বিষয়বস্তুতে চলুন

গোয়েন্দা শাখা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোয়েন্দা শাখা

২০২৩ সালে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে কর্তব্যরত ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যগণ
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত১৯৯৭; ২৮ বছর আগে (1997)
যার এখতিয়ারভুক্তবাংলাদেশ সরকার
সদর দপ্তরমিন্টু রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ
সংস্থা নির্বাহী
  • ডিআইজি, ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার প্রধান
মূল বিভাগ বাংলাদেশ পুলিশ

গোয়েন্দা শাখা সংক্ষেপে ডিবি হলো বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও বিশেষ অভিযানে কাজ করে।

এই ইউনিটের গোয়েন্দাদের প্রধান কাজই হচ্ছে কোন গুরুতরভাবে লুক্কায়িত অপরাধ বা অমিমাংসিত ঐতিহাসিক অপরাধের ঘটনাপ্রবাহ তদন্তের স্বার্থে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে সংবাদের পিছনের সংবাদ জনসমক্ষে তুলে ধরা। এছাড়াও প্রয়োজনে তারা গুরুত্বপূর্ণ আসামি গ্রেফতার করে থাকেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১ জুলাই ২০১৬ সালে তৎকালীন গোয়েন্দা শাখা সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ঢাকার হামলায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিচালিত রেস্তোঁরাটিতে হামলার সময় অভিজান চালাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।[] ১২ জানুয়ারি ২০১৭ সালে সন্ত্রাসীদের ১১ জন সদস্যকে ঢাকার সবুজবাগে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা।[]

উল্লেখযোগ্য মামলা

[সম্পাদনা]

বিতর্ক

[সম্পাদনা]
  • হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মতে, গোয়েন্দা শাখার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক ডকুমেন্টেশন রয়েছে।[][] হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, বিচারবহির্ভূত মৃত্যুর ৭০ শতাংশই পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জড়িত।[][]
  • মার্চ ২০১৫-তে, গোয়েন্দা শাখার সদস্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী কুমিল্লায় একজন অপরাধীকে ধাওয়ার সময় ভারতের ত্রিপুরার একটি সীমান্ত গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন।[১০][১১] তাদের চারপাশে গ্রামবাসীরা ঘিরে রেখেছে, এবং তিন গোয়েন্দা সদস্য চারজনকে পালিয়ে এসে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী আটক করেছিল। তাদের বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং বিএসএফকে ডিবি সদস্যদের বাংলাদেশি আইনের অধীনে অভিযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল।[১২]
  • শামীম রেজা রুবেল ছিলেন এমন এক কলেজ ছাত্র, যাকে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরে তাকে নির্যাতন ও হেফাজতে হত্যা করা হয়।[১৩][১৪]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Recalled in tears of pride"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  2. "11 fake DB men detained in Dhaka"ঢাকা ট্রিবিউন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  3. "SC upholds death sentence of Shahid for Shazneen murder"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭ 
  4. "Police delay chargesheet for arresting 'five assailants' of writer-blogger Avijit Roy"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  5. "Sagar-Runi killing: Journalists to launch tough movement"ঢাকা ট্রিবিউন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  6. "Bangladesh: Hold Security Forces Accountable for Torture"হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৮ 
  7. Human Rights Watch (২০১৬-০২-২৯)। World Report 2016: Events of 2015 (ইংরেজি ভাষায়)। Policy Press। আইএসবিএন 978-1-4473-2550-5 
  8. "'Where No Sun Can Enter': A Decade of Enforced Disappearances in Bangladesh"হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৬। 
  9. "KILLED IN "CROSSFIRE"" (পিডিএফ)www.amnesty.org (ইংরেজি ভাষায়)। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৪-০৭-৩১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২৪ 
  10. "'BSF' picks up 4 Bangladesh detectives"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১ 
  11. "BSF detains 4 Bangladeshi detectives at Comilla border"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১ 
  12. "BSF returns four Bangladesh policemen detained from Indian territory"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১ 
  13. "Cop Akram, 11 others acquitted"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৫-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১ 
  14. "Sad death gives hopes for all"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]