চাপালিশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Artocarpus chama
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাসedit
Kingdom: উদ্ভিদজগত (প্লান্টি)
Clade: সংবাহী (ট্র্যাকিওফাইট)
Clade: সপুষ্পক (Angiosperms)
Clade: Eudicots
Clade: Rosids
Order: Rosales
Family: মোরাসি
Tribe: আর্টোকার্পি
Genus: আর্টোকার্পাস
Subgenus: A. subg. Artocarpus
Species:
A. chama
দ্বিপদ নাম
Artocarpus chama

প্রতিশব্দ
  • Artocarpus asperulus Gagnep.
  • Artocarpus chaplasha Roxb.
  • Artocarpus melinoxylus Gagnep.
  • Ficus chrysophthalma (Miq.) Miq.
  • Urostigma chrysopthalmum Miq.
  • Saccus calophyllus (J.N.Haage & E.Schmidt) Kuntze
  • Saccus chaplasha (Roxb.) Kuntze

চাপালিশ, চামল, চাম্বল, চাম্বুল[১] বা চাম কাঁঠাল[২] (বৈজ্ঞানিক নাম: Artocarpus chama; আর্টোকার্পাস চামা)[৩] হচ্ছে মোরাসি পরিবারের কাঁঠাল-জাতীয় একটি বন্য প্রজাতির ফল। প্রায় কাঁঠালের মতো দেখতে তুলনামূলক ছোট আকৃতির এই ফলটিকে মানুষেরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও বন্যপ্রাণীর খাদ্য হিসেবেই এটি প্রসিদ্ধ।[৪] এই গাছের কাঠ দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই হওয়ায় আসবাবপত্র ও দরজা-জানালা সহ রেলপথের স্লিপার তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।[৫]

বিস্তার[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সহ চীনের ইউনান, ভুটান, ভারত, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড পর্যন্ত এই গাছের বিস্তার রয়েছে।[৬]

বাংলাদেশে মধুপুর বনাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামকক্সবাজারের পাহাড়ি বন এবং সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে এই গাছ বেশি জন্মায়। এছাড়াও কুমিল্লার লালমাই পাহাড় এলাকায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়াভালুকায় এবং ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়।[৫] রাঙামাটি শহরে ৩১৬ বছরের বেশি বয়সী একটি চাপালিশ গাছ এখনও টিকে আছে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিপন্ন উদ্ভিদ চাপালিশ"Jugantor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৮ 
  2. "চাম কাঁঠাল ও লাউয়াছড়ার বানর"banglanews24.com। ২০১৬-০৬-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৮ 
  3. Buchanan-Hamilton F (1826) Mem. Wern. Nat. Hist. Soc. 5: 331.
  4. "বন্যপ্রাণীর খাবারেও ভাগ বসাচ্ছে মানুষ!"banglanews24.com। ২০২২-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৮ 
  5. "চাপালিশ | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০২১-১১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৮ 
  6. Plants of the World Online: Artocarpus chama Buch.-Ham. (retrieved 12 August 2019)
  7. "যে গাছ দাঁড়িয়ে আছে ৩১৬ বছর!"Dhaka Tribune Bangla। ২০২১-০৭-২৪। ২০২২-০১-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]