টেরেন্স হাওয়ার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টেরেন্স হাওয়ার্ড
Terrence Howard
২০১৫ সালে মন্টে কার্লো টেলিভিশন উৎসবে হাওয়ার্ড
জন্ম
টেরেন্স ড্যাশন হাওয়ার্ড

(1969-03-11) ১১ মার্চ ১৯৬৯ (বয়স ৫৫)
পেশাঅভিনেতা, গায়ক-গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক
কর্মজীবন১৯৯২-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীলরি ম্যাকমাস
(বি. ১৯৯৪; বিচ্ছেদ. ২০০৩)

বি. ২০০৫-তালাক. ২০০৭
মিশেল ঘেন্ট
(বি. ২০১০; বিচ্ছেদ. ২০১৩)

মিরা প্যাক
(বি. ২০১৩; বিচ্ছেদ. ২০১৫)
সন্তান

টেরেন্স ড্যাশন হাওয়ার্ড (ইংরেজি: Terrence Dashon Howard; জন্ম: ১১ মার্চ ১৯৬৯)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও গায়ক। তার অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের উল্লেখযোগ্য কাজ হল ডেড প্রেসিডেন্টস্‌মিস্টার হল্যান্ড্‌স ওপাস। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মূলধারার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সফলতা অর্জন করেন। ২০০৫ সালের হাসল অ্যান্ড ফ্লো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল লাকাওয়ানা ব্লুজ (২০০১), রেক্র্যাশ (২০০৪), ফোর ব্রাদার্সগেট রিচ অর ডাই ট্রায়িন (২০০৫), আইডলওয়াইল্ড (২০০৬), অগাস্ট রাশদ্য ব্রেভ ওয়ান (২০০৭), উইনি ম্যান্ডেলা (২০১১), এবং প্রিজনার্স (২০১৩)। হাওয়ার্ড আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রে ও এর ভিডিও গেম সংস্করণে জেমস রোডস চরিত্রে কাজ করেন, পরবর্তী কালে ডন চিডল তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি টিভি ধারাবাহিক এম্পায়ার-এ লুসিয়াস লিওন চরিত্রে কাজ করছেন। তার প্রথম অ্যালবাম শাইন থ্রো ইট ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হাওয়ার্ড এবিসির মিনি ধারাবাহিক দ্য জ্যাকসন: অ্যান আমেরিকান ড্রিম-এ জ্যাকি জ্যাকসন চরিত্রে কাজের মধ্য দিয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন। তিন বছর পর তিনি মিস্টার হল্যান্ড্‌স ওপাস (১৯৯৫) দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হন এবং একই বছর ডেড প্রেসিডেন্টস্‌ ছবিতে অভিনয় করে সফলতা লাভ করেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগে তিনি বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্রে কাজ করতে থাকেন। এই সময়ে তিনি জেমস এল অ্যাভারি ও মিগেল এ. নুনেজ জুনিয়রের সাথে স্পার্কস (১৯৯৬-১৯৯৮) টিভি ধারাবাহিকে গ্রেগ স্পার্কস চরিত্রে এবং দ্য বেস্ট ম্যান (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

তিনি ২০০১ সালে লাকাওয়ানা ব্লুজ এবং ২০০২ সালে অশান্তির "ফুলিশ" সঙ্গীত ভিডিওতে ও ম্যারি জে. ব্লিজের "বি উইদাউট ইউ" সঙ্গীত ভিডিওতে কাজ করেন। ২০০৪ সালে তিনি জীবনীমূলক রে ও নাট্যধর্মী ক্র্যাশ (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[২] পরের বছর তাকে ফোর ব্রাদার্সগেট রিচ অর ডাই ট্রায়িন (২০০৫) ছবিতে দেখা যায়। একই বছর হাসল অ্যান্ড ফ্লো চলচ্চিত্রে তিনি একজন উদীয়মান র‍্যাপার চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ছবিটির সকল গানে নিজেই কণ্ঠ দেন, তন্মধ্যে রয়েছে "ইট্‌স হার্ড আউট হিয়ার ফর আ পিম্প", যা শ্রেষ্ঠ মৌলিক গানের জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। হাওয়ার্ড নিজেও এই ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Terrence Howard"বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। এঅ্যান্ডই টেলিভিশন নেটওয়ার্কস। ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  2. হান্ট, স্টেসি উইলসন। "HOW CRASH CRASHED THE OSCARS"ভালচার। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  3. বশির, মার্টিন (২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "The 'Hustle and Flow' of Terrence Howard"এবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]