গুসকরা
গুসকরা গুসকরা | |
---|---|
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৫,৩৮৮ |
গুসকরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এর আয়তন ২১.১৫ বর্গ কি.মি.।[১] ১৯৮৮ সালের ১লা মার্চ গুসকরা পৌরসভা স্থাপিত হয়। পৌরসভা স্থাপিত হয় ৯ জন মনোনীত বোর্ডের সদস্যবৃন্দের মাধ্যমে।
তৎকালীন মনোনীত বোর্ডের সদস্যবৃন্দ ছিলেন যথাক্রমে-
১) শ্রী তারকেশ্বর পাত্র - চেয়ারম্যান (০১/০৩/১৯৮৮ - ১৬/১০/১৯৯০)
২) শ্রী হরিবিলাস ভকত - চেয়ারম্যান (১৬/১০/১৯৯০ - ২৬/০৭/১৯৯৩)
৩) শ্রী রবীন্দ্রনাথ মাজি - ভাইস-চেয়ারম্যান (০১/০৩/১৯৮৮ - ২৬/০৭/১৯৯৩)
৪) শ্রী শিবদাস মণ্ডল - কমিশনার
৫) শ্রী সুহাষ গড়াই- কমিশনার
৬) শ্রী শ্রীধর মালিক - কমিশনার
৭) সৈয়দ মহম্মদ মসীহ- কমিশনার
৮) সেখ মতিয়ার রহমান- কমিশনার
৯) শ্রী পরেশনাথ বজর- কমিশনার
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এটি একটি পাললিক সীমাভূমি অঞ্চল।[২] ১৯৪৩ সালে বন্যায় এই এলাকায় প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাঁধ মেরামতি ও রক্ষনাবেক্ষণের দাবীতে তৎকালীন সরকারের ওপর গুসকরা ও পর্শ্বী এলাকা আন্দোলন গড়ে তোলেন। সরকারের কাছে ডেপুটেশন ও দেওয়া হয়। ১৯৪৪ সালে বাঁধ কমিটির উদ্যোগে গুসকরায় জনসমাবেশ হয়। সভাপতিত্ব করেন বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহতাব। এই বাঁধ ১৯৭৮ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত অক্ষত ছিল।[৩]
নদ-নদী
[সম্পাদনা]গুসকরার পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়েছে একমাত্র নদী কুনুর নদী। অজয়ের দক্ষিণে প্রবাহিত অজয়ের প্রধান উপনদী। মোট দৈর্ঘ্য ১১২ কিমি. ও ধারণ-অববাহিকা অঞ্চল (Catchment area) ৭৭২ কিমি। কুনুর থেকে উৎপন্ন হওয়া গুসকরায় অবস্থিত কাঁদড় বা উপনদীটি বর্ষাতে ফুলে ওঠে; অন্য সময় স্থানে স্থানে শুঁকিয়ে যায়; আবার কোথাও থাকে পায়ের চেটো ভেজা জল। বর্ষাকালে এই উপনদী জলে পুষ্ট হয়ে গুসকরার কাছে কুনুর বন্যাপ্রবণ হয়েছে। বন্যার জলে আউসগ্রাম ও মঙ্গলকোট থানার বিরাট অঞ্চল প্লাবিত হয়। উজানী কোগ্রামের কাছে অজয়-কুনুরের সঙ্গমস্থলেই মঙ্গলকাব্য-খ্যাত ভ্রমরার দহ। মনে হয় মঙ্গলচন্ডী নাম থেকেই হ্রদাকৃতি ভ্রমরার দহের নামকরণ করেছিলেন কবিকঙ্কন। কারণ মার্কণ্ডেয় পুরাণে আছে – তদাহং ভ্রামরাং রূপং, কৃত্বা সঙ্খ্যেয়ংষটপদম্।[৪]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]২০১১ সালে সেন্সাস অনুযায়ী - গুসকরায় জনসংখ্যা ৩৫৩৮৮ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ১৫ টি। অর্থাৎ গড়ে ওয়ার্ড পিছু লোক সংখ্যা ছিল ২৩৫৯.২ জন। বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ১৬ টি। পুরুষ সংখ্যা ১৮০৭৩ জন। মহিলা সংখ্যা ১৭৩১৫ জন। ০ থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু সংখ্যা ছিল ৩৫৪৪ জন যা গুসকরারর মোট জনসংখ্যার ১০.০১ শতাংশ। শিক্ষিতর হার ৮০.১৬ শতাংশ। পুরুষ শিক্ষার হার ৮৬.৩৮ শতাংশ। মহিলা শিক্ষার হার ৭৩.৬৯ শতাংশ। হিন্দু ৮৭.৬০ শতাংশ। মুসলিম ১১.৯০ শতাংশ। খ্রীস্টান ০.১৮ শতাংশ। শিখ ০.০১ শতাংশ। বৌদ্ধ ০.০১ শতাংশ। জৈন ০.১৯ শতাংশ। বিবৃতি হীন - ০.১০ শতাংশ। ৩৩.৩১ শতাংশ তফসিলি জাতি ও ৩.৯০ শতাংশ তফসিল উপজাতি। ১৩৩৪২ জন ব্যবসা, চাষবাস ও অন্যান্য কাজের সাথে জড়িত। তার মধ্যে ১০৪৪২ জন পুরুষ ও ২৯১০ জন মহিলা।[৫]
বিখ্যাত ব্যক্তিগণ
[সম্পাদনা]- রায়বাহাদুর রসময় মিত্র, শিক্ষাবিদ
- ময়না কাজী, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিখ্যাত জমিদার
- বরদানন্দ চট্টোপাধ্যায়, রসায়ন বিজ্ঞানী
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি (দ্বিতীয় খন্ড) এককড়ি চট্টোপাধ্যায়। অরুন কুমার দে। অক্টোবর, ২০০১। পৃষ্ঠা ৫৯২। আইএসবিএন ৮১-৮৫৪৫৯-৩৭-১
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোক সংস্কৃতি-প্রথম খন্ড। অরুণ কুমার দে। অক্টোবর, ২০০০। পৃষ্ঠা ১৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বর্ধমান জেলা ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি। অরুণ কুমার দে। অক্টোবর,২০০০। পৃষ্ঠা ৪৮২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ লোকসংস্কৃতি, বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও (অক্টোবর ২০০০)। তথ্যসূত্রঃ বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি (প্রথম খন্ড) পাতা- ৩৫ এককড়ি চট্টোপাধ্যায়। অরুণ কুমার দে। পৃষ্ঠা ৩৫। আইএসবিএন ৮১৮৫৪৫৯-৩৬-৩
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ "Census2011"। https://www.census2011.co.in/data/town/801677-guskara-west-bengal.html।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
টেমপ্লেট:Https://www.goodreads.com/book/show/60646859
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |