বিষয়বস্তুতে চলুন

শাজনীন তাসনিম রহমানকে খুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাজনীন তাসনিম রহমান
শাজনীন তাসনিম রহমান
মৃত্যুএপ্রিল ২৩, ১৯৯৮(১৯৯৮-০৪-২৩) (বয়স ১৫)
গুলশান, ঢাকা
মৃত্যুর কারণখুন
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনস্কলাস্টিকা
পিতা-মাতা

শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যাকাণ্ডটি ঢাকায় শাজনিন তাসনিম রহমানের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ঘটেছিল, যা একটি "উত্তেজনাপূর্ণ" মামলা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।[]

ইতিবৃত্ত

[সম্পাদনা]

শাজনীন তাসনিম রহমান ছিলেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে। তিনি ১৯৯৮ সালে ১৫ বছর বয়েসি এবং ঢাকায় স্কলাস্টিকার একজন ছাত্রী ছিলেন।[]

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকার গুলশানের তার বাসায় শাজনিন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। তাকে ২০ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। তার দেহ গৃহকর্মী মোসলেম হাউলাদারের সাহায্যের মাধ্যমে খুজে পাওয়া যায়। তখন বাড়িতে একটি অনু্ষ্ঠান চালু ছিল।[]

আদালতের বিচারকার্য

[সম্পাদনা]

তার বাবা ২৪ এপ্রিল ১৯৯৮ সালে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ তারিখে ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮ তারিখে ছয়জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়।[] ১৩ এপ্রিল ১৯৯৯ সালে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। ৬ জুলাই ১৯৯৯ তারিখে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল করিম ও বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলায় মামলাটি দাখিল করেন।অভিযুক্তরা হাইকোর্টের রায়ের আপিল করেন।[] ১১ নভেম্বর ১৯৯৯  তারিখে প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল, বিচারপতি লতিফুর রহমান, এএম মাহমুদুর রহমান, এবং মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ অভিযুক্তদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।[]

অভিযুক্তরা হচ্ছে শহীদুল ইসলাম, গৃহকর্মী, ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনউদ্দীন হাসান, তার সহকারী বাদল ও সুনামী শানিরাম মণ্ডল। অপর দুই আসামি ছিলেন ইসমত খাতুন মিনু ও পারভিন। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।[] ১০ জুলাই ২০০৬ তারিখে বাংলাদেশ হাইকোর্ট অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করে এবং শনিরাম মণ্ডলকে মুক্তি দেয়। ২৬ এপ্রিল ২০০৯ এ আপীল বিভাগ অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়ার আবেদন গ্রহণ করে। ২ আগস্ট ২০১৬ সালে শহীদুল ইসলাম ব্যতীত সকল অভিযুক্তকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট অব্যাহতি দেয়।[] গাজীপুরের কাশিমপুর উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে রাত ৯:৪৫ মিনিটে ২৯ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে শহীদুল ইসলামকে ফাঁসি দেয়া হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 754"archive.thedailystar.net। ২০১৮-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  2. Correspondent, Senior; bdnews24.com। "Shazneen murder: Top court confirms death sentence for one, acquits four others"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  3. https://www.thedailystar.net/frontpage/shazneen-rape-murder-case-1263724
  4. Correspondent, Staff (২০১৬-০৫-১২)। "SC verdict any day"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৬ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৯ 
  6. "SC upholds death of 1 in Shazneen murder case"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৬ 
  7. Correspondent, Staff; Gazipur (২০১৭-১১-৩০)। "Shazneen Murder: One convict hanged after 19 years"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৬