উত্তর আমেরিকার ভূগোল
উত্তর আমেরিকা হলো তৃতীয় বৃহত্তম মহাদেশ এবং একই সাথে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে গঠিত দ্বিতীয় বৃহত্তম অতিমহাদেশ আমেরিকার একটি অংশ, যেখানে আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া মিলে সর্ববৃহত অতিমহাদেশ আফ্রো-ইউরেশিয়া গঠন করে।
আনুমানিক ৫৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যা এবং ২,৪৭,০৯,০০০ বর্গকিমি (৯৫,৪০,০০০ বর্গমাইল) আয়তন বিশিষ্ট পশ্চিম গোলার্ধের[১] দুটি মহাদেশের উত্তরতম এই মহাদেশটি পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর; পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর; উত্তরে উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণে ক্যারিবিয়ান সাগর, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ আমেরিকা দ্বারা আবদ্ধ।
প্রত্নভূগোল
[সম্পাদনা]উত্তর আমেরিকার সত্তর শতাংশই লরেন্টিয়া ক্র্যাটনের অধীনে রয়েছে,[২] যা কানাডার ঢাল হিসাবে হাডসন উপসাগরকে ঘিরে মধ্য এবং পূর্ব কানাডার বেশিরভাগ অংশকে সংযুক্ত করে দক্ষিণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান, উইসকনসিন এবং মিনেসোটা রাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত। মহাদেশীয় ভূত্বকটি ৪ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হতে শুরু করে এবং ক্র্যাটন ছয়টি মহাদেশীয় খণ্ডের সংঘর্ষে ফলে ২ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল। এই মূল অংশটি ১.৮ হতে ১.৬৫ বিলিয়ন বছরের মধ্যে ভূপাত সংস্থানের ফলে সম্প্রসারিত হয়েছে।
ভূপ্রকৃতি
[সম্পাদনা]উত্তর আমেরিকার ভূপ্রকৃতিকে প্রধানত পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়:
- কানাডার ঢাল
- ২.৫ হতে ৪ বিলিয়ন বছর পূর্বে গঠিত এই ভূতাত্ত্বিকভাবে স্থিতিশীল শিলার অঞ্চলটি গ্রীনল্যান্ড সহ উত্তর-পূর্ব চতুর্থাংশের বেশিরভাগ অংশে বিস্তৃত।
- অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালা
- অ্যাপালাশিয়ান এলাকাটি একটি পুরানো এবং ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমিরূপ যা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর আগে গঠিত এবং গাস্পে উপদ্বীপ হতে আলাবামা পর্যন্ত বিস্তৃত।
- আটলান্টিক উপকূলীয় সমভূমি
- দক্ষিণ নিউ ইংল্যান্ড থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত দক্ষিণে বিস্তৃত নিম্নভূমির একটি ধারাবাহিক বন্ধন যা প্রায় সমতল।
- অভ্যন্তরীণ নিম্নভূমি
- ম্যাকেনজি উপত্যকা থেকে আটলান্টিক উপকূলীয় সমভূমি পর্যন্ত মহাদেশের মাঝামাঝি অংশে প্রসারিত ভূমি, যাতে পশ্চিমের বৃহত সমভূমি এবং পূর্বের কৃষিকার্যে ব্যবহৃত অভ্যন্তরীণ সমভূমি অন্তর্ভুক্ত।
- উত্তর আমেরিকার কর্ডিলেরা
- মালভূমি ও উপত্যকার সহযোগে গঠিত বিশেষ ধরনের পার্বত্যভূমিরূপ, যাদের কিয়দাংশ ১০০ হতে ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে ক্রিটাসিয়াস যুগে সংগঠিত হয়েছে, তাকে কর্ডিলেরা বলা হয়। উত্তর আমেরিকার কর্ডিলেরাটি আলাস্কা থেকে উদ্ভূত হয়ে মেক্সিকো পর্যন্ত বিস্তৃত এবং দুটি গাঠিক ধারা রয়েছে — পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রেখা এবং পূর্বে রকি পর্বতমালা — আন্তঃপার্বত্য মালভূমি এবং উপত্যকা যাদেরকে পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করেছে।[৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- উত্তর আমেরিকার ভূগোল
- উত্তর আমেরিকার ভূতত্ত্ব
- উত্তর আমেরিকার পর্বতশৃঙ্গের তালিকা
- উত্তর আমেরিকার নদনদীর তালিকা
- উত্তর আমেরিকার যোগাযোগ ব্যবস্থা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- "Deserts of America"। The Golden Treasury of Knowledge। 4, book 13। Fratelli Fabbri। ১৯৬১। পৃষ্ঠা 1008–1091। 61-10594।
- "Geography of North America"। Universal World Reference Encyclopedia। 11, book 1। V.S. Thatcher। ১৯৬৪। পৃষ্ঠা 231–233। 64-12955।
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "Geographic Guide - Images of North America"। Geographic Guide - Travel। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২১।
- ↑ "United Plates of America"। Smithsonian Museum of Natural History। ৬ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Jones, Steve। "North America's Geology and Geography"। USA Today। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২১।
পুস্তকাবলী
[সম্পাদনা]মানচিত্র ও দূরচিত্র
- North America map
- Physical map
- Map of the Great Lakes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুলাই ২০২১ তারিখে
- North American map
- North America Political map
- Oldest Human Remains in North America Found
- T. H. Clark and C. W. Stearn, The Geological Evolution of North America (1968)
- W. P. Cumming et al., The Discovery of North America (1972)
- R. C. West et al., Middle America: Its Lands and Peoples (3d ed. 1989)
- T. L. McKnight, Regional Geography of the United States and Canada (1992)
- S. Birdsall, Regional Landscapes of the United States and Canada (4th rev. ed. 1992)
- T. Flannery, The Eternal Frontier: An Ecological History of North America and Its Peoples (2001)
- A. Taylor, American Colonies (2001).