জিন হ্যারিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিন হ্যারিস
১৯৬২-৬৩ মৌসুমের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জিন হ্যারিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপার্ক জেরাল্ড জিনজ্যান হ্যারিস
জন্ম(১৯২৭-০৭-১৮)১৮ জুলাই ১৯২৭
ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু১ ডিসেম্বর ১৯৯১(1991-12-01) (বয়স ৬৪)
ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কবেন হ্যারিস (পুত্র)
ক্রিস হ্যারিস (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭২)
১৩ অক্টোবর ১৯৫৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৯ জানুয়ারি ১৯৬৫ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫০ - ১৯৬৪ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৯
রানের সংখ্যা ৩৭৮ ৩,১২৬
ব্যাটিং গড় ২২.২৩ ২৮.১৬
১০০/৫০ ১/১ ৫/১৩
সর্বোচ্চ রান ১০১ ১১৮
বল করেছে ৪২ ১,৮১৮
উইকেট ২১
বোলিং গড় ৩০.৮০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/– ৩৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ জুলাই ২০১৯

পার্ক জেরাল্ড জিনজ্যান জিন হ্যারিস (ইংরেজি: Zin Harris; জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১ ডিসেম্বর, ১৯৯১) ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিন হ্যারিস

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত জিন হ্যারিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে রক্ষণাত্মক ঢংয়ে খেলে থাকেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে আগ্রাসী ভূমিকায় অগ্রসর হতেন জিন হ্যারিস।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অনেকগুলো বছর মিলিয়ে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিন হ্যারিস। ১৩ অক্টোবর, ১৯৫৫ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্যাক আলাব্যাস্টারট্রেভর ম্যাকমানের সাথে একযোগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৪] অভিষেক টেস্টে ৭ ও ২১ রান তুলেন। ২৯ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে অকল্যান্ডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সর্বমোট আঠারো ইনিংসে অংশ নিয়ে মাত্র দুইবার অর্ধ-শতরানের সন্ধান পেয়েছেন। উভয়টিই ১৯৬১-৬২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে লাভ করেছিলেন। ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭৪ ও কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ১০১ রানের সেঞ্চুরি পান।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

অপ্রচলিত ‘জিনজ্যান’ নামটি ভারতীয় শব্দ থেকে আহুত বলে ধারণা করা হয়। হ্যারিসের পরিবারের আত্মীয়-পরিজনের অনেক সদস্য ব্যবহার করেছেন। ক্রিস ও বেন উভয়ে মধ্যনাম হিসেবে জিনজ্যান ব্যবহার করছেন।

১ ডিসেম্বর, ১৯৯১ তারিখে ৬৪ বছর বয়সে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় জিন হ্যারিসের দেহাবসান ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। জিন হ্যারিসের দুই পুত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ক্রিস হ্যারিস নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অন্যদিকে, বেন হ্যারিস ক্যান্টারবারি ও ওতাগোর পক্ষে খেলেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of New Zealand Test Cricketers
  2. "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৯ 
  3. "New Zealand Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৯ 
  4. "New Zealand in Pakistan (1955 – 1956): Scorecard of first Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৪, ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]