কৃষি ভূগোল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কৃষি ভূগোল হলো মানবিক ভূগোলের এমন একটি উপশাখা যা কৃষি এবং মানুষের মধ্যকার স্থানিক সম্পর্কের সাথে সংশ্লিষ্ট।

কৃষির সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

কৃষিকাজ মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (Primary economic activity)। অধ্যাপক জিমারম্যানের (১৯৫১), মতে কৃষিকাজ মানুষের এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা ও একটি উৎপাদনমুখী কাজ। প্রাকৃতির আপন নিয়মে উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের যে জন্ম ও বৃদ্ধি, স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মানুষ যখন তার সুযোগ নিয়ে নিজের প্রয়োজন মোটাতে সক্ষম হয়, সেই আহরণধর্মী, ভূমিকেন্দ্রিক, উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডকে কৃষি বা চাষ বা আবাদ বলে। পশুপালন, উদ্ভিদের রক্ষণাবেক্ষণ, বনসৃজন, জলসেচ, মৎস্য প্রতিপালন, পশম উৎপাদন, এমনকি জলে সার মিশ্রিত করে মৃত্তিকাবিহীন চাষ বা হাইড্রোপনিক্সও (hydroponics) কৃষির অন্তর্গত। ওয়াটসন (১৯৫০) মনে করেন যে, শুধু মৃত্তিকার উপযুক্ত ব্যবহারের মধ্যেই কৃষিকাজ সীমাবদ্ধ নয়। কৃষির বৃহত্তর সীমার মধ্যে শস্য উৎপাদন এবং পশুচারণও অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও (FAO)-এর  মতে, মৎস্য ও বনজসম্পদ আহরণও কৃষিকাজের আন্তর্গত।

কৃষির গুরুত্ব Significance of Agriculture[সম্পাদনা]

পৃথিবীর বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে কৃষি অন্যতম। সময়ের বিবর্তনে প্রয়োজনের তাগিদে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দেশে এর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হচ্ছে। ফলে একই সাথে তাল মিলিয়ে এর আপেক্ষিক গুরুত্বেরও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। অতীতে কৃষির গুরুত্ব ছিল সর্বজনীন। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে একথাটি সম্পূর্ণরূপে সত্য না হলেও, পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে কৃষি অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে থাকে। যেমন- বাংলাদেশ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বর্তমান বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো, যেমন  যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা প্রভৃতি নিঃসন্দেহে এক সময় কৃষিনির্ভর দেশ হিসেবে বহুল পরিচিত ছিল। কৃষি কর্মকাণ্ডের উন্নতির ফলশ্রুতিতে তারা আজ শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষির ঐতিহাসিক ধারা পর্যালোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে বহুদেশেই কৃষির গুরুত্ব খানিকটা গৌণ হয়ে পড়েছে এবং অনেক দেশে তা গৌণ হতে যাচ্ছে। তবে সে যাইহোক না কেন, বাংলাদেশের মতো দেশে কৃষির গুরুত্ব ছিল, আছে এবং থাকবে একথা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কারণ এদেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক গ্রামের বাসিন্দা যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যাইহোক, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অপরাপর অনুন্নত দেশসমূহের প্রেক্ষাপটে কৃষির গুরুত্ব নিম্নরূপ :

১. কৃষি একটি দেশের খাদ্যের যোগান দিয়ে খাদ্যসমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. এটি দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৩. কৃষিজ পণ্য বৈদেশিক বাণিজ্য সমুন্নত রেখে বৈদেশিক মুদ্রার্জনে সহায়তা করে।

৪. কৃষি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

৫. এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির বাসস্থানের উপকরণ যোগান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৬. কৃষিজাত পণ্য শিল্পের কাঁচামালের যোগান দিয়ে শিল্পকে সচল রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৭. এটি কৃষকশ্রেণির লোকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।

৮. এটি শিল্পখাতে শিল্পজাত পণ্যসামগ্রীর বৃহৎ বাজার সৃষ্টিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।

৯. কৃষির উপজাত জ্বালানি সরবরাহ করে মানুষকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।

১০. সর্বোপরি, এটি সম্পদ ও মূলধন গঠনের একটি অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।

১১. কৃষি থেকে উৎপাদিত মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের উপকরণ সরবরাহ করে বস্ত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১২. এটি রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।

কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ[সম্পাদনা]

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং আনুসঙ্গিক প্রভৃতি বিষয় একান্ত প্রয়োজন। মৃত্তিকা থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা এসব পেয়ে থাকি। ভূমিকর্ষণ, পানিসেচ, সার ও বীজ প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে মৃত্তিকা থেকে শস্য উৎপাদনই হচ্ছে কৃষিকার্য। জলবায়ু ও মৃত্তিকার তারতম্যের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের কৃষিকাজ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে যেমন কৃষিকাজ মানুষের একমাত্র উপজীবিকা ছিল, বর্তমানে সব দেশের জন্য সত্য না হলেও, অনেক দেশের জন্য কৃষিকাজই মানুষের একমাত্র উপজীবিকা। নিম্নে কৃষিকাজের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচনা করা হলো :

১. ভূমি : কৃষিকাজের জন্য প্রথম শর্ত হলো একখণ্ড ভূমি। কারণ জমি ছাড়া কৃষিকাজ করা কখনো সম্ভবপর নয়।

২. মূলধন : মূলধন ছাড়া কৃষিকাজ কখনোই সম্ভব নয়। জমি চাষের জন্য কলের লাঙ্গল বা হালের বলদ, উন্নতমানের বীজ, সার ও কীটনাশক প্রভৃতি ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি, পরিবহন খরচ প্রভৃতি বাবদ প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই মূলধনের অভাব হলে কৃষিকাজের উন্নতি হয় না।

৩. হালচাষ ও বীজ : অধিক ফসল উৎপাদন করতে হলে অবশ্যই জমিকে ভালোভাবে চাষ দিতে হবে। উত্তমরূপে চাষাবাদ না করে বীজ বপন বা চারাগাছ রোপণ করলে ভালো ফসল পাওয়া যায় না।

৪. শ্রমিক : জমি থাকলেও উপযুক্ত শ্রমিক না হলে কৃষিকাজ করা যায় না। তাই এক্ষেত্রে শ্রমিকের ভূমিকা অনেক।

৫. কর্মদক্ষতা : কৃষিকাজে অবশ্যই কর্মদক্ষতা থাকতে হবে। কারণ কর্মদক্ষতা ছাড়া ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভবপর হয় না।

৬. পেশা : প্রাচীনকাল থেকে কৃষিকাজ মানুষের প্রধান পেশা। বর্তমানেও এটি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের প্রধান উপজীবিকা। সুতরাং প্রাচীন পেশা হিসেবে এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

৭. পানিসেচ : কৃষিকাজের জন্য পানির প্রয়োজন অপরিহার্য। যেসব স্থানে বৃষ্টিপাত কম, সেসব স্থানে উৎপাদন খুবই কম। আবার প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষির উন্নতি হয় না। তাই কৃষিকাজে পানি একটি অপরিহার্য শর্ত।

৮. সার ও কীটনাশক : কৃষিকাজে ফলন ভালো পেতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও বালাইনাশক দিতে হবে। এসব রাসায়নিক ও পতঙ্গনাশক দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব।

৯. প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা : কৃষিকাজে প্রকৃতির ভূমিকা মুখ্য এবং মানুষের ভূমিকা গৌণ। কারণ কৃষির সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত। মৃত্তিকা, জলবায়ু, প্রাণী ও উদ্ভিদের জৈবিক প্রক্রিয়া এ তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর কৃষিকাজ মূলত নির্ভরশীল। তাই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা কৃষির একটি উলে­খযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

১০. ব্যাপকতা : বিশ্বব্যাপী কৃষির ব্যাপকতা এর একটি উলে­খযোগ্য বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই কৃষির ব্যাপকতা বিরাজমান।

১১. মৌসুমি উৎপাদন : বিভিন্ন মৌসুম বা ঋতুতে বিভিন্ন রকম ফসল উৎপন্ন হয়। তাই কৃষিকাজ অন্যান্য শিল্প থেকে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।

১২. পরিবর্তনশীল উৎপাদন : কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন সর্বদা সমান থাকে না। অনুক‚ল উপাদানের ফলে প্রথমদিকে প্রচুর শস্য উৎপাদন হয় বটে, কিন্তু শস্যাবর্তনের অভাবে ভূমির উর্বরতা কমে গেলে ক্রমশ উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস পায়। এমনকি অনুক‚ল পরিবেশ পেলে পুনরায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে।

১৩. উৎপাদনের বৈচিত্র্য : এটি কৃষির একটি উলে­খযোগ্য বৈশিষ্ট্য। কারণ একই ভূমিতে একই ঋতুতে বা বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন শস্য উৎপাদিত হয়।

১৪. পুরাতন পদ্ধতির চাষাবাদ : এটিও কৃষিকাজের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত লোকের অধিকাংশ অশিক্ষিত ও দরিদ্র বলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চাষাবাদ বিশেষ প্রসার লাভ করেনি। তবে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য তা প্রযোজ্য হলেও উন্নত দেশসমূহের ক্ষেত্রে সেটি ভিন্ন কথা।

১৫. অনিশ্চিত উৎপাদন : কৃষির উৎপাদন প্রকৃতির খেয়ালখুশির ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির প্রভাবে কোনো কোনো বছর ফসল খুব ভালো হয়। আবার কোনো কোনো বছর খারাপ হয় এবং কোনো কোনো বছর একবারেই হয় না। তাই এটিও কৃষির একটি উলে­খযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

১৬. পণ্যদ্রব্যের প্রকৃতি : সাধারণত কৃষিজাত দ্রব্যাদি ওজনে ভারী ও পচনশীল হয়। তাই এদের দ্রুত বাজারজাতকরণ করতে হয়।

১৭. বিনিয়োগ ফেরত ধীরগতি : অন্যান্য শিল্পের তুলনায় কৃষিকাজে নিয়োজিত অর্থ পেতে অধিক সময় লাগে। কারণ কৃষিক্ষেত্রে প্রাপ্ত আয়ের পরিমাণ আনুপাতিক হারে অনেক কম হয়ে থাকে।

১৮. স্বল্প উৎপাদন : এটিও কৃষির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কারণ অন্যান্য শিল্পের তুলনায় কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনের পরিমাণ খুবই কম।

প্রকৃতপক্ষে, উন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহের কৃষির বৈশিষ্ট্য এক ধরনের নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের ফলশ্রুতিতেই বিভিন্ন দেশে কৃষির এরূপ গুণগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

কৃষি ভূগোলের সংজ্ঞা (Definition of Agricultural Geography)[সম্পাদনা]

সাধারণভাবে সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি বিজ্ঞানের সমন্বয়ই হচ্ছে কৃষি ভূগোল। তবে কৃষি হচ্ছে কৃষি ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় আর ভূগোল হচ্ছে সেই পথ বা মাধ্যম, যা এ বিষয়বস্তুকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বা অনুসন্ধান কাজে সাহায্য করে। তাই সর্বজনীন দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, ভূগোল বিজ্ঞানের যে শাখায় বিশ্বের যাবতীয় কৃষিবিষয়ক কর্মকাণ্ড ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন উপাত্তের আলোচনা, পর্যালোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ স্থান পায়, তা-ই কৃষি ভূগোল।

বিংশ শতাব্দীতে কৃষি ভূগোলে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ একে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। বিগত শতাব্দীর বিভিন্ন সময়ে কৃষি ভূগোলবিদগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষি ভূগোলের সংজ্ঞা প্রদান করেন। তবে বিভিন্ন বিজ্ঞজনের সংজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে একটু বিভিন্নতা থাকলেও কতকগুলো বিষয়ে তাঁদের ঐকমত্য লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতপক্ষে, বিংশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই পৃথক বিষয় হিসেবে কৃষি ভূগোলের বিকাশ ঘটে। নিম্নে কয়েকজন কৃষি ভূগোলবিদ প্রদত্ত সংজ্ঞা প্রদান করা হলো :

ম্যাকার্টি (Mecarty, 1964) : ভ‚গোল বিজ্ঞানের যে শাখা শস্য ও প্রাণী নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা করে, তা-ই কৃষি ভ‚গোল।

উ্স্মেইলিয়াম স্মিথ (William Smith, 1969) : কৃষি ভ‚গোল এমন একটি বিষয়, যা কোনো স্থানের কৃষি জীবন বিশ্লেষণ করে।

ব্রজ ভূষণ সিংহ (Brozo Bhuson Singh, 1981) : কৃষি ভূগোল হচ্ছে একটি সুশৃঙ্খল বিজ্ঞান, যা শস্যের বিস্তরণ, উৎপাদন, অবস্থান ও শস্যের বিভিন্নতা নিয়ে আলোচনা করে।

রিডস (Reeds, 1964) : কৃষি ভূগোল হচ্ছে এমন একটি শাস্ত্র যা কৃষিজ বৈশিষ্ট্যের আঞ্চলিক পার্থক্য ও তাদের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।

জিমারম্যান (Zimmerman, 1984) : কৃষি ভূগোল মূলত মানুষ কর্তৃক ব্যবহৃত ভূমিতে পশুপালন, মৎস্যচাষ, শস্য উৎপাদন, তন্তু চাষ ও সেচকার্য নিয়ে আলোচনা করে।

বি.এস. নেগি (B. S. Negi, 1954) : ভূগোল বিজ্ঞানের যে শাখা মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করে, তা-ই কৃষি ভূগোল।

কৃষির ভৌগোলিক বিস্তরণ, এর কাঠামো, শ্রেণিবিন্যাস প্রভৃতিতে বিশ্বব্যাপী যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়, এসবের প্রায় সবকিছ্ইু কৃষি ভ‚গোলবিদগণ তাঁদের সংজ্ঞায় উলে­খ করেছেন। তবে একথাও সত্য যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে কোনো সংজ্ঞাই এর নির্দিষ্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। এজন্য হয়তো উপরিউক্ত সংজ্ঞাগুলোতেও পরিবর্তন আসা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • খান, মোহাম্মদ আবু তাহের (২০১৪)। কৃষি ভূগোল। ঢাকা: পারফেক্ট পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা 664। আইএসবিএন 984-7-020-30003-8 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য) 
  • রউফ, কাজী আব্দুর (২০১৩)। কৃষি ও গ্রামীণ ভূগোল। ঢাকা: সুজনেষু প্রকাশনী। পৃষ্ঠা 360। 
  • Grigg, D. (১৯৯৫)। An Introduction to Agricultural Geography। Oxfordshire: Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-08443-7 
  • Robinson, G.M. (২০০৩)। Geographies of Agriculture: Globalisation, Restructuring and Sustainability। Oxfordshire: Routledge। আইএসবিএন 978-0-582-35662-7