। তন্মধ্যে প্রথম ইনিংসে বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৫/১৪৬।[১] তবে তার এ প্রচেষ্টা স্বার্থকরূপ ধারণ করেনি। খেলাটি ড্র হলে অস্ট্রেলীয়রা অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রেখে দেয়। ডগলাস কারকে দিয়ে অতিরিক্ত বোলিং করানোর কারণে সংবাদপত্রসহ উইজডেনে ইংরেজ অধিনায়ক আর্চি ম্যাকলারেনের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।[২]
অবসর
[সম্পাদনা]ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মোটেই সুবিধে লাভ করতে পারেননি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কোন অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি ডগলাস কার। শেষের বছরগুলোয় তার ব্যাটিংয়ের অবস্থা তথৈবচ ছিল। ১৯১৩ সালে ১৭ ইনিংস খেলে মাত্র ৯৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ১৯১৪ সালে একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। জুলাইয়ের শেষদিকে সারের বিপক্ষে ২৮ ওভার বোলিং করলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। এর কয়েক সপ্তাহ পরই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তার ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
৭৮ বছর বয়সে ডেভনের সিডমাউথের কাছাকাছি স্যালকম্ব হিল এলাকায় ডগলাস কারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "5th Test: England v Australia at The Oval, Aug 9-11, 1909"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- ↑ Down, Michael. Archie : a biography of A. C. MacLaren.
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- আর্থার ডে
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ইংরেজ ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডগলাস কার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডগলাস কার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)