চার্লি গ্রিফিথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লি গ্রিফিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামচার্লস ক্রিস্টোফার গ্রিফিথ
জন্ম (1938-12-14) ১৪ ডিসেম্বর ১৯৩৮ (বয়স ৮৫)
সেন্ট লুসি, বার্বাডোস
ডাকনামচার্লি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২৫ মার্চ ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৩ মার্চ ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৮ ৯৬
রানের সংখ্যা ৫৩০ ১,৫০২
ব্যাটিং গড় ১৬.৫৬ ১৭.২৬
১০০/৫০ –/১ –/৪
সর্বোচ্চ রান ৫৪ ৯৮
বল করেছে ৫,৬৩১ ১৫,৫০৯
উইকেট ৯৪ ৩৩২
বোলিং গড় ২৮.৫৪ ২১.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৩৬ ৮/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৬/– ৩৯/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৮ আগস্ট ২০১৭

চার্লস ক্রিস্টোফার চার্লি গ্রিফিথ (ইংরেজি: Charlie Griffith; জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৮) বার্বাডোসের সেন্ট লুসি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ মেয়াদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘চার্লি’ ডাকনামে পরিচিত চার্লি গ্রিফিথ

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

শৈশবে বার্বাডোসের ক্লাব ক্রিকেটে ডানহাতি স্পিনার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। কোন একটি খেলায় ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ঐ খেলায় তিনি ১ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট দখল করেন। এরফলে তার বোলিং ফাস্টের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এরপর তিনি বার্বাডোস দলের পক্ষে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ক্যারিবীয় দ্বীপে সফর করে। দুই ওভারের ব্যবধানে কলিন কাউড্রে, মাইক স্মিথপিটার মে’কে ক্রিজ থেকে বিদায় করেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬০-এর দশকে ওয়েস হলের সাথে ফাস্ট বোলিংয়ে জুটি গড়ে জনপ্রিয়তা পান। গ্রিফিথের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নিজ দেশ বার্বাডোসের ওয়েস হল ছিলেন নিত্য অনুষঙ্গ। তাকে সাথে নিয়ে ১৯৬০-এর দশকে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নিয়মিত অগ্রযাত্রায় প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন তিনি।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে তার বলে ভারতীয় ব্যাটসম্যান নরি কন্ট্রাক্টরের মাথার খুলিতে বিরাট আঘাত লাগে। বার্বাডোসের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন সফরকারী ভারত দলের নরি কন্ট্রাক্টরের মাথার পিছনে তার বাউন্সার আঘাত হানে। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত কন্ট্রাক্টরের মষ্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অবস্থায় দুইবার জরুরীভিত্তিতে চিকিৎসা করা হয়।[১] পরবর্তীতে তিনি আরোগ্য লাভ করলেও কখনো টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসেননি। এরফলে কন্ট্রাক্টরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণ অকালে ঝরে যায়। ঐ খেলায় আম্পায়ার কোর্তেজ জর্দান কর্তৃক থ্রোয়িংয়ের অপরাধে নো-বল ডাকেন। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালে সফরকারী ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে খেলা চলাকালে তাকে আর্থার ফাগ কর্তৃক দ্বিতীয়বার নো-বল শুনতে হয় যা তার জীবনে সর্বশেষ ঘটনা ছিল।[২]

১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে বেশ সফলতা পান গ্রিফিথ। ঐ গ্রীষ্মে ১২.৩০ গড়ে ১১৯ উইকেট পান। তন্মধ্যে ৩২ উইকেট আসে টেস্ট সিরিজ থেকে। হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানে ৬ উইকেট ও খেলায় ৯ উইকেট পান। ১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মানে ভূষিত হন গ্রিফিথ।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Martin Williamson, "Dangerous games", Cricinfo XI, 2 May 2006.
  2. Bill Bradshaw, "Chucker Charlie's order of the bath", The Observer, 11 June 2000.
  3. "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]