খোদা বক্স
খোদা বক্স সাঁই | |
---|---|
জন্ম | ১২ এপ্রিল ১৯২৮ আলমডাঙ্গা উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৫ জানুয়ারি ১৯৯০ | (বয়স ৬১–৬২)
ধরন | লালনগীতি, বাউল গান |
পেশা | বাউল শিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | ভোকাল |
কার্যকাল | ১৯৩৮-১৯৯০ |
খোদা বক্স (১২ এপ্রিল ১৯২৮ – ১৫ জানুয়ারি, ১৯৯০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী বাউল শিল্পী ও সুরকার।[১] তিনি লালনের অনুসারি ছিলেন এবং তার নিজের রচিত বাউল গানের সংখ্যা প্রায় ৯৫০টি। বাউল সঙ্গীতের তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯০ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]বক্স ১৯২৮ সালে (৩০ চৈত্র, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জাঁহাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কফিলউদ্দীন ও মাতা ব্যাশোরণ নেছা। তার পিতামহ মিয়াজান বিশ্বাস ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার বিজলেমনহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মিয়াজানের দুই ছেলে তিন কড়ি ও কফিলউদ্দীন। কফিল তার ৩৫ বছর বয়সে তার ফুফুর বাড়ি বর্তমান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জাঁহাপুর গ্রামে চলে আসেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই খোদা বক্সের জন্ম হয়। খোদা বক্স পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি দশ বছর বয়স থেকেই গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত গায়ক ছিলেন।[১] তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় লালনের আখড়ায় কাটিয়েছেন। কুষ্টিয়ার ছেউরিয়ায় লালনের আখড়া নির্মাণে তিনিও একজন উদ্যোগী ছিলেন।[১]
১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে লালন সঙ্গীতের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।[৪]
খোদা বক্স প্রায় ৯৫০টি গান রচনা করেছেন। তার রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গান হল "শুভ সাধুসঙ্গ লয়ে সাঙ্গপাঙ্গ", "দেবতা হারিয়ে পূজারী কাঁদবি কতদিন"।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তিনি রাহেলা খাতুনের (লাইলি বেগম নামেও পরিচিত) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ হলেন কন্যা মালঞ্চ এবং কনিষ্ঠ হলেন পুত্র আবদুল লতিফ শাহ।[১] ১৯৯৭ সালে খন্দকার রিয়াজুল হক বক্সের গাওয়া ১৪৮টি গান সংবলিত "মরমী কবি খোদা বক্স সাঁই" বইটি সম্পাদনা করেন।[৪]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- বাউল গানে অবদানের জন্য একুশে পদক (১৯৯০)
- বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Amanur Aman (জানুয়ারি ১৮, ২০১৬)। "Baul festival ends in Chuadanga"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Abdul Karim (জানুয়ারি ২৬, ২০১৬)। "Sponsor Khoda Box Sain Baul fest"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "লালন অনুসারী ছয়জন শিল্পী"। দৈনিক প্রথম আলো। ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ Asman Fakir। "লালন উত্তরসাধক খোদা বক্স সাঁই"। lalongeeti.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭।