বিষয়বস্তুতে চলুন

হোলি আর্টিজান হামলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৮′০৯″ উত্তর ৯০°২৫′০০″ পূর্ব / ২৩.৮০২৫° উত্তর ৯০.৪১৬৭° পূর্ব / 23.8025; 90.4167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(জুলাই ২০১৬ ঢাকা আক্রমণ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
১-২ জুলাই ২০১৬ ঢাকা সন্ত্রাসী হামলা
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের অংশ

ঢাকায় হামলার অবস্থান
তারিখ১-২ জুলাই ২০১৬
অবস্থান
হোলি আর্টিজান বেকারি
সড়ক নং ৭৯, বাড়ি ৫, গুলশান
ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ
২৩°৪৮′০৯″ উত্তর ৯০°২৫′০০″ পূর্ব / ২৩.৮০২৫° উত্তর ৯০.৪১৬৭° পূর্ব / 23.8025; 90.4167
ফলাফল সন্ত্রাসীদের নির্মূল
বিবাদমান পক্ষ
 বাংলাদেশ ইসলামি সন্ত্রাসী
জড়িত ইউনিট

প্রধান প্রতিপক্ষ

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী

হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
২ পুলিশ অফিসার নিহত, ৫০ জন আহত [][]
২২ বেসামরিক নাগরিক নিহত[] ও ২০–৬০ জন জিম্মি[][][]

হোলি আর্টিজান হামলা দ্বারা ২০১৬ সালের ১লা জুলাইয়ে সংঘটিত হামলাকে বুঝানো হয়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সময়ে (ইউটিসি+০৬:০০)[] পাঁচজন সশস্ত্র জঙ্গি ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রবেশ করে সেখানে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে এবং গুলি চালায়।[][] হামলাকারীরা নিজেদের সাথে ক্রুড বোমা, চাপাতি ও পিস্তল বহন করছিল এবং স্থানীয় ও বিদেশি নাগরিকসহ কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করেছিল। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেকারির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।[]

এই হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২০ জন জিম্মি (১৭ জন বিদেশি এবং ৩ জন স্থানীয়), দুই পুলিশ সদস্য, পাঁচ জঙ্গি এবং বেকারির দুই কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ছিল।[][১০] পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নবর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নিরাপত্তা বেষ্টনী গঠন করে। পরে ২ জুলাই ভোররাতে (প্রায় ০৩:০০টায়) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে “অপারেশন থান্ডারবোল্ট” নামক একটি সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।[১১] এই অভিযান সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ম প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এর নেতৃত্বে শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান[১২]

বাংলাদেশ পুলিশর মহাপরিদর্শক জানান, সকল হামলাকারী বাংলাদেশের নাগরিক।[][১৩] আইএসআইএল এ হামলার দায় স্বীকার করে এবং হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, হামলাকারীরা জেএমবি'র সদস্য এবং আইএসআইএল-এর সাথে তাদের কোনো সংযোগ নেই।

বিবিসি নিউজ এ ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ইসলামি হামলা হিসেবে বর্ণনা করে।[১৪] স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো একে ৭/১৬ নামে অভিহিত করে।[১৫]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এর জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি এবং বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২,২২১ মার্কিন ডলার।[১৬] বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেছে, তবে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়। দেশের প্রায় ৮৯% জনগণ মুসলমান; বাকিরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[১৭]

ইসলামপন্থি সশস্ত্র সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৫ সালে সারাদেশব্যাপী বিস্ফোরণের সিরিজ ঘটানোর পর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনটি আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ সরকার পরে সংগঠনটির দুই নেতা শায়খ আবদুর রহমানবাংলা ভাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।[১৮]

আরও একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন হারকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি) কিছু হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, যার মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের ঢাকা গ্রেনেড হামলা[১৯]২০০১ সালের রমনা বটমূলে বোমা হামলা[২০] সংগঠনটির নেতা মুফতি হান্নান ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন।[১৯]

২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ইসলামপন্থি জঙ্গি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নাস্তিক ও মুক্তমনা লেখক, এলজিবিটি অধিকারকর্মী এবং প্রগতিশীল মুসলমানদের ওপর হামলা চালানো হয়।[২১][২২] ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৩০টিরও বেশি এমন হামলা ঘটে, যার মধ্যে ২১টির দায় স্বীকার করে আইএসআইএল[২৩] আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, ২৫ মে ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ একটি সংগঠন, এসব হামলার দায় স্বীকার করে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে আইএসআইএলের প্রকাশনা দাবিক-এ একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যেখানে "বাংলাতে জিহাদের পুনরুজ্জীবন" আহ্বান জানানো হয়।[২৪]

ঢাকার গুলশান একটি উচ্চবিত্ত আবাসিক এলাকা, যেখানে অনেক বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত।[]

হামলা ও জিম্মি পরিস্থিতি

[সম্পাদনা]
গুলশান ২। অপারেশন থান্ডারবোল্ট চলাকালে এই এলাকায় যাতায়াত সীমিত করে যৌথ বাহিনী। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পূর্বেই ঢাকা ওয়েস্টিন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছিল।[২৫]

স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হামলা শুরু হয়।[২৬] পাঁচজন হামলাকারী বোমা, পিস্তল, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি তলোয়ারসহ রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে। তারা নির্বিচারে গুলি চালায় এবং কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। আতঙ্কিত গ্রাহকরা টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েন এবং কর্মীরা দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যান। আর্জেন্টিনীয়-ইতালীয় রাঁধুনি দিয়েগো রোসিনি উপরের তলায় পালিয়ে যান এবং কয়েকজন কর্মী তাঁর সাথে ছাদ বেয়ে পাশের ভবনে চলে যান।[২৭]

দ্বিতীয় তলায় থাকা কর্মীদের মধ্যে আটজন একটি টয়লেটে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। ঘরটি ছিল ছোট এবং সেখানে ইস্ট ও ময়দা সংরক্ষণের কারণে গরম ছিল। হামলাকারীরা উপরে গিয়ে চিৎকার করে বলেন, “বাংলা লোকজন বেরিয়ে আসো”, “তোমরা মুসলমান হলে বেরিয়ে আসো”। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা ভেবেছিল ভিতরে কেউ নেই এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই কর্মীরা তাদের আত্মীয়দের মেসেজ করে জানান যে তারা ভিতরে আটকে আছেন এবং সাহায্যের আবেদন করেন।

হামলাকারীরা পরে বেশ কয়েকজন জিম্মি করে, যাদের অধিকাংশই বিদেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারীরা বাংলাদেশি কর্মীদের প্রতি বিনয়ী আচরণ করেছিল এবং ইসলাম প্রচারে বিদেশিদের জীবনধারা প্রতিবন্ধক বলে মন্তব্য করে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।[২৮]

গুলির শব্দে সাড়া পেয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা রবিউল করিম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও আসে এবং হামলাকারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে এবং উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা করে। হামলাকারীরা গ্রেনেড ছুঁড়ে ও গুলি চালিয়ে করিম ও খানকে হত্যা করে।[২৯]

ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া সশস্ত্র সদস্যদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে হামলাকারীদের ওপর গুলি চালান এবং ৯ জনকে উদ্ধার করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে সেনাবাহিনীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেন এবং জানান, সেনাবাহিনী প্রধান বেলাল শফিউল হক সিলেট থেকে আসছেন।[৩০]

এক পর্যায়ে এক কর্মী, মিরাজ, লুকিয়ে পড়লেও ধরা পড়েন। এক জঙ্গি বলেন, “সবাই পালিয়ে গেল, তুমি পারোনি, এর মানে আল্লাহ চান তুমি মরো।” তাকে চেয়ারে বেঁধে মানব ঢাল বানানো হয়। এরপর মুসলমানদের আলাদা করে খাবার ও পানি দেওয়া হয়, কিন্তু অমুসলিমদের কিছুই দেওয়া হয়নি।

২ জুলাই ভোরে হামলাকারীরা কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয়। হিজাব পরা কিছু নারীকে মুক্ত করা হয়। ফারাজ হোসেন নামের এক তরুণকেও মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তাঁর দুই বিদেশি বন্ধুকে ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাঁদের সঙ্গেই থেকে যান।[২৭][৩১]

হামলার ছবি ও ভিডিও টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলোতে রেস্তোরাঁর ভেতরে লাশ ও রক্তাক্ত মেঝে দেখা যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দৈনিক কালের কণ্ঠ জানায়, আনসার আল ইসলাম নামক জঙ্গি সংগঠন হামলার প্রায় ১০ ঘণ্টা আগেই একটি টুইটে এর ঘোষণা দিয়েছিল।[৩২]

উদ্ধার অভিযান

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই অভিযানের সূচনা হয়, যার নামকরণ করা হয় অপারেশন থান্ডারবোল্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেড-এর অধীন ১ম প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, যাদের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান[৩৩][৩৪]

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, ও এসডব্লিউএটি সদস্যরা স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু করে।[৩৫] কমান্ডোরা নয়টি এপিসির সহায়তায় প্রাচীর ভেঙে বেকারিতে প্রবেশ করে।[৩৬] এক প্রতিবেশী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে টুইটারে প্রকাশ করেন। অভিযান শুরু হওয়ার ১২-১৩ মিনিটের মধ্যে তারা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার অভিযান প্রায় ৫০ মিনিট স্থায়ী হয়। অভিযানের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।[৩৭]

এই অভিযানে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পাঁচজন হামলাকারী নিহত হয় এবং একজন জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়।[][৩৮] এ সময় ভুলবশত কমান্ডোদের গুলিতে বেকারির একজন রাঁধুনি নিহত হন, যাকে হামলাকারী মনে করা হয়েছিল।[৩৯]

উদ্ধার হওয়া জিম্মিদের মধ্যে দুইজন, তাহমিদ হাসিব খান এবং হাসনাত করিম, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তারা নিখোঁজ হন এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় যে তারা মুক্তি পেয়েছেন কিনা।[৪০][৪১]

হতাহত

[সম্পাদনা]

বিশ জন বিদেশী নাগরিক, ছয় জন বন্দুকধারী এবং দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার রাতেই নিহত হন। বিদেশীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। যেখানে আরও পঞ্চাশ জন, যাদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য,[৪২] আহত হন।[][৪৩] নিহতদের মধ্যে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, যাদের একজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার এবং অন্যজন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।[৪৪][৪৫][৪৬] নিহতদের মধ্যে জাপানি ও ইতালীয় নাগরিক ছিল।[] ১৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় নাগরিকও নিহত হয়।[৪৭] বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করে যে নিহতদের সকলে বিদেশী ছিল এবং অপরাধীরা জিম্মিদের "ধারালো অস্ত্র দ্বারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল"।[৪৩] এদের মধ্যে যারা কুরআন থেকে একটি আয়াত বলতে পেরেছিল শুধুমাত্র সেসকল অ-মুসলিমরা রক্ষা পেয়েছিল।[৪৮][৪৯] পরে মৃতদেহগুলির মাঝে বেকারির একজন শেফের লাশ শনাক্ত করা হয়। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে বেকারির একজন আহত কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান

নিহতদের মধ্যে সাত জন জাপানি নাগরিক ছিল – পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী – যাদের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির সাথে যুক্ত ছিল। সেই সময় নারীদের মধ্যে একজন গর্ভবতী ছিলেন।[৫০] তরিশি জৈন, ভারতীয় জাতীয়তার, বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী ছাত্রীকেও হত্যা করা হয়।

নিহত জিম্মিদের জাতীয়তা
দেশ সংখ্যা
 ইতালি [১১]
 জাপান [১১]
 বাংলাদেশ [১১]
 ভারত [১১]
সর্বমোট ২৪[৫১][৫২]

মৃতদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:[][][৫৩][৫৪][৫৫]

  • ক্রিস্তিয়ান রসসি (ইতালীয়)
  • মার্কো তোন্ডাত (ইতালীয়)
  • নাদিয়া বেনেদেত্তি (ইতালীয়)
  • আদেলে পুলিসি (ইতালীয়)
  • সিমোনা মন্তি (ইতালীয়)
  • ক্লাউদিয়া মারিয়া ড'আন্তোনা (ইতালীয়)
  • ভিনসেনজো ড'আল্লেস্ত্রো (ইতালীয়)
  • মারিয়া রিভোলি (ইতালীয়)
  • ক্লাউডিও কাপ্পেল্লি (ইতালীয়)
  • হিদেকি হাশিমোতো (জাপানি)
  • নোবুহিরো কুরোসাকি (জাপানি)
  • কয়ো অগাসাওয়ারা (জাপানি)
  • মকোতো ওকামুরা (জাপানি)
  • ইউকো সাকি (জাপানি)
  • রুই শিমোদাইরা (下平瑠衣 শিমোদাইরা রুই;[৫৬] জাপানি)
  • হিরোশি তানাকা (জাপানি)
  • ফারাজ আইয়াজ হোসেন (বাংলাদেশী)
  • ইশরাত আখন্দ (বাংলাদেশী)
  • রবীউল করিম (বাংলাদেশী)
  • সালাউদ্দিন খান (বাংলাদেশী)
  • সাইফুল ইসলাম চৌকিদার (বাংলাদেশী)
  • জাকির হোসেন শাওন (বাংলাদেশী)
  • আবিনতা কবির (বাংলাদেশী)
  • তরিশি জৈন (ভারতীয়)

সামরিক ও যৌথ বাহিনী দ্বারা উদ্ধার অভিযানের সময় নিহত পাঁচজন সন্ত্রাসী হল:[]

  • নিবরাস ইসলাম
  • রোহান ইমতিয়াজ
  • মীর সামেহ মোবাশ্বের
  • খায়রুল ইসলাম
  • শফিকুল ইসলাম

আহতদের মধ্যে ২৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।[৫৭] এদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত মহানগরসহ ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দুই অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন পরিদর্শক।[৫৮]

ইতালীয় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও জিরো বাংলাদেশে আসেন এবং ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ইতালীয় ৯ ব্যক্তির লাশ নিয়ে ইতালিতে ফিরে যান। ময়নাতদন্তে পাওয়া যায় যে ৯ ইতালীয় নাগরিককে হত্যার আগে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়। মৃত্যুর আগে কয়েকজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় ও কয়েকজনের শরীরের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে তারা ধীরে ধীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। নয় ইতালীয় নাগরিক "মন্থর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু" ভোগ করে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে।[৫৯][৬০]

এই হামলার সাতজন জাপানী নাগরিকের লাশ দেখতে ও তাদের শনাক্ত করার জন্য জাপানি নাগরিকদের স্বজনরা বাংলাদেশে আসেন, তাদের সঙ্গ দেন জ্যেষ্ঠ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেইজি কিহারা। তাদের সাথে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও দেশটির দাতা সংস্থা জাইকার কয়েকজন কর্মকর্তাও আসেন।[৬১] ঢাকার বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় যেখানে জাপানের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবেউ উপস্থিত থাকেন।[৬২] ৫ জুলাই সাত জাপানী নাগরিকের লাশ নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটে একটি বিশেষ বিমান জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।[৬৩]

আইএসআইএস-এর দায় স্বীকার

[সম্পাদনা]

ইসলামিক স্টেটের অধিভুক্ত সংবাদ সংস্থা, 'আমাক' এই হামলার দায় স্বীকার করে এবং ২০ জনকে হত্যার দাবি জানায়। ঘটনার পর তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে এবং হুমকি দেয় এটি সবেমাত্র শুরু ভবিষ্যতে আরো হামলা হবে। [৬৪]

জাকির নায়েক ও পিস টিভি

[সম্পাদনা]

আক্রমণের ৫ হামলাকারীর মাঝে একজন ফেসবুকে জাকির নায়েকের অনুসারী ছিলেন বলে বাংলাদেশী পত্রিকা ডেইলি স্টারে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর, ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, "জাকির নায়েকের বক্তব্য আমাদের জন্য একটি নজরদারির বিষয়। আমাদের এজেন্সিগুলো এর উপর কাজ করছে।"[৬৫] এর ২ দিন পর মহারাষ্ট্র সরকারের সিআইডি বিভাগ তদন্তের ফলাফল হিসেবে জানায় যে, তারা জাকির নায়েকের বক্তৃতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ খুজে পায় নি।[৬৬] ডেইলি স্টার উক্ত বিতর্ক নিয়ে জাকির নায়েকের নিকট ক্ষমা চেয়ে মন্তব্য করে যে তারা কখনোই নায়েককে উক্ত হামলার জন্য দোষারোপ করে নি।[৬৭] পত্রিকাটি বলে যে, এটি শুধুমাত্র এটাই তুলে ধরেছে যে, কীভাবে তরুণরা তার বক্তব্যকে ভুলভাবে বুঝছে।[৬৭][৬৮][৬৯] তবে, এঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সরকার নায়েকের পিস টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।[৭০] তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এর কারণ হিসেবে বলেন যে "পিস টিভি মুসলিম সমাজ, কুরআন, সুন্নাহ, হাদিস, বাংলাদেশের সংবিধান, আমাদের সংস্কৃতি, আচার-প্রথা ও রীতিনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।"[]

প্রতিক্রিয়া

[সম্পাদনা]
  • বাংলাদেশ এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি একে ধর্ম ও মানবতার অবমাননা বলে মন্তব্য করেন। তার মতে ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলামের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেন “দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন মূল্যে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত প্রতিহত করব।”[৭১] রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এছাড়া তিনি জিম্মি সংকটের অবসানে যৌথ অভিযানে অংশ নেয়া যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।[৭২]
  • ইতালি ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনসি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমাদের মূল্যবোধ ঘৃণা ও সন্ত্রাস থেকে অনেক শক্তিশালী।” এছাড়া তিনি এই ঘটনাকে “বেদনাদায়ক ক্ষতি” বলে মন্তব্য করেন।[৭৩] জার্মানির বিপক্ষে ইউরো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সময় ইতালীয় জাতীয় ফুটবল দল কালো হাতের ব্যান্ড পরেছিল । খেলার আগে উভয় দলই নিহতদের স্মরণে এক মুহূর্ত নীরবতা পালন করে।[৭৪]
  • জাপান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জাপানিদের জীবিত উদ্ধারে ঢাকাস্থ দূতাবাসে নির্দেশনা দেয়ার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এবং তিনি এটিকে “দুঃখজনক” হিসেবে আখ্যা দেন।[৭৫] এছাড়া অন্যান্য জাপানি সরকারি কর্মকর্তা ও সংস্থা যাদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার, মন্ত্রিসভার মুখ্য সহকারী সচিব কোইচি হাগুইদা, মন্ত্রিসভার সহকারী সচিব ইয়োশিহিদে সুগা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই ঘটনায় তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে।[৭৬]
  • ভারত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন “ঢাকায় আক্রমণ আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং এ আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই।”[৭৭] রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি টুইটারে লিখেছেন যে তিনি "নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও আহত হওয়ার কারণে গভীরভাবে দুঃখিত।"[৭৮]
  • মালয়েশিয়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সমগ্র বিশ্বের মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার কথা বলেন।[৭৯] তিনি বিশ্বের প্রতিটি সরকারকে "তথ্যের প্রতিটি অংশ বিশ্লেষণ" করার এবং সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।[৮০]
  • ভ্যাটিকান সিটি পোপ ফ্রান্সিস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং এই ধরনের হামলাকে “স্রষ্টা ও মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত” বলে মন্তব্য করেন।[৮১]
  • ভুটান ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ঢাকায় সন্ত্রাসী ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন “তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশের জনগণ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পেয়েছে, সেটি হলো সেদেশের সরকার কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-কে প্রশ্রয় দেবে না।”[৮২]
  • ব্রাজিল বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যাম্পোস দা নোব্রেগা ক্যাফেতে হামলাকে "কাপুরুষোচিত কাজ" বলে অভিহিত করেছেন এবং নিহতদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ব্রাজিল সরকার এই সহিংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।[৮৩]
  • কানাডা ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট-পিয়েরে লারামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কানাডা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে"।[৮৪]
  • ডেনমার্ক ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান জেনসেন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন: "এই ধরনের অর্থহীন সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। আমাদের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হল ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং জীবনযাত্রাকে ভয় ও হতাশার মধ্যে পড়তে না দেওয়া"। ডেনিশ কর্তৃপক্ষ ঢাকায় তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছিল।[৮৪]
  • ফ্রান্স ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "সন্ত্রাস একটি বৈশ্বিক অভিশাপ। ফ্রান্স সর্বত্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।"[৮৫]
  • জার্মানি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন: "আরও একবার বিবেকহীন সন্ত্রাসীরা নিখুঁত বর্বরতার সাথে আঘাত করেছে এবং তাদের সাথে অসংখ্য মানুষকে মরতে বাধ্য করেছে। আমি এই ভয়ঙ্কর হামলার সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালো ভাষায় নিন্দা জানাই। আমরা নিহতদের শোক জানাই এবং শোক প্রকাশ করছি।" তাদের আত্মীয়স্বজন। এই দুঃসময়ে, আমার চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি আমাদের ইতালীয়, জাপানি এবং ভারতীয় বন্ধুদের এবং এই ভয়াবহ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সাথে।"[৮০]
  • ইরান ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেছেন এবং বাংলাদেশের সাথে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি পরে যোগ করেছেন: "সন্ত্রাসী পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে সন্ত্রাসবাদের কোনো সীমানা নেই আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে, জাতীয়তা, ধর্ম এবং ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে যৌথ অবদানের প্রয়োজন। এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সন্ত্রাসবাদের হুমকিকে গুরুত্বের সাথে ব্যর্থ করতে সকলের একত্রিত হওয়া উচিত।"[৮৩]
  • কুয়েত কুয়েতের আমির, সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি কেবল পাঠিয়ে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এই হামলাকে "জঘন্য" বলে অভিহিত করেছেন।[৮৬]
  • ফিলিপাইন ৭ জুলাই ফিলিপাইন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট ক্যাফেতে ১ জুলাই ২০ জন বিদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় "কঠোর ভাষায়" নিন্দা করেছে। ডিএফএ এক বিবৃতিতে বলেছে, "ফিলিপাইন বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানায়।" ডিএফএ ঢাকায় অবরোধকে "শান্তিপ্রিয় দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে গুরুতর নৃশংসতা" বলে বর্ণনা করেছে।"[৮৭]
  • রাশিয়া রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যাতে লেখা ছিল: "আমরা এই আরেকটি অমানবিক সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষুব্ধ, যার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা নিহতদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ঢাকা আবারও প্রমাণ করেছে যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অবিলম্বে সমস্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা একত্রিত করা প্রয়োজন।"[৮৮]
  • সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে: "এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"[৮৯]
  • সুইজারল্যান্ড ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ফটশ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে "বাংলাদেশের জনগণ বিদেশীদের সাথে প্রসারিত তাদের আতিথেয়তার জন্য এবং তাদের সহনশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য প্রশংসিত - মূল্যবোধ যা সুইজারল্যান্ডের খুব বেশি। ন্যায়বিচারের উপর হামলার বিষয়ে।"[৮৪]
  • যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার বাংলাদেশী প্রতিপক্ষকে জানান যে "বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে, যুক্তরাজ্য আপনার সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাজ্য যে কোনো সহায়তা দিতে সক্ষম হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ। নিরীহ মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর এ ধরনের হামলাকে কোনো কিছুই সমর্থন করতে পারে না।"[৯০] ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এই হামলাকে "সন্ত্রাসের বুদ্ধিহীন কাজ" বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে "ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবে ঘোষণা করার এবং যারা ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করতে চায় তাদের প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য করা উচিত। এর নামে সহিংসতাকে সমর্থন করে।"[৯০][৯১]
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।[৯২] প্রেসিডেন্ট ওবামা ১২ ঘন্টা অবরোধের সময় ব্রিফ করা হয়,[৯৩] মার্কিন কংগ্রেসের অসংখ্য সদস্যও হামলার নিন্দা করেছেন, বাংলাদেশি এবং অন্যান্য জড়িত জাতীয়তার সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন; এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান।[৯০]

সংস্থা

[সম্পাদনা]
  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি বাংলাদেশের সঙ্গে 'সংহতি' প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।[৯৪]
  • ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা, হামলার কথা শুনে মর্মাহত হয়েছে এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।[৮৩]
  • জাতিসংঘ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং বলেছে, "নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে সন্ত্রাসবাদ তার সকল প্রকার ও প্রকাশের আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে একটি।"[৯৫][৯৬]

কিংবদন্তি

[সম্পাদনা]
দীপ্ত শপথ

হামলার দুই বছর পর এই ঘটনায় নিহত দুই পুলিশ সদস্য এসি রবিউল এবং ওসি সালাহউদ্দিনের স্মরণে গুলশানে মৃণাল হকের তৈরি ‘দীপ্ত শপথ’ নামক একটি স্মারক ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়।[৯৭]

শনিবার বিকেল, এই ঘটনা উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ২০১৯ সালের এই চলচ্চিত্রটি এখনো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে মুক্তির অনুমতি পায়নি।[৯৮] ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফারাজ নামক হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্রটি এই ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত।[৯৯]

বিচার ও সাজা

[সম্পাদনা]

হামলার পর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৮ সালে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে মোট ২১ জনের জড়িত থাকার তথ্য পায় পুলিশ। এর মধ্যে ঘটনার দিন ও পরে ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হোলি আর্টিজানে চালানো কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলো - রোহান ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, সামিউল মোবাশ্বির, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং নিবরাস ইসলাম। এছাড়া পরে জঙ্গিবিরোধী অন্য অভিযানগুলোতে নিহত হন তামিম চৌধুরী, মারজান, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান, তানভীর কাদেরী, তারেক রায়হান এবং ছোটো রায়হান এছাড়া হামলার ঘটনার পর আটক হওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে চার্জশিটে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৭শে নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সাতজন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ‘ডেথ রেফারেন্স’ এবং আসামিপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর ২০২৩ দিন ধার্য করে হাইকোর্ট। ঐ দিনের রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সাত জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন - জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ।[১০০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wajahat S. Khan; Erik Oritz (১ জুলাই ২০১৬)। "Gunmen Kill 4 Officers, Take Dozens Hostage in Bangladesh"। NBC News। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  2. IANS (১ জুলাই ২০১৬)। "Gunmen kill 5, injure 50, take 20 hostages in Dhaka's diplomatic quarter"। Yahoo। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  3. "Bangladesh attack: Police say hostage mistaken for gunman"বিবিসি নিউজ। ৬ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; rt নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. "Hostages taken in attack on restaurant in Bangladesh capital; witness says gunmen shouted 'Allahu Akbar'"। Fox News Channel। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  6. "Gunmen take hostages in Bangladeshi capital Dhaka"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জুলাই ২০১৬। ২৭ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  7. অভিযানে নিহতদের মধ্যে 'জঙ্গি ৫ জন'bdnews24.com। ৫ জুলাই ২০১৬। ৭ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৬  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "bdnews 5Jul" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  8. Rome, Saad Hammadi Rosie Scammell in; York, and Alan Yuhas in New (২০১৬-০৭-০৩)। "Dhaka cafe attack ends with 20 hostages among dead"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৫ 
  9. "Hostage crisis leaves 28 dead in Bangladesh diplomatic zone"The Washington Post। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. Marszal, Andrew; Graham, Chris (২ জুলাই ২০১৬)। "20 foreigners killed in 'Isil' attack on Dhaka restaurant"The Telegraph। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  11. "Police kill 6 militants, rescue 13 hostages in Dhaka attack"The Boston Globe। ২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  12. "Bangladesh Attack Is New Evidence That ISIS Has Shifted Its Focus Beyond the Mideast"The New York Times। ২ জুলাই ২০১৬। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  13. "Gulshan attackers Bangladeshi citizens: IGP"The Daily Star। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  14. "Holey Artisan cafe: Bangladesh Islamists sentenced to death for 2016 attack"BBC News। ২৭ নভেম্বর ২০১৯। ৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২২The 12-hour siege was Bangladesh's deadliest Islamist attack. Most of the victims were Italian or Japanese. 
  15. "বাংলাদেশ's 7/16 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে". দ্য ডেইলি স্টার (ঢাকা, বাংলাদেশ)। ৩ জুলাই ২০১৬।
  16. "World Economic Outlook Database for Bangladesh"International Monetary Fund। এপ্রিল ২০১৪। ১৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৬ 
  17. "The World Factbook"cia.gov। ৩০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৬ 
  18. "Six JMB militants hanged"দ্য ডেইলি স্টার। ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  19. "Death upheld for three including HuJI leader Mufti Hannan in 2004 grenade attack on British envoy"। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  20. "Ramna bombing verdict June 16"। ২৮ মে ২০১৪। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  21. "Sufi spiritual leader hacked to death in Bangladesh"CNN। ২৯ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  22. "Muslim student killed in Dhaka siege after refusing to desert friends in Western clothes"The Independent। ৩ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  23. "ISIL claims it killed Hindu volunteer in Bangladesh"আল জাজিরা। ১১ জুন ২০১৬। ১৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  24. "Bangladesh saw rise in attacks"The Daily Star। ৪ জুন ২০১৬। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  25. "Dhaka attack: Bangladesh police may have shot one of the hostages"The Indian Express। ৬ জুলাই ২০১৬। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  26. "Bangladesh Hostage Crisis: What Happened And Why"। NDTV। ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  27. Ahmed, Saeed (৩ জুলাই ২০১৬)। "'God wants you to die': Dhaka's long night of terror"CNN। ১১ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২২ 
  28. "Bangladesh Attack Is New Evidence That ISIS Has Shifted Its Focus Beyond the Mideast"The New York Times। ৩ জুলাই ২০১৬। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৭ 
  29. "Families of 4 slain policemen get PM donation - National - observerbd.com"The Daily Observer। ১৯ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৯ 
  30. "Ex-Dhaka police chief Asaduzzaman Mia recalls first responses to Holey Artisan attack"bdnews24.com। ৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২২ 
  31. Shantanu, Shashank (৪ জুলাই ২০১৬)। "Not without my friends: How Faraaz Hossain refused to leave Tarishi Jain's side and died when he could live"India Today। ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  32. এবিটির সকালে ঘোষণা, রাতে হামলা! [ABT announced attack in the morning, attacked at night]। Kaler Kantho। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  33. "Dhaka cafe standoff: At least 13 hostages rescued as siege ends"। CNN। ২৪ নভেম্বর ২০২৩। 
  34. "Bangladesh PM Hasina says 13 hostages rescued alive from Gulshan café"। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  35. "Security forces begin offensive to end hostage crisis"The Daily Star। ২ জুলাই ২০১৬। ২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  36. "Blood, Shock, Horror"। ২ জুলাই ২০১৬। ২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  37. "Army cordon off spot as rescue operation over"। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  38. "Bangladesh PM Hasina says 13 hostages rescued alive from Gulshan café"BDNews24। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  39. "Bangladeshi commandos 'killed hostage by mistake'"Arab News। ৬ জুলাই ২০১৬। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  40. Mahnoor Yawar (১০ জুলাই ২০১৬)। "University of Toronto student missing after being jailed in Bangladesh"The Globe and Mail। ১২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬ 
  41. Maher Sattar; Geeta Anand (৮ জুলাই ২০১৬)। "Man Survives Terrorist Attack in Bangladesh, but is in Custody as a Suspect"The New York Times। ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬ 
  42. "সন্ত্রাসী হামলায় ওসি সালাহ উদ্দীন নিহত"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  43. "Dhaka attack: 20 hostages killed Friday night, says ISPR"দ্য ডেইলি স্টার। ২ জুলাই ২০১৬। 
  44. "Police officer killed as gunmen attack Bangladesh restaurant"BDNews24। ২ জুলাই ২০১৬। 
  45. "2 Officers Dead, Dozens Wounded in Ongoing Bangladeshi Hostage Situation: Reports"People Magazine। ১ জুলাই ২০১৬। 
  46. "রেস্তোরাঁ থেকে ২০ মৃতদেহ উদ্ধার: আইএসপিআর"প্রথম আলো। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  47. "Dhaka attack: 19-year-old Indian girl among 20 hostages killed, PM Modi phones Sheikh Hasina"Zee News। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  48. "'Those who could cite Quran were spared'"। দ্য ডেইলি স্টার। ২ জুলাই ২০১৬। 
  49. "20 hostages killed in 'Isil' attack on Dhaka restaurant popular with foreigners"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  50. "「日本人7人死亡確認」 バングラデシュ人質事件" [বাংলাদেশে জিম্মির ঘটনায় 'সাত জাপানির মৃত্যু নিশ্চিত'] (জাপানি ভাষায়)। NHK। ২ জুলাই ২০১৬। ২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  51. "নিহতদের মধ্যে ১৭ বিদেশি, ৩ বাংলাদেশি"প্রথম আলো। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  52. Ishaan Tharoor (জুলাই ২, ২০১৬)। "Three American students among 20 people hacked to death in Bangladesh by ISIS terrorists - who only spared those who could recite the Koran - before armored troops moved in"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬ 
  53. "গুলশান হামলায় 'সন্দেহভাজন' জাকির মারা গেছেন"প্রথম আলো। ৮ জুলাই ২০১৬। ১১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৬ 
  54. "Bangladesh mourns victims of Dhaka café attack"BBC News। ৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৬ 
  55. "バングラデシュで亡くなった7人 政府が氏名公表" [Japanese government disclosed the names of seven victims killed in Bangladesh]। NHK। ৫ জুলাই ২০১৬। ৯ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  56. "<バングラテロ>富士見出身の下平さん犠牲「もう1回笑顔が見たい」 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে"। Saitama Shimbun. সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
  57. "গুলশানে আহত পুলিশের ২৫ সদস্য"। ঢাকা: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৪ জুলাই ২০১৬। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  58. "আহত ব্যক্তিদের তালিকা"। ঢাকা: প্রথম আলো। ৭ জুলাই ২০১৬। ৯ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  59. "'৯ ইতালীয় নাগরিককে হত্যার আগে নির্যাতন করা হয়'"www.poriborton.com। জুলাই ৮, ২০১৬। ৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  60. "গুলশান হামলা: হত্যার আগে ৯ ইতালীয় নাগরিককে নির্যাতন"দেশ টিভি। ৮ জুলাই ২০১৬। ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  61. "নিহত জাপানিদের মরদেহ দেখলেন স্বজনরা"সমকাল। ৪ জুলাই ২০১৬। ১৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  62. "নিহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা, লাশ হস্তান্তর"বাংলা ট্রিবিউন। জুলাই ৪, ২০১৬। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  63. "নিহতদের লাশ এবং আহত জাপানি ঢাকা ত্যাগ নিহত জাপানিদের ব্যক্তিগত তথ্য গণমাধ্যমে না দিতে স্বজনদের অনুরোধ"দৈনিক ইনকিলাব। ৫ জুলাই ২০১৬। 
  64. "গুলশানে হামলার দায় স্বীকার 'আইএসের'"বিডিনিউজ২৪.কম। ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  65. "Government hints action against Islamic preacher Zakir Naik for 'hate speech'"The Economic Times। New Delhi। ৬ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৬ 
  66. "State Intelligence Dept. gives clean chit to Naik; no arrest on his return to India"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬ 
  67. "দ্য ডেইলি স্টার protests Dr Naik's claims"The Daily Star (Bangladesh)। ৯ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬ 
  68. "Bangla paper apologises to Zakir Naik, says never blamed him for attack"Deccan Chronicle। ১১ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৬ 
  69. "Zakir Naik fracas: Bangladesh paper denies report used by Indian media to demand ban on preacher"Scroll.in। ১০ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৬ 
  70. http://indianexpress.com/article/world/world-news/bangladesh-bans-televangelist-zakir-naiks-peace-tv-2905038/
  71. "প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ"কালের কণ্ঠ অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  72. "গুলশান এলাকায় সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা রাষ্ট্রপতির"দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  73. "বাংলাদেশ হত্যাকাণ্ড: 'বেদনাদায়ক ক্ষতি' বললেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী"এবিপি আনন্দ। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  74. "Germany, Italy 1-1 after 90 minutes"The Telegraph। Calcutta। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  75. "জিম্মি সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস জাপানের"দৈনিক জাগরণ। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  76. "Gulshan attack: Japan PM Abe assures co-operation to battle terrorism"। ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  77. "গুলশানে হামলা: শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি"বাংলা ট্রিবিউন। ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  78. "Deeply saddened at the loss of life in dastardly Dhaka attack: Pranab Mukherjee"The Indian Express। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  79. "Malaysian PM condemns Dhaka attack, calls Muslims to unite against terrorism"Bdnews24.com। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  80. "Global reactions over deadly Dhaka terror attack"। ৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  81. "গুলশানে হামলা স্রষ্টা ও মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত: পোপ"চ্যানেল আই। ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  82. "ঢাকায় সন্ত্রাসী ঘটনায় ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা"কালের কণ্ঠ অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  83. "Australia, Brazil condemn Dhaka attack"। ৪ জুলাই ২০১৬। 
  84. "UK, Russia, Denmark, Switzerland condemn"। ৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  85. "UK, France condemn deadly terrorist attack in Dhaka café"। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  86. "AMIR CONDOLES OVER DHAKA ATTACK – Attackers all Bangladeshis"Arab Times। ৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  87. "DFA condemns Bangladesh café attack"। ABS-CBN। 
  88. "EU, Russia, UK condemn attack on Gulshan café"দ্য ডেইলি স্টার। ৪ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬ 
  89. "S'pore 'strongly condemns' Dhaka terror attack; no reports of S'poreans injured"। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  90. "Kerry calls Hasina"দ্য ডেইলি স্টার। ৪ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৬ 
  91. "UK condemns Dhaka attack"। ২ জুলাই ২০১৬। ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  92. "Statement by the Press Secretary on the Terrorist Attack in Dhaka, Bangladesh"whitehouse.gov। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬National Archives-এর মাধ্যমে। 
  93. "US President Barack Obama Briefed, Lawmakers React to Dhaka Attack"The Quint। ২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৬ 
  94. "Global reactions over deadly Dhaka terror attack"। ৩ জুলাই ২০১৬। ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  95. "Dhaka terror attack: 'Hostage-takers were from Bangladesh group, not IS'"The Times of India। ৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  96. "UN Security Council slams deadly terrorist attack in Bangladesh"Xinhua News Agency। ৩ জুলাই ২০১৬। ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  97. "হলি আর্টিজানে নিহত ২ পুলিশ সদস্যের স্মরণে 'দীপ্ত শপথ'"বাংলানিউজ২৪.কম। ১ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  98. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০১৯-০১-০৪)। "সেন্সরে 'শনিবার বিকেল'"দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৭ 
  99. Desk, Entertainment। "'Faraaz' trailer out now"দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৭ 
  100. হোলি আর্টিজান হামলায় সাত জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড, বিবিসি নিউজ বাংলা, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]