জনসংখ্যা ভূগোল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৯৪ সালের বিশ্বের জনসংখ্যা ঘনত্বের মানচিত্র।
২০০৫ সালের বিশ্বের জনসংখ্যা ঘনত্বের মানচিত্র।

জনসংখ্যা ভূগোল মানব ভূগোলের একটি বিভাগ। স্থানের প্রকৃতির সাথে যে উপায়ে জনসংখ্যা বিস্তরণ, সংমিশ্রণ, স্থানান্তর এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির স্থানিক পার্থক্যগুলি সম্পর্কিত তা নিয়ে এটি অধ্যয়ন করে। জনসংখ্যা ভূগোল ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণে জনমিতির সাথে জড়িত।[ক] এটি জনসংখ্যার বিতরণের বৈশিষ্ট্যগুলি যেসকল স্থানিক উপাদানের প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত হয় সেগুলোতে দৃষ্টিনিবন্ধ করে। এটি প্রায়শই কোথায় জনসংখ্যা দেখা যায় এবং কীভাবে এই জনসংখ্যার আকার এবং সংমিশ্রণটি উর্বরতা, মৃত্যুহার এবং স্থানান্তর সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেসব নিয়ামকের সাথে জড়িত।[১] পরিবেশ, স্থান এবং স্থানের সাথে সম্পর্কিত ভৌগোলিক জ্ঞানবিজ্ঞান বিভিন্ন সময়ে বিকশিত হযওয়ায় জনসংখ্যা ভূগোলের অবদানগুলি আন্তঃশৃঙ্খলাবদ্ধ।[২] এর সাথে ঘনিষ্টভবে আন্তঃসম্পর্কিত শাখাগুলির মধ্যে ভূগোল, জনমিতি, সমাজবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি রয়েছে।

ঘটনা বিশ্লেষণ[সম্পাদনা]

শহরতলী[সম্পাদনা]

উত্তর আমেরিকার উন্নত অংশে শহরতলিতে অনেকগুলি পরিবার কেন্দ্রীয় শহর ছেড়ে চলে যায় এবং শহরের প্রান্তে স্থানান্তর করে। এই ধরনের মহানগর বিকেন্দ্রীকরণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গ্রামীণ এলাকা এবং "সবুজ-ক্ষেত্র" জমির উপর চাপ সৃষ্টি করে, শহরের অভ্যন্তরীণ স্কুলগুলির তহবিল অনুদান লাভ, সমাজে গোষ্ঠীগুলির ক্রমাগত পৃথকীকরণ এবং শহরতলির কিছু গৃহবধূর চাকুরি পেতে সমস্যার মুখোমুখি হয়।[৩]

ইজরাইল ও ফিলিস্তিন[সম্পাদনা]

১৯৪৮ সালে যখন রাজনৈতিক ভাঙনের মাধ্যমে ইস্ররায়েলের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন নতুন জনগোষ্ঠী এবং বিভক্ত অন্যদের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজটি করা হয়েছিল। বিশেষত, ফিলিস্তিন এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুতকরণ এবং পাইকারি ধ্বংসের ফলে ৫০০ টিরও বেশি আরব গ্রামের একটি শরণার্থী জনসংখ্যা তৈরি হয়েছিল যা আজকের দিনে বিশ্বের বৃহত্তম (৪ মিলিয়নেরও বেশি) এবং দীর্ঘকালীন স্থায়ী, যার মধ্যে দুটি প্রজন্মও রয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার, সুরক্ষা, আঞ্চলিকভাবে পিতৃভূমিতে বাসস্থান এবং জমি যা যুক্তিসঙ্গত জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তাতে প্রবেশের সুযোগের অভাব রয়েছে। শরণার্থী জনসংখ্যা হলো বিশ্বের দরিদ্রতম, সর্বাধিক নিরাপত্তাহীন, সবচেয়ে নাজুক এবং সবচেয়ে নির্ভরশীল সম্প্রদায়। যদিও দারিদ্র্য এবং স্থানীয় নিরাপত্তাহীনতা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তবুও ইস্রায়েল রাষ্ট্র এই শরণার্থী সম্প্রদায়ের সহ-উপস্থিতির দ্বারা এবং রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে রক্ষণাবেক্ষণে জড়িত বা সক্রিয় আছে যার উভয়ই হুমকী হিসাবে ধরে নেয়া যায়।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. While population geography focuses on the impacts of population on spatial structures and processes, geodemography analyzes the effects of space on demographic structures and processes. However, the boundary between population geography and demography is becoming more and more blurred.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rogers, Alisdair; Castree, Noel; Kitchin, Rob (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Population geography"A Dictionary of Human Geography (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 9780199599868 
  2. Gresh, Ashley; Maharaj, Pranitha (২০১৩)। "Policy and Programme Responses"। Maharaj, Pranitha। Aging and Health in Africa। International Perspectives on Aging (ইংরেজি ভাষায়)। 4। Springer US। পৃষ্ঠা 211–236। আইএসবিএন 9781441983572ডিওআই:10.1007/978-1-4419-8357-2_11 
  3. Bailey, A. (2014). Making population geography.
  • Clarke, John I. Population Geography. London: Pergamon Press, 1965.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]