বিষয়বস্তুতে চলুন

ওমর ফিলিপস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওমর ফিলিপস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ওমর জামিল ফিলিপস
জন্ম (1986-10-12) ১২ অক্টোবর ১৯৮৬ (বয়স ৩৭)
বসকোবেল, সেন্ট পিটার, বার্বাডোস
ডাকনামরামো
উচ্চতা৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭৭)
৯ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টেস্ট১৭ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৭ –কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৭ ১৪
রানের সংখ্যা ১৬০ ২,৫২৪ ১৭০
ব্যাটিং গড় ৪০.০০ ২৬.৫৬ ১২.১৪
১০০/৫০ ০/১ ১/১৩ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৯৪ ২০৪ ৩৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৬২/– ৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ অক্টোবর ২০২০

ওমর জামিল ফিলিপস (ইংরেজি: Omar Phillips; জন্ম: ১২ অক্টোবর, ১৯৮৬) সেন্ট পিটারের বসকোবেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস, কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘রামো’ ডাকনামে পরিচিত ওমর ফিলিপস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওমর ফিলিপসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৭-০৮ মৌসুমে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজের সদস্যরূপে নিজস্ব প্রথম মৌসুমে মাত্র একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তী মৌসুমে অবশ্য নিয়মিতভাবে খেলে গেছেন। নয় খেলায় ৬০১ রান তুলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন তিনি।

১২ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে বার্বাডোসের বসকোবেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওমর ফিলিপস যুবদের ক্রিকেটের জ্যামাইকার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। অক্টোবর, ২০০৭ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস দলের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে তার অভিষেক ঘটে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বিপক্ষে একদিনের খেলায় অভিষেক ঘটে তার। ঐ খেলায় ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ৩৪ রান সংগ্রহ করেন।[] ২০০৭-০৮ মৌসুমের শেষদিকে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[]

২০০৮-০৯ মৌসুমে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস দলের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান। নয় খেলায় অংশ নিয়ে ৩২.০৫ গড়ে ৫৭৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৯৬ বল মোকাবেলান্তে ২০৪ রান তুলেন। এ ইনিংসটিতে ২৩টি চার ও চারটি ছক্কার মার ছিল।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ওমর ফিলিপস। সবগুলো টেস্টই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৭ জুলাই, ২০০৯ তারিখে সেন্ট জর্জেসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে ওমর ফিলিপসের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এ পর্যায়ে তিনি দূর্বলতর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন। ১৫ সদস্যের ঐ দলটিতে নয়জন খেলোয়াড় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ইতোপূর্বে খেলেনি ও সাতজন খেলোয়াড়ের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এমনকি অধিনায়ক ফ্লয়েড রেইফারও দশ বছর পূর্বে তার শেষ চার টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে প্রথম একাদশের আর্থিক সংঘাত ঘটেছিল। ঐ টেস্টে তিনি ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

টেস্ট অভিষেক

[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে সফররত বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার কথা থাকলেও তিনি খেলেননি।[] ৮ জুলাই তারিখে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক মতবিরোধের জের ধরে প্রথম একাদশ খেলা থেকে বয়কট করলে তাকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[]

আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে প্রথম একাদশের সাতজন অভিষেকধারী খেলোয়াড়ের অন্যতম ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি ৯৪ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। এরফলে, ষষ্ঠ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় রানের জন্যে প্রথম টেস্ট ইনিংসে শতরানের সন্ধান পাননি।[] দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৪ রান করেন। ঐ খেলায় তার দল ৯৫ রানে পরাভূত হয়।[] দ্বিতীয় টেস্টে তিনি ২৩ ও ২৯ রান করেন। বাংলাদেশ দল জয় পেয়ে সিরিজ জয়লাভ করে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]