কুমিরার যুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুমিরা যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
তারিখ২৬ মার্চ ১৯৭১
অবস্থান
বিবাদমান পক্ষ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ পাকিস্তান পাকিস্তান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া

পাকিস্তান ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফি


পাকিস্তান লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহপুর খান (নিহত)
জড়িত ইউনিট

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট


ইপিআর

২৪ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স


৮৮ মর্টার ব্যাটারি


ইঞ্জিনিয়ারিং ডিটাচমেন্ট
শক্তি
১০২ ৫০০ (আনুমানিক)
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
১৪ জন নিহত

১৫২ জন নিহত


৩টি গাড়ি ধ্বংস

কুমিরা যুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনালগ্নে সংঘটিত হওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাথমিকভাবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন যা তাঁদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেয়। চট্টগ্রাম শহরের উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা এলাকায় হওয়া এ যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআরের মাত্র শ'খানেক সৈন্যের আক্রমণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।[১] মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দেশের অন্যান্য স্থানে যখন পাকিস্তানিদের হামলার একের পর এক দুঃসংবাদ আসছিল তখন কুমিরার এ যুদ্ধ যেন কিছুটা হলেও আশার আলো হয়ে দেখা দেয়।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

২৫ মার্চ রাতে ঢাকাসহ সারাদেশে বাঙালি নিধনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইবিআরসিতে (ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার) পাকসেনারা আক্রমণ করে। ২০ বালুচ রেজিমেন্টের এক কোম্পানি সেনা আক্রমণ চালিয়ে অসংখ্য বাঙালি সেনাকে হত্যা করে।[২] খবর পেয়ে ষোলোশহরে অবস্থিত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং হালিশহরের সেক্টর হেডকোয়ার্টারে ইপিআর সৈন্যরা ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে।

চট্টগ্রামের নাজুক অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান ২৫ মার্চ রাতেই কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থানরত ৫৩ পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়ক ইকবাল শফিকে চট্টগ্রামের দিকে এক দল সৈন্য পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। আদেশ পাওয়ামাত্রই লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহপুর খানের অধিনায়কত্বে ২৪ এফএফ (ফ্রন্টিয়ার ফোর্স) রেজিমেন্ট চট্টগ্রামে পাকবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ঢাকা ট্রাংক রোড ধরে রওনা হয়। এই সৈন্যরা পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ২০ বালুচ রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাতেমিকে চট্টগ্রামের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইপিআরের ( ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ৬ নং সেক্টর সদর দপ্তরের অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের হালিশহরে। কুমিল্লা থেকে সিগন্যাল বিভাগের মেজর বাহার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ইপিআরের এডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন রফিককে পাকসেনাদের চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবর জানান। সাথে সাথেই তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাপ্টেন রফিক নায়েক সুবেদার মুসাকে এক কোম্পানি সৈন্য নিয়ে হালিশহর থেকে শুভপুরের দিকে রওনা হতে নির্দেশ দেন।

ফেনীর কাছাকাছি এসে শাহপুর খানের বাহিনী থেমে যেতে বাধ্য হয়। কারণ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা ইতোমধ্যেই ঢাকা ট্রাংক রোডের শুভপুর সেতুটি উড়িয়ে দিয়েছে। জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা ২৫ মার্চ মধ্যরাতেই ঢাকায় বসে শুভপুরে বাঙালি সেনাদলের পথরোধের খবর পান। ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফিকে তিনি সেতুটির দখল ছেড়ে দিয়ে পাশের গিরিখাদ পার হয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শুভপুর সেতু দখল না করে ইকবাল শফি চট্টগ্রামে যাওয়ার বিকল্প পথ খুঁজে পাননি। তাই তাদের শুভপুর দখলে নিয়েই এগোতে হতো। ইপিআর বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধের কারণে শুভপুর সেতুর দখল নিতে পাাকিস্তানি সৈন্যদের ২৬ মার্চ সকাল দশটা পর্যন্ত লেগে যায়। তারপর সেনাদলটি চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে।

পাকবাহিনী শুভপুর সেতু অতিক্রম করে বিনা বাধায় তীব্র গতিতে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে – এই খবর শুনে ক্যাপ্টেন রফিকের পরামর্শে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের হোল্ডিং কোম্পানির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া ইপিআরের ১০২ জন সৈন্য নিয়ে কুমিরার দিকে অগ্রসর হন।[৩]

যুদ্ধ[সম্পাদনা]

আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য ক্যাপ্টেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন ১০২ জন ইপিআর সৈন্যের সম্বল ছিল মাত্র ১টি হেভি মেশিনগান ও কয়েকটি এলএমজি, আর বাকি সব রাইফেল। ক্যাপ্টেন ভুঁইয়া তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন যে এত অল্পসংখ্যক সৈন্য ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম নিয়ে পুরো একটি সুসংগঠিত ব্যাটালিয়নের মোকাবেলা করার ঝুঁকি যে কী বিরাট এবং এর পরিণতি যে কত মারাত্মক হতে পারে, তা তাঁরা সেদিন উপলদ্ধি করতে পারেননি। কারণ মনটা তখন প্রতিশোধের স্পৃহায় উন্মত্ত।[৪]

চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৪ মাইল দূরে উত্তরে অবস্থিত কুমিরা সীতাকুণ্ড উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবসতি। প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনার জন্য কুমিরা এক আদর্শ অবস্থান। কারণ এর পশ্চিমে সাগর আর পূর্বে পাহাড়। মাঝখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই সড়ক ধরে অগ্রসরমান পাকিস্তানি সৈন্যদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্য আদর্শ একটি স্থান। কারণ তাদের ডানে ও বাঁয়ে প্রতিবন্ধকতা। এগােতে হলে সামনের রাস্তা দিয়েই আসতে হবে। তাই কুমিরাতেই ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন।[৫]মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস বইয়ে ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন:

“তিনজন প্লাটুন কমান্ডারকে ডেকে খুব সংক্ষেপে আমার পরিকল্পনার কথা জানালাম এবং নিজ নিজ স্থানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পজিশন নেওয়ার নির্দেশ দিলাম। আমার নির্দেশ অনুযায়ী এইচএমজিটাকে (হেভি মেশিনগান) ডানপাশে পাহাড়ের ঢালুতে ফিট করা হল। ইপিআর সুবেদার মুসা নিজে থাকলেন এই মেশিনগানটির দায়িত্বে। এই ভারী মেশিনগানটিই আমাদের প্রধান হাতিয়ার এবং সবচেয়ে বড় সম্বল। আমি রাস্তার বাম দিকে কয়েকটি এলএমজিএর পজিশন ঠিক করে দিলাম। আমার নির্দেশমতো সবাই মাটিতে পজিশন নিয়ে নিল। পজিশনের অবস্থা ছিল অনেকটা ইংরেজি ‘ইউ’ অক্ষরের মতো। অর্থাৎ ডানে, বাঁয়ে এবং পেছনে আমাদের সৈন্য। যেদিক থেকে পাকিস্তানি সৈন্যরা এগিয়ে আসছে কেবল সেই সামনের দিকটাই খোলা।"

[৬]

বিকেলে এক যুবককে পাঠানো হয় পাকসেনারা কতটুকু এসেছে তার খবর নিতে৷ তিনি এসে জানান তারা কাছেই চলে এসেছে, তবে এগোচ্ছে খুব ধীরে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বড় গাছ কেটে ও ইট-পাথর ফেলে ইপিআর সৈন্যদের অবস্থানের সামনে পাকসেনাদের জন্য ব্যারিকেড তৈরি করা হয়।

তখন সন্ধ্যা সােয়া ৭টা। সামনে ব্যারিকেড দেখে পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রতিবন্ধকতা সরানাের জন্য কনভয় থামাতে বাধ্য হয়। সামরিক যান থেকে নেমে পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্যারিকেড সরানাের উদ্যোগ নেয়া মাত্রই অন্ধকারের নিস্তব্ধতা ভেঙে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ওপর একযােগে হেভি মেশিনগান, এলএমজি ও রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করেন ক্যাপ্টেন ভূঁইয়ার সৈন্যরা। আকস্মিক এই তীব্র আক্রমণে হতভম্ব, ভীত সন্ত্রস্ত শত্রু সৈন্যরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটোছুটি শুরু করে।

ব্রিগেডিয়ার শফি নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পাহাড়ের দিকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে যান। পলায়নরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর গ্রামবাসীর চোরাগােপ্তা হামলা তাদের আরও সন্ত্রস্ত করে তােলে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানি সেনারা ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে।

অবশ্য প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে পাকিস্তানি সেনারা সংগঠিত হয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে। শুরু করে মেশিনগান, মর্টার ও আর্টিলারির গােলা বর্ষণ। উভয়পক্ষে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। আর্টিলারি ফায়ারের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর মেশিনগান ধ্বংস করার প্রয়াস ব্যর্থ হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে যুদ্ধ চলে। ইতােমধ্যে শক্রর ৩টি ট্রাক আগুন লেগে ধ্বংস হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পাকসেনারা মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতিরােধ ব্যুহ ভেদ করতে সক্ষম হয়নি। তারা পশ্চাদপসরণ করে যক্ষ্মা হাসপাতালসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করে। প্রায় ২ ঘণ্টা প্রাণপণ লড়াই করে অবশেষে সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফেলে যায় ২ ট্রাক অস্ত্র ও গােলাবারুদ।[৭]

এদিকে অ্যামবুশে পড়ে ওয়্যারলেস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার আগে ঢাকায় পাক হেডকোয়ার্টার এই বিপর্যয়ের খবর পৌঁছেছিল। ২৭ মার্চ সকালে ঢাকায় পাক জেনারেল অফিসার ইন-কমান্ড (জিওসি) টিক্কা খান নিজেই উদ্বিগ্ন হয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে তাদের খুঁজতে বের হন। হেলিকপ্টারে গুলি লাগলে তারা ফেরত চলে আসে।

২৬ তারিখের এই যুদ্ধে প্রাথমিকভাবে মুক্তিবাহিনী বিজয়ী হয়। ২৬ মার্চ অর্থাৎ প্রথম দিনের যুদ্ধ শেষে মুক্তিবাহিনীর সীমিত গোলাবারুদ প্রায় ফুরিয়ে আসে। এ অবস্থায় ভূঁইয়া গোলাবারুদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহরে আসেন। তিনি নতুন করে অস্র সংগ্রহ করতে পারেননি। এদিকে ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া চট্টগ্রাম শহরে থাকা পাক সেনাবাহিনীর ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের হামলার শিকার হন কয়েকবার। তার গাড়ি এবং পাকবাহিনীর জিপের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরে থাকা পাক বাহিনী তাকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। সেদিন রাতে কোতোয়ালি থানার ওসি জনাব নাসির এবং ২ সৈনিক এক লোকের বাড়িতে আস্রয় নেন। পাকবাহিনী তাকে আর খুঁজে পায়নি। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকরা ঐ সীমিত গোলাবারুদ নিয়ে অসীম সাহসীকতার সাথে লড়াই করতে থাকে।


পরের দিন পেছনে থাকা কর্নেল শাহপুরের মর্টার বাহিনী এসে যোগ দেয়। সমুদ্রে গান বোট এসে গোলা নিক্ষেপ শুরু করে। ২৮ তারিখ আক্রমণ আরো তীব্র করে পাক বাহিনী। মুক্তিবাহিনী অপারেশন সমাপ্ত করে প্রত্যাহার করে নেয় নিজেদের। তবে তার আগে পাক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে ছাড়ে তারা।[৮]

ক্ষয়ক্ষতি[সম্পাদনা]

যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৪ ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সিও (কমান্ডিং অফিসার) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহপুর খানসহ ১৫২ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। এছাড়াও তাদের তিনটি গাড়ি ধ্বংস হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ১৪ জন শহীদ হন।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.liberationwarbangladesh.org/?p=5614 মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস: মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া; আহমদ পাবলিশিং হাউজ, প্রথম প্রকাশ-জুন ১৯৭২; পৃষ্ঠা ২৮-৩২
  2. https://www.liberationwarbangladesh.org/?p=5614 মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস: মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া; আহমদ পাবলিশিং হাউজ, প্রথম প্রকাশ-জুন ১৯৭২; পৃষ্ঠা ১৭
  3. opinion.bdnews24.com › archives কুমিরার যুদ্ধ | মতামত - Opinion
  4. https://www.liberationwarbangladesh.org/?p=5614 মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস: মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া; আহমদ পাবলিশিং হাউজ, প্রথম প্রকাশ-জুন ১৯৭২; পৃষ্ঠা ২৭
  5. "কুমিরার যুদ্ধ - সংগ্রামের নোটবুক" https://songramernotebook.com/archives/44209/amp ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে
  6. https://www.liberationwarbangladesh.org/?p=5614 মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস: মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া; আহমদ পাবলিশিং হাউজ, প্রথম প্রকাশ-জুন ১৯৭২; পৃষ্ঠা ৩০
  7. "কুমিরার যুদ্ধ - সংগ্রামের নোটবুক" https://songramernotebook.com/archives/44209/amp ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে
  8. আলীম, সারতাজ (২০২১)। ১৯৭১: ফ্রন্টলাইনের সেরা অপারেশন। ঢাকা: তাম্রলিপি। পৃষ্ঠা ১০–১৩। আইএসবিএন 978-984-8072-79-0। |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  9. "কুমিরার যুদ্ধ - সংগ্রামের নোটবুক" https://songramernotebook.com/archives/44209/amp ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে