কর্ণালী প্রদেশ
কর্ণালী প্রদেশ कर्णाली प्रदेश | |
---|---|
প্রদেশ | |
কর্ণালী প্রদেশের অবস্থান | |
কর্ণালী প্রদেশের জেলাসমূহ | |
দেশ | নেপাল |
প্রতিষ্ঠা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
রাজধানী ও বৃহত্তম শহর | বীরেন্দ্রনগর |
জেলা | ১০ |
সরকার | |
• শাসক | কর্ণালী প্রদেশ সরকার |
• গভর্নর | দুর্গাকেশর খানাল |
• মুখ্যমন্ত্রী | মহেন্দ্র বাহাদুর শাহী (এনসিপি) |
• উচ্চ আদালত | সুর্খেত উচ্চ আদালত |
• প্রদেশ সভা | এককক্ষবিশিষ্ট (৪০ আসন) |
• প্রতিনিধি সভায় আসন | ১২ |
আয়তন | |
• মোট | ২৪,৪৫৩ বর্গকিমি (৯,৪৪১ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১ম |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৫,৭০,৪১৮ |
• ক্রম | ৭ম |
• জনঘনত্ব | ৬৪/বর্গকিমি (১৭০/বর্গমাইল) |
• ঘনত্বের ক্রম | ৭ম |
বিশেষণ | কর্ণালী/ কর্ণালীজ |
সময় অঞ্চল | এনএসটি (ইউটিসি+০৫:৪৫) |
ভৌগোলিক কোড | এনপি-এসআই |
প্রধান ভাষাসমূহ |
|
এইচডিআই সূচক | ০.৪৬৯ (নিম্ন) |
সাক্ষরতা | ৬২.৭৭% |
লিঙ্গানুপাত | ৯৫.৭৮ ♂/১০০ ♀ (২০১১) |
ওয়েবসাইট | www.karnali.gov.np |
কর্ণালী প্রদেশ (নেপালি: कर्णाली प्रदेश) নেপালের নতুন সংবিধান অনুসারে গঠিত সাতটি প্রদেশের অন্যতম।[১] এই প্রদেশের আয়তন ২৪,৪৫৩ বর্গকিলোমিটার (৯,৪৪১ মা২)। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই প্রদেশের জনসংখ্যা ১,৫৭০,৪১৮ জন। ১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের আনুমানিক জনসংখ্যা ১,৭০১,৮০০ জন।[২]
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নবগঠিত প্রদেশ নং ৬-এর প্রদেশ সভার সদস্যরা প্রদেশের স্থায়ী নাম হিসেবে কর্ণালী প্রদেশ নির্ধারণ করেন। কর্ণালী প্রদেশের উত্তরে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, পূর্বে গণ্ডকী প্রদেশ, পশ্চিমে সুদূরপশ্চিম প্রদেশ এবং দক্ষিণে প্রদেশ নং ৫ অবস্থিত।[৩] ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রনগরকে প্রদেশের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কর্ণালী নেপালের একটি প্রাচীন জনপদ। প্রাচীনকাল থেকেই কর্ণালী নদীর সাথে এই অঞ্চলের যোগসূত্র ছিল।[৫] জুম্লা, সুর্খেত এবং দৈলেখ জেলায় প্রাপ্ত প্রত্ননিদর্শন থেকে জানা যায়, এই অঞ্চলটি ১১শ শতকে প্রতিষ্ঠিত খাস রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। খাস রাজ্যের রাজধানী ছিল সিনজা উপত্যকায়। ১৩শ ও ১৪শ শতকে খাস রাজ্যের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। এই সময়ের মধ্যে পশ্চিমে গড়ওয়াল, উত্তরে তিব্বতের মানস সরোবর ও গুজ, পূর্বে কপিলাবস্তু ও গোর্খা-নুয়াকোট অঞ্চল এবং দক্ষিণের তরাই অঞ্চলের বিশাল অংশ খাস রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৪শ শতকের শেষার্ধে খাস রাজ্য ভেঙে কর্ণালী-ভেরী অঞ্চলে বাইসে রাজ্যের উত্থান ঘটে।[৬]
আধুনিক নেপালের একত্রিকরণের পূর্বে কর্ণালী অঞ্চলে (কর্ণালী নদী থেকে ভেরী নদী পর্যন্ত) সঙ্ঘীয় বাইসে রাজ্যের শাসন ছিল। বাইসে রাজ্য ২২টি অধিরাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি সার্বভৌম রাজ্য ছিল। ১৭৪৪ থেকে ১৮১০ সালের মধ্যে বাইসে রাজ্য নেপালের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
ভৌগোলিক অবস্থা
[সম্পাদনা]কর্ণালী প্রদেশ আয়তনের দিক থেকে নেপালের বৃহত্তম কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। কর্ণালী প্রদেশের আয়তন প্রায় ২৪,৪৫৩ কিমি২ (৯,৪৪১ মা২) এবং জনসংখ্যা প্রায় ১,৭০১,৮০০ জন।
কর্ণালী প্রদেশ উত্তরে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, পূর্বে গণ্ডকী প্রদেশ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে প্রদেশ নং ৫ এবং পশ্চিমে সুদূরপশ্চিম প্রদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
নেপালের উত্তরের অনেক উঁচু পর্বত কর্ণালী প্রদেশে অবস্থিত। এর মধ্যে কুবি গাংরি, চাংলা এবং কানজিরোবা পর্বত অন্যতম। ফোকসুনডো হ্রদসহ শে ফোকসুনডো নেপালের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান। নেপালের বৃহত্তম হ্রদ রারা কর্ণালী প্রদেশেই অবস্থিত। কর্ণালী প্রদেশের বৃহত্তম নদী "কর্ণালী" নেপালের দীর্ঘতম নদী হিসেবেও বিবেচিত। সেতী ও ভেরী এর অন্যতম উপনদী।
সরকার ও প্রশাসন
[সম্পাদনা]গভর্নর দুর্গাকেশর খানাল হলেন সাংবিধানিকভাবে প্রদেশের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মহেন্দ্র বাহাদুর শাহী হলেন প্রাদেশিক সরকারের প্রধান। সুর্খেত উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হরিকুমার পোখারেল প্রদেশের বিচার বিভাগীয় প্রধান।[৭][৮][৯] কর্ণালী প্রদেশের প্রদেশ সভার আসন সংখ্যা ৪০। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভার ১২ জন সদস্য এই প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হন।[১০]
নেপালের অন্যান্য প্রদেশের মতোই কর্ণালী প্রদেশের প্রদেশ সভা এককক্ষবিশিষ্ট। প্রদেশ সভার মেয়াদ পাঁচ বছর। কর্ণালী প্রদেশ সভার অস্থায়ী কার্যালয় বীরেন্দ্রনগরের সেচ বিভাগ কার্যালয়ে অবস্থিত।[১১]
প্রশাসনিক বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]কর্ণালী প্রদেশের জেলার সংখ্যা ১০টি। প্রতিটি জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা শাসিত হয়। প্রতিটি জেলা আবার নগরপালিকা ও গ্রামপালিকায় বিভক্ত। কর্ণালী প্রদেশে ২৫টি নগরপালিকা ও ৫৪টি গ্রামপালিকা রয়েছে।[১২]
কর্ণালী প্রদেশের জেলাসমূহ হলো:
- দৈলেখ জেলা
- ডোল্পা জেলা
- হুম্লা জেলা
- জাজরকোট জেলা
- জুম্লা জেলা
- কালীকোট জেলা
- মুগু জেলা
- সল্যান জেলা
- সুর্খেত জেলা
- পশ্চিমী রুকুম জেলা
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Nepal Provinces"। statoids.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২১।
- ↑ "Karnali Province in Nepal population"। www.citypopulation.de। ৭ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Prov 6 named as Karnali, permanent capital in Birendranagar"। www.myrepublica.com। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Government finalises provinces' governors and temporary headquarters"। nepalekhabar.com। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "कर्णाली प्रदेश एक चिनारी"। www.ocmcm.karnali.gov.np। The office of chief minister and cabinet of Karnali Pradesh। ৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Nepal in the Medieval Period"। www.telegraphnepal.com। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "High Courts get their chief judges" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭।
- ↑ "Mahendra Bahadur Shahi set to be Province 6 CM | Setopati - Nepal's Digital Newspaper"। setopati.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৮।
- ↑ "President of Nepal administers oath to Chiefs of seven provinces | DD News"। ddnews.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭।
- ↑ "CDC creates 495 constituencies"। The Himalayan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭।
- ↑ "First Provincial Assembly meeting begins in 4 provinces" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭।
- ↑ "स्थानिय तह"। 103.69.124.141। ২০১৮-০৮-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭।