গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানহোসেনপুর উপজেলা
শহরগোবিন্দপুর ইউনিয়ন হোসেনপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৮০০ শতকের প্রথম দিকে
স্বত্বাধিকারীভোলানাথ চক্রবর্তী
কারিগরী বিবরণ
কাঠামোগত পদ্ধতিজমিদারী
উপাদানইট, সুরকি ও রড

গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হোসেনপুর উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি

ইতিহাস[সম্পাদনা]

গাংগাটিয়া জমিদার বাড়িটির গোড়াপত্তন হয় ব্রিটিশ শাসনামল শুরুর দিকে। এই জমিদার বাড়ির আছে অনেক ইতিহাসঐতিহ্য। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ভোলানাথ চক্রবর্তী। অন্যান্য জমিদার বাড়ির মত এটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত না হয়ে এখনো এটি পুরোপুরি টিকে আছে। কেননা এখনো এই জমিদার বাড়ির বংশধর এই বাড়িতে বসবাস করছেন। এই জমিদার বাড়ির বর্তমান বংশধর হচ্ছেন মানব বাবু(ডাকনাম) মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী । মানব বাবু, তার স্ত্রী, ও বোনকে নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করতেছেন, তবে তাদের কোনো সন্তানাদি নেই এবং তার পরলোকগত ভাইদেরও। বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি মানব বাবুর বাড়ি নামেই বেশ পরিচিত। তারা জাতে ছিলেন ভ্রাহ্মণ বা পুরোহিত। যা হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাসম্পন্ন একটি জাতি। এই জমিদার বংশধররা ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। এই জমিদার বংশের আদি বসবাস ছিল ভারতের কাইন্নকব্জিতে। প্রায় ছয়শত বছর আগে তারা সেখান থেকে হোসেনপুরে এসে বসতি স্থাপন করেন। পরে ব্রিটিশ শাসনামলের শুরু থেকেই তাদের জমিদারিত্ব শুরু হয় এবং দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে তাদের জমিদারিও শেষ হয়। এখন পর্যন্ত তাহারা তাদের ভূমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বসবাস করছেন। এবং, এখন ও এই অঞ্চলের মানুষেরা মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী (মানব বাবু) কে জমিদার হিসেবেই স্বীকৃতি দেয় ও সম্মান করে। [১]

মুক্তিযুদ্ধের সময়[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী এই জমিদার বাড়িতে হামলা চালায়। মানব বাবুর পিতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে তারা হত্যা করে। বর্তমানে পাকবাহিনী যে জায়গায় মানব বাবুর পিতাকে হত্যা করেছে। সেখানে তিনি একটি সমাধি তৈরি করেছেন। এই জমিদার বাড়ির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে। [১]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর অনেকদিন ধরে কোনো সংস্কার না করার কারণে জমিদার বাড়ির কিছু কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে বর্তমান জমিদার বংশধর মানব বাবু জমিদার বাড়িটি সংস্কার করে নতুনত্ব করে তোলেন।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]