বিষয়বস্তুতে চলুন

জাগো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাগো
চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক পোস্টার
পরিচালকখিজির হায়াৎ খান
প্রযোজকআদনান করিম
সারজিল করিম
রচয়িতাখিজির হায়াৎ খান
শ্রেষ্ঠাংশেফেরদৌস
তারিক আনাম খান
বিন্দু
আরিফিন শুভ
রওনক হাসান
ফারুক সোবহান নাঈম
সুরকারশায়ান চৌধুরী অর্ণব
চিত্রগ্রাহকসাচী চৌধুরী
সম্পাদকসমীর আহমেদ
পরিবেশকইন্টারস্পীড
মুক্তি২০১০
স্থিতিকাল১৫১ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়২ কোটি

জাগো এটি একটি বাংলাদেশী ক্রীড়া ভিত্তিক রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র। এটির লেখক ও পরিচালক খিজির হায়াৎ খান। আদনান করিম প্রযোজিত তরুনদের ফুটবল খেলা নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পায়। এর কয়েকটি গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, তারিক আনাম খান, বিন্দু, আরিফিন শুভ, রওনক হাসান, ফারুক সোবহান নাঈম ও আরোও অনেকে।[১][২][৩][৪] 'জাগো' বাংলাদেশে ক্রীড়া নির্ভর কাহিনী ও ফুটবল নিয়ে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।[১][৫]

কাহিনী সংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

প্রতিবারের মত এবারো কুমিল্লা একাদশ এবার খেলবে ভারতের চ্যাম্পিয়ন দল ত্রিপুরা একাদশের সঙ্গে। অতীতে ত্রিপুরা কখনই কুমিল্লা একাদশের কাছে হারেনি। কুমিল্লা একাদশে শামীমের মতো মেধাবী খেলোয়াড় থাকায় তারা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি দুর্ঘটনার কারণে হোম আর আওয়ে দুটো ম্যাচই বাতিল হয়ে যায়। একটি স্থানীয় পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ত্রিপুরা একাদশ কুমিল্লা একাদশকে তাচ্ছিল্য করে। কুমিল্লা একাদশের খেলোয়াড়দের অস্তিত্ব রক্ষায় গ্রহণ করে এক নতুন চ্যালেঞ্জ- ত্রিপুরাকে হারাও। কোচবিহীন কুমিল্লা একাদশের পাশে দাঁড়ান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সাফু। শুরু হয় প্রস্তুতি।[২]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]

পরিচালক খিজির হায়াৎ খান জাগো নির্মাণে প্রথম দিকে কোন প্রযোজক পাননি। পরবর্তীতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পিড-এর কর্ণধার সারজিল করিম ও আদনানা করিম এই চলচ্চিত্রে টাকা লগ্নী করেন। 'জাগো' নির্মাণে ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০০৯ সালে প্রধান চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। ৬৭দিন চিত্রগ্রহণ চলে। চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্য ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। ফুটবল খেলার দৃশ্য স্টেডিক্যামে ধারণ করা হয়েছিল।[৬] অধিকাংশ চিত্র গ্রহণ হয় ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়।[১][২]

শ্রেষ্ঠাংশে

[সম্পাদনা]

অভিনয়ের জন্য আরিফিন শুভ, রওনক, নাঈমসহ সবাইকে নিয়ে প্রায় দেড় মাস ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।[৬]

সঙ্গীত

[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব[২]

মুক্তি

[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। সেই সময় ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশে স্টার সিনেপ্লেক্স ছাড়া কোন প্রেক্ষাগৃহ ছিলনা। চলচ্চিত্রটি সিনেপ্লেক্সে টানা তিন মাস দেখানো হয়। [১] এছাড়াও অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়ার জন্য চলচ্চিত্রটির একটি ৩৫ মিমি-তে রূপান্তরিত ফরম্যাট করা হয়েছিল।[২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ছবি খিজির হায়াতের 'জাগো'"চ্যানেল আই। ২০১৮-০৭-০৯। ২০২১-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪ 
  2. "জাগো (Jaago)"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ২০১৬-০৩-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪ 
  3. "'জঙ্গি' নিয়ে বড় পর্দায় আসছেন খিজির হায়াত খান"somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪ 
  4. "বিশ্বকাপের উত্তাপে দেখুন 'জাগো' : - Poriborton"www.poriborton.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "ফেরদৌসের বাছাই ১০ ছবি"www.bhorerkagoj.com। ২০১৭-০৭-০৩। ২০১৯-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৫ 
  6. "চলচ্চিত্রে খেলা"কালের কণ্ঠ। ২০১৮-০৭-০৫। ২০১৮-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]